Piyush Pandey: ফেভিকল, ক্যাডবেরির সেইসব কিংবদন্তি বিজ্ঞাপন...‘সুর থেমে গেল’ তার স্রষ্টার, প্রয়াত সেই অ্যাডম্যান পীযূষ পাণ্ডে
- Published by:Satabdi Adhikary
Last Updated:
পাণ্ডে ১৯৮২ সালে ওগিলভি অ্যান্ড ম্যাথার ইন্ডিয়ার (বর্তমানে ওগিলভি ইন্ডিয়া) মাধ্যমে একজন ট্রেনি অ্যাকাউন্ট এক্সিকিউটিভ হিসেবে তাঁর বিজ্ঞাপনী কর্মজীবন শুরু করেন এবং একসময়ে সৃজনশীল বিভাগে স্থানান্তরিত হন।
মুম্বই: থেমে গেল ‘তোমার সুর, মোদের সুর’-এর শব্দ ঝঙ্কার৷ বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি নাম, প্রবীণ সেলিব্রিটি পীযূষ পাণ্ডে৷ শুক্রবার সকালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন। বিজ্ঞাপন শিল্প তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে এই শিল্পের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত পাণ্ডে মৃত্যুর আগে প্রায় এক মাস ধরে কোমায় ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
ক্যাডবেরি ডেয়ারি মিল্কের সেই যে বিজ্ঞাপন৷ যা আমাদের ছেলেবেলা জুড়ে রয়েছে৷ প্রেমিক ক্রিকেটারের সিক্সারে মাঠে নেমে প্রেমিকার মিষ্টি নাচ৷ ‘কুচ খাস হ্যায় জিন্দেগি মে’৷ কিংবা ফেভিকল-এর একগুচ্ছ মজার বিজ্ঞাপন, ‘ফেভিকল কা মজবু জোর হ্যায়, টুটেগা নেহি’৷ এমন সমস্ত আইকনিক লাইন, আইকনিক ভিজ্যুয়াল, আইকনিক ট্রিটমেন্ট ভারতের বিজ্ঞাপন জগৎ পীযূষ পাণ্ডের আগে মনে হয় দেখেনি৷ তাঁর জীবনের অন্যতম মাইলস্টোন ছিল ‘মিলে সুর মেরা তুমহারা’ ক্যাম্পেন৷
advertisement
পাণ্ডে ১৯৮২ সালে ওগিলভি অ্যান্ড ম্যাথার ইন্ডিয়ার (বর্তমানে ওগিলভি ইন্ডিয়া) মাধ্যমে একজন ট্রেনি অ্যাকাউন্ট এক্সিকিউটিভ হিসেবে তাঁর বিজ্ঞাপনী কর্মজীবন শুরু করেন এবং একসময়ে সৃজনশীল বিভাগে স্থানান্তরিত হন। বছরের পর বছর ধরে তিনি এজেন্সির শীর্ষ নেতৃত্বের কিছু ভূমিকা পালন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে জাতীয় সৃজনশীল পরিচালক, নির্বাহী চেয়ারম্যান (ভারত) এবং গ্লোবাল চিফ ক্রিয়েটিভ অফিসারের পদও।
advertisement
২৭ বছর বয়সে পাণ্ডে ইংরেজি-অধ্যুষিত বিজ্ঞাপনের জগতে প্রবেশ করেন এবং এটিকে চিরতরে বদলে দেন। এশিয়ান পেইন্টস (হর খুশি মে রঙ লায়ে), ক্যাডবেরি (কুছ খাস হ্যায়), ফেভিকল এবং হাচের মতো ব্র্যান্ডের জন্য তাঁর কাজ বিজ্ঞাপনগুলিকে সাংস্কৃতিক দিক থেকেও অনন্য করে তোলে।২৭ বছর বয়সে পাণ্ডে ইংরেজি-অধ্যুষিত বিজ্ঞাপনের জগতে প্রবেশ করেন এবং এটিকে চিরতরে বদলে দেন। এশিয়ান পেইন্টস (হর খুশি মে রঙ লায়ে), ক্যাডবেরি (কুছ খাস হ্যায়), ফেভিকল এবং হাচের মতো ব্র্যান্ডের জন্য তাঁর কাজ বিজ্ঞাপনগুলিকে সাংস্কৃতিক দিক থেকেও অনন্য করে তোলে।
advertisement
জয়পুরে তাঁর জন্ম, বিজ্ঞাপনের সঙ্গে প্রথম যোগাযোগ খুব অল্প বয়সে, যখন তিনি এবং ভাই প্রসূন দৈনন্দিন পণ্যের রেডিও জিঙ্গলে কণ্ঠ দিতেন। ১৯৮২ সালে ওগিলভিতে যোগদানের আগে তিনি বিভিন্ন কাজ করেছিলেন- ক্রিকেট খেলা থেকে শুরু করে টি টেস্টিং এবং এমনকি নির্মাণ কাজ। তবে ওগিলভিই তাঁর প্রতিভার স্ফূরণের স্থান হয়ে ওঠে।
advertisement
advertisement
advertisement
২০০৪ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রথম এশীয় জুরি সভাপতি হিসেবে পাণ্ডে ইতিহাস সৃষ্টি করেন। পরে তিনি CLIO লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড (২০১২) এবং পদ্মশ্রী লাভ করেন, ভারতীয় বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি এত পুরস্কারে সম্মানিত হন। ভারতের সবচেয়ে স্মরণীয় রাজনৈতিক স্লোগানগুলির মধ্যে একটি "অব কি বার, মোদি সরকার"-এর নেপথ্যেও ছিল পাণ্ডের প্রতিভা।
