জিমে গিয়ে ওয়ার্কআউট না করেই ২৬ কেজি ওজন ঝরালেন বনি কাপুর ! কিন্তু কীভাবে? এই প্রসঙ্গে যা ব্যাখ্যা দিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক...
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
সম্প্রতি এক নয়া অবতারে ভক্তদের চমকে দিয়েছেন বি-টাউনের খ্যাতনামা প্রযোজক বনি কাপুর। আসলে ব্যাপক ভাবে ওজন কমিয়েছেন এই তারকা। আর তাঁর এই ট্রান্সফরমেশন মুগ্ধ করেছে ভক্তদেরও।
সম্প্রতি এক নয়া অবতারে ভক্তদের চমকে দিয়েছেন বি-টাউনের খ্যাতনামা প্রযোজক বনি কাপুর। আসলে ব্যাপক ভাবে ওজন কমিয়েছেন এই তারকা। আর তাঁর এই ট্রান্সফরমেশন মুগ্ধ করেছে ভক্তদেরও। গত ২২ জুলাই এক স্বনামধন্য পাপারাৎজি ইনস্টাগ্রামে ৬৯ বছর বয়সী বনি কাপুরের সাম্প্রতিক কিছু ছবি ভাগ করে নিয়েছেন। সেই সঙ্গে কীভাবে এই তারকা প্রযোজক ২৬ কেজি ওজন ঝরিয়েছেন, সেটাও তুলে ধরেছেন। তাতে জানা গিয়েছে, প্রাতরাশে শুধুমাত্র ফল আর ফলের রস খেয়েই এই ট্রান্সফরমেশন ঘটিয়েছেন বনি।
advertisement
advertisement
ওই পাপারাৎজি আরও লিখেছেন যে, নিজের সাম্প্রতিক ছবির কারণে ইতিবাচক ভাবে তিনি বলিউডে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন! ক্যাজুয়াল এবং সেমি-ফর্মাল আউটফিটে একটু বেশিই ভাল লাগছে তাঁকে। এদিকে কিছু রিপোর্টে বনি কাপুরের ওজন ঝরানোর রহস্য ফাঁস হয়েছে। তা থেকে জানা যাচ্ছে যে, মেদ ঝরাতে ডিনার বা নৈশভোজে শুধু স্যুপই খেতেন বনি। শুধু তা-ই নয়, প্রাতরাশেও খেতেন না তেমন ভারি খাবার। শুধুমাত্র ফল আর ফলের রস এবং জোয়ারের রুটি দিয়েই সারতেন ব্রেকফাস্ট। তবে মাথায় রাখা দরকার যে, তিনি কিন্তু জিমে গিয়ে ঘাম ঝরিয়ে এতটা রোগা হননি। আসলে খাঁটি নিষ্ঠা এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমেই এটা অর্জন করেছেন বনি। (Photo: Instagram)
advertisement
HT Lifestyle-এর সঙ্গে এক আলাপচারিতায় বনির এই দুর্দান্ত ট্রান্সফরমেশন নিয়ে কথা বলেছেন ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল এবং বেরিয়াট্রিক সার্জারির সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. অরুণ প্রসাদ। জিমে গিয়ে ঘাম না ঝরিয়েই এভাবে আদৌ ওজন হ্রাস করা যায় কি না, সেই বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন যে, জিমে না গিয়েও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ওজন ঝরানো — ২৬ কেজি মতো — একেবারেই সম্ভব। কিন্তু সেটা স্বাস্থ্যকর, ব্যালেন্সড এবং দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে কি না, সেদিকে নজর দেওয়া আবশ্যক। (Photo: Instagram)
advertisement
ডা. অরুণ প্রসাদ আরও বলেন যে, জিমে না গিয়েও ২৬ কেজি ওজন কমানো একেবারেই সম্ভব। এমনটা নিরাপদে এবং সফল ভাবে করতে হলে খাওয়াদাওয়া বন্ধ করা কিংবা শুধুমাত্র ফলের উপর নির্ভর করলেই চলবে না। আসলে ভারতীয় মেটাবলিক প্রোফাইল এবং সাংস্কৃতিক অভ্যাসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি ব্যালেন্সড এবং ধারাবাহিক পদক্ষেপ দারুণ ভাবে কাজ করে। দ্রুত হালকা ডিনার করে নেওয়া, প্রোটিন সমৃদ্ধ প্রাতরাশ এবং রোজকার গতিবিধি কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। (Photo: Instagram)
advertisement
ওজন ঝরানোর জন্য নৈশভোজ কি বাদ দেওয়া যেতে পারে? ডা. প্রসাদ বলেন যে, অনেকেই ওজন ঝরানোর জন্য সক্ষিপ্ত পথ অবলম্বন করেন। এর মধ্যে অন্যতম হল - ডিনার না করা অথবা প্রাতরাশে শুধু ফল খেয়ে থাকা। এগুলি স্বল্পমেয়াদে ফল দিলেও তা সকলের জন্য উপযুক্ত না-ও হতে পারে। বিশেষ করে যাঁরা ডায়াবেটিস, প্রিডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ অথবা ফ্যাটি লিভার রোগ রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে তো বটেই! তিনি আরও বলেন যে, অনেকেই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করে থাকেন। যেমন - ১৬:৮ মেথড। এটা প্রাথমিক ওজন হ্রাসে সহায়ক হতে পারে ঠিকই, ডিনার না করলে ক্লান্তি, অস্বস্তি, অনিদ্রা বাড়ে। গভীর রাতে খিদেও পেতে পারে। আর খিদের চোটে অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস খাওয়ার প্রবণতাও অনেকাংশে বেড়ে যায়। ফলে ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণের বিষয়টাও নাগালের বাইরে বেরিয়ে যায়। (Photo: Instagram)
advertisement
ওজন হ্রাসের জন্য কি ফল খেয়ে থাকা যেতে পারে? ব্রেকফাস্ট বা প্রাতরাশে শুধু ফল খাওয়াটাই স্বাস্থ্যকর বিকল্প নয়। ব্যাখ্যা দিয়ে ডা. প্রসাদ বলেন যে, ফল আসলে লো-ফ্যাট এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। শুধু তা-ই নয়, ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিনও থাকে। ব্রেকফাস্টে উচ্চ ক্যালোরিসম্পন্ন, প্রসেসড ভারতীয় খাবার খাওয়া চলবে না। যার মধ্যে অন্যতম হল - লুচি বা পুরি, পরোটা ইত্যাদি। শুধু তা-ই নয়, ফলের সঙ্গে চিনিযুক্ত বা মিষ্টি সিরিয়াল খাওয়া চলবে না। এতে ক্যালোরির পরিমাণ কমানো যায় এবং পরিপাক ক্রিয়াকেও ত্বরাণ্বিত করা যায়। (Photo: Instagram)
advertisement
HT Lifestyle-এর সঙ্গে এক আলাপচারিতায় বনির এই দুর্দান্ত ট্রান্সফরমেশন নিয়ে কথা বলেছেন ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল এবং বেরিয়াট্রিক সার্জারির সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. অরুণ প্রসাদ। জিমে গিয়ে ঘাম না ঝরিয়েই এভাবে আদৌ ওজন হ্রাস করা যায় কি না, সেই বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন যে, জিমে না গিয়েও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ওজন ঝরানো — ২৬ কেজি মতো — একেবারেই সম্ভব। কিন্তু সেটা স্বাস্থ্যকর, ব্যালেন্সড এবং দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে কি না, সেদিকে নজর দেওয়া আবশ্যক। (Photo: Instagram)
advertisement
ওজন কমানোর জন্য কি কড়া ডায়েট অনুসরণ করা উচিত? ডা. প্রসাদ বলেন যে, মিল বাদ দেওয়া অথবা ব্যাপক ভাবে ক্যালোরির পরিমাণ কমানোর মাধ্যমে আচমকা কড়া ডায়েট মেনে চলা একটা পর্যায় পর্যন্ত ওজন কমিয়ে দিতে পারে। যার জেরে মাসল লস হতে পারে। বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে তো বটেই! আসলে কড়া ডায়েট মেনে চললে মেটাবলিজম ধীর গতিতে হয়। সামগ্রিক ভাবে তা দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে দিতে পারে। (Photo: Instagram)
advertisement
তাহলে অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য আসলে কী করা উচিত? ডা. প্রসাদের মতে, জিমে না গিয়েও স্থায়ী এবং স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে ওজন হ্রাস কমানোর জন্য ব্যালেন্সড ডায়েট মেনে চলা জরুরি। যা ভারতীয় খাদ্য সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তিনি বলেন যে, এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে প্রচুর পরিমাণ শাকসবজি, তাজা ফল, মিলেট, ব্রাউন রাইস ও ওটসের মতো হোল গ্রেনস এবং ডাল, ডিম, টোফু, গ্রিক ইয়োগার্ট, পনীর ও গ্রিলড ফিশ অথবা চিকেনের মতো ভাল মানের প্রোটিন। এছাড়া ভেজানো বাদাম, বীজজাতীয় খাবার এবং কোল্ড-প্রেসড অয়েলের মতো স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের সীমিত ব্যবহারও গুরুত্বপূর্ণ। (Photo: Instagram)