*ডিসেম্বর, জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন টলিউডের জনপ্রিয় একাধিক তারকা। একে করোনার প্রকোপ, তার ওপরে শুটিংয়ের চাপ...কেউ দূরে কথাও হানিমুনে যাওয়ার প্ল্যান থাকা স্বত্বেও যেতে পারেননি। ঘরের কাছেই কোথাও কাটিয়ে এসেছেন দু-একটা দিন। আবার কেউ সেই সময়টুকুও করে উঠতে পারেননি। রাত পোহালেই পয়লা বৈশাখ (Bengali New Year)। টলিউডের চার জনপ্রিয় তারকা জুটি এই বিশেষ দিনে কী করবেন? বন্ধু-বান্ধব নাকি পরিবারের সঙ্গে কাটাবেন সারাদিন? দুপুরের মেনুতেই বা কি থাকবে? সেই সব ভাগ করে নিলেন news18bangla.com -র সঙ্গে...(সাক্ষাৎকারঃ শুভাগতা দে)
*ত্বরিতা চট্টোপাধ্যায়-সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় (Twarita Chatterjee-Sourav Banerjee): ১৫ জানুয়ারি তরুণ কুমারের নাতি তথা অভিনেতা সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন উত্তর কলকাতার বনেদি ব্যবসায়ী পরিবারের মেয়ে অভিনেত্রী ত্বরিতা চট্টোপাধ্যায়। বিয়ের পরে এটাই তাঁদের প্রথম পয়লা বৈশাখ। প্রথম দোলের দিনে যেভাবে সকাল থেকে রাত ছুটিয়ে আনন্দ করেছিলেন দু'জনে, এ দিন অবশ্য তা হবে না। কারণ ত্বরিতার 'কড়ি খেলা'র শুটিং রয়েছে। ফলে বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বিকেলে শাশুড়ি মায়ের দেওয়া গ্রে আর হলুদের কম্বিনেশনের ঢাকাই পরে সৌরভ এবং বন্ধুদের সঙ্গে কোনও বাঙালি রেস্তোরাঁয় খাওয়াদাওয়া করবেন জমিয়ে।
*প্রথম বছর একসঙ্গে পয়লা বৈশাখ। ফলে অবশ্যই তা স্পেশ্যাল। ত্বরিতা এ দেশিয়, ফলে চিংড়ি মাছের পোকা। পছন্দ চিংড়ির মালাইকারি, পোস্তর বড়া, খাসির মাংস। বউমা চিংড়ি ভালবাসে, তাই মাঝেমধ্যেই শাশুড়ি মালাইকারি বানান। ত্বরিতা বায়না না করলেও মনের আশা শাশুড়ি মা বছরের প্রথম দিনেও মালাইকারিটা আর একবার বানান। কেনাকাটাও হয়েছে দুই বাড়ির জন্য। ত্বরিতা বলেন, "দুই বাড়ির জন্য কেনাকাটা করেছি দু'জনে মিলে। সৌরভকে নতুন পাজামা পাঞ্জাবি কিনে দিয়েছি। শাশুড়ি মা শাড়ি দিয়েছেন, তাই সৌরভ ওয়েস্টার্ন আউটফিট কিনে দিল। "
*নীল ভট্টাচার্য-তৃণা সাহা (Neel Bhattachariya-Trina Saha): বিয়ের পরে নীল-তৃণা র প্রথম পয়লা বৈশাখ। সবে দার্জিলিং ঘুরে বাড়ি ফিরেছেন দু'জনে। তবে নববর্ষের দিনটা এক্কেবারে বাড়ির জন্য বরাদ্দ। দুপুরে পরিবারের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া, বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে ডিনার। খুব ব্যস্ততার মধ্যেই তৃণা জানিয়েছেন, "কালকে সব আমাদের পছন্দের রান্না হবে। বাসন্তী পোলাও, পাঁঠার মাংস, চিংড়ির মালাইকারি, আমার চাটনি।"
*ওম সাহানি-মিমি দত্ত (Om Sahani-Mimi Dutta): বিয়ের পরে প্রথম নববর্ষ হলেও, এ দিন সকাল থেকে রাত ওম 'ডান্স বাংলা ডান্স'র শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকবে। ২২ এপ্রিল সোদপুরে ভোট, তাই ওমের বাড়ির কেউ কলকাতায় আসতে পারছেন না। ফলে এখনও তেমন কোনও প্ল্যান নেই নবদম্পতি ওম-মিমির। তবে মিমি টালিগঞ্জে মায়ের বাড়িতে চলে যাবেন সকালে কিছু কাজ সেরেই। সেখানে দুপুরের মেনুতে থাকবে পোলাও আর কচি পাঁঠার ঝোল। যদিও পোলাও মিমির বিশেষ পছন্দের নয়, তাই তাঁর জন্য সাদা ভাত। রাতে অবশ্য কোয়ালিটি টাইম কাটাবেন দু'জনে।
*নতুন জামাকাপড় থাকলেও পয়লা বৈশাখের নাম করে তাই কেনাকাটাও হয়নি কিচ্ছু। মিমি বলেন, "ওম দিন কয়েক ধরে শুটিংয়ে ভীষণ ব্যস্ত। তাই কথাও যেতে পারিনি। দু-চারদিন্দ্র মধ্যে ওঁর কাজের চাপ একটু কমলেই শপিং করব সকলের জন্য। আমাদের পোস্ট পয়লা সেলিব্রেশন হবে। তখন আর একবার দুই বাড়ির সকলে মিলে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া হবে।"
*দেবলীনা কুমার-গৌরব চট্টোপাধ্যায় (Devlina Kumar-Gourab Chateerjee): শুটিংয়ে সকাল থেকে রাত ব্যস্ত থাকবেন দেবলীনা এবং গৌরব দু'জনেই। তাই বিয়ের পরে প্রথম বর্ষবরণ হলেও, কোনও প্ল্যান নেই। গৌরব এবং দেবলীনার সাইকেল প্রেম এবং ফিটনেসের কথা কে না জানে! প্রায় প্রতিদিন দু'জনের সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়ার ছবি দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়। নতুন বছরের উপহারেও দু'জন একে অপরকে দিয়েছেন 'সাইক্লিং জার্সি'।
*তবে দুই বাড়ির বড়দের জন্যই শাড়ি-পাঞ্জাবি থেকে যা যা কেনা প্রয়োজন, সব উপহার কিনেছেন। পয়লা বৈশাখ মানেই স্পেশাল খাওয়া-দাওয়া। দেবলীনা বলেন, "সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শুটিং চলবে। তাই আদেও কখন খাওয়ার সময় পাব, তাই জানি না। ফলে স্পেশ্যাল কিচ্ছু নেই। তবে বছরের প্রথমদিন দু'জনেই নিজেদের পছন্দের কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকব এটাই বড় প্রাপ্তি।"
*মানালী দে-অভিমুন্য মুখোপাধ্যায় (Manali Dey-Abjimanyu Mukhopadhyay): বিয়ের পরে এটা মানালি-অভিমন্যুরও এটা প্রথম পয়লা বৈশাখ। কিন্তু করোনার জন্য বাড়ির বাইরে কোথাও যাওয়ার প্ল্যান নেই তাঁদের। বাড়িতে বয়স্করা রয়েছেন, তাই সকলের সঙ্গে বাড়িতে জমিয়ে খাওয়া-দাওয়া হবে। যদি দিনে সময় বের করতে পারেন দিনে, একান্তই না হলে রাতে। কোনও অনুষ্ঠান হলে পাঁঠার মাংস তো থাকেই, কালকেও তার ব্যতিক্রম হবে না। মানালি বা অভিমুন্যু কেউই পোলাও বা ফ্রায়েড রাইসের ভক্ত নন। তাই ভাতই থাকবে কচি পাঁঠার সঙ্গে।
*মানালির এবং অভিমন্যু বাড়ির সকলের প্রয়োজনীয় জামাকাপড় কিনেছেন নববর্ষ উপলক্ষে। তাঁরাও উপহার পেয়েছেন বড়দের থাকে। মানালি বলেন, "নববর্ষ মানে স্পেশ্যাল তো বটেই। ছোট থেকেই নতুন কিছু না কিছু কেনা। নতুন জামা উপহার পাওয়া হালখাতা করতে গিয়ে মিষ্টির প্যকেট নিয়তে বাড়ি ফেরা। এখন আর সে সব না হলেও নতুন জামাটা হয়। এবারে শাশুড়ি এবং বাবা দু'জনেই নতুন জামা দিয়েছেন। সেগুলো পরব, তবে বাড়িতেই থাকব।"