

•তাঁকে টাচ করা কার সাধ্যি! সত্যিই তো তিনি ধরা ছোঁয়ার বাইরে৷ অভিনয়ে করার সময় এবং পরবর্তীতে অবসর নিয়েও, তিনি সকলের কাছে অধরাই থেকে গিয়েছেন৷ সারাজীবন৷ এমনকী মৃত্যুর সময় পর্যন্ত তাঁর শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী দেখা যায়নি তাঁর বার্ধক্যে জর্জরিত চেহারা৷ তিনি সুচিত্র সেন৷ বাঙালির সর্বকালে সেরা নায়িকা, যিনি মহানায়িকা (Bengali film Industry-Maha Nayika)বলেই পরিচিত৷


•রুপোলি পর্দার সোনালি নাম সুচিত্রা সেন (Suchitra Sen)। বাংলা তথা ভারতীয় চলচ্চিত্রের এক অন্যতম নাম সুচিত্রা সেন। তিনি শুধু বাংলা নয় ভারতীয় সিনেমাকেও সমৃদ্ধ করেছেন সমান ভাবে। নিরসল পরিশ্রম, দক্ষতা, সৌন্দর্য, নিখুঁত অভিনয়, পাহাড় প্রমাণ ব্যক্তিত্বই দর্শকের কাছে তাঁকে করে তুলেছিল স্বপ্ন সুন্দরী।


•১৯৩১ সালে পাবনা শহরের দিলানপুর মহল্লায় হেমসাগর লেনে অবস্থিত বাড়িতে সুচিত্রা সেনের জন্ম। তার ডাক নাম রমা। পাবনার মহাখালি পাঠশালায় প্রাইমারি পাঠ চুকিয়ে তিনি ভর্তি হন পাবনা গার্লস স্কুলে। এখানে দশম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন তিনি। এরপর ১৯৪৭ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসে স্বামীর হাত ধরে কলকাতায় চলে যান। আর তারপরেই ঘটনাচক্রে অভিনয়ে আসা ৷ রমা নাম থেকে সুচিত্রা হয়ে ওঠা !


•ছবির জগতে তিনি ছিলেন শীর্ষে৷ বাংলায় সাড়া ফেলার পর, হিন্দি ছবিতেও ডাক পান সুচিত্রা৷ সেখানেও তিনি ছাপ ফেলে আসেন তাঁর অভিনয় দক্ষতা ও সৌন্দর্যের৷


•বাঙালির মনে সুচিত্রার ছবিটা কখনও বদলে যেতে দেননি তিনি৷ এখনও সুচিত্রা বললেই উজ্জ্বল দুটো চোখ, এক চিলতে হাসি আর ছবির ব্যক্তিময়ী নায়িকাকেই সকলের মনে পড়ে৷ কারণ সিনেমা থেকে অবসর নেওয়ার পর তাঁকে কোথাও কখনও দেখা যায়নি৷ কোনও প্রলোভনই যেন টলাতে পারেনি তাঁর অন্তরালে থাকার সিদ্ধান্তকে৷ তাই সুচিত্রা মানেই চিরযৌবনের প্রতীক৷


•সুচিত্রার কোলে ছোট্ট রাইমা(Raima Sen)৷ দিদার জন্মদিনে (Suchitra Sen birthday)এমনই একটি ছবি পোস্ট করেন তিনি৷ এই ছবিতে সুচিত্রার চেহারায় যেন হাল্কা বয়সের ছাপ পড়েছে৷ নিজের দিদার এমন চেহারা সম্ভবত প্রথমবার সকলের সামনে আনলেন রাইমা৷ সৌন্দর্য্যে যেন কখনও তাঁর সঙ্গে ছাড়েনি, তাই এই ছবিতেও তিনি সমানভাবে সুন্দর, সাবলীল৷