উত্তম সুচিত্রার মধ্যে কি বাস্তব জীবনেও প্রেম ছিল? নাকি শুধু উত্তমই চাইতেন মহানায়িকাকে!

উত্তম-সুচিত্রা অন স্ক্রিন অফ স্ক্রিন প্রেম নিয়ে বাঙালির কৌতূহলের শেষ নেই। অনস্ক্রিন প্রেম তো উত্তম-সুচিত্রার ছবির দর্শকেরা দেখতেই পেতেন কিন্তু অফ স্ক্রিন প্রেম? তাঁদের মধ্যে কি সত্যিই প্রেম ছিল? photo source collected

বাঙালি সিনেমাপ্রেমী দর্শকেরা ভাবতেন উত্তম-সুচিত্রার ছবিতেই যদি এত প্রেম তাহলে পরদার বাইরে কত না প্রেম! আসলে ব্যাপারটা ছিল ঠিক উল্টো। photo source collected

পরদার বাইরে দু’জনের মধ্যে খুব ভাল বন্ধুত্ব ছিল প্রেম কোনওদিন ছিল না। photo source collected

ব্যাপারটা কিন্তু উত্তম-সুচিত্রার প্রেম নয়। ১৯৭৮-এ শেষ ছবি করেছিলেন সুচিত্রা সেন। ‘প্রণয় পাশা’ রিলিজ করেছিল ৯ জুন, ১৯৭৮। সুচিত্রার নায়ক ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। photo source collected

পরিচালক মঙ্গল চক্রবর্তীর এই ছবিটি তেমন চলল না। সুচিত্রা সেন হয়তো বুঝতে পেরেছিলেন তাঁর দিন শেষ হয়ে এসেছে বাংলা ছবিতে। photo source collected

সুচিত্রা চলে গেলেন অন্তরালে। ঠিক এই সময় উত্তমকুমার একটি ছবির কথা ভাবলেন। বিপরীতে থাকবে তাঁর প্রিয় রমা অর্থাৎ সুচিত্রা। যে করেই হোক ওকে রাজি করাতে হবে। photo source collected

উত্তম একদিন সমরেশ বসুর কাছে গেলেন। ‘নাটের গুরু’ কাহিনির স্বত্ব কিনলেন। তার চিত্রনাট্য তৈরি হল। চিত্রনাট্য উত্তমকুমার নিজেই লিখলেন। পরিচালকও তিনি। তারপর সুচিত্রার কাছে গেলেন। চিত্রনাট্য শুনে ভাল লাগে তাঁর। সুচিত্রা সেন ‘নাটের গুরু’ করতে রাজিও হলেন। photo source collected

তবে শেষে সুচিত্রা পিছিয়ে এলেন। বললেন, না রে উতু আমি ছবিটা করব না। উত্তমকুমারকে এই বলেই ডাকতেন। তবে তাঁদের মধ্যে খুব ভাল বন্ধুত্ব ছিল। আর সেই জন্যই তাঁরা এত ভাল কাজ করেছেন এক সঙ্গে। photo source collected