Salman Khan Disease: যন্ত্রণায় কুঁকড়ে যেতেন সলমন...মরে যেতে ইচ্ছে করতো! এমন বিরল রোগ...১০০০০০ এর মধ্যে ১২ জনের হয়

Last Updated:
সলমন খান এমন একজন স্টার যাঁর ফ্যানেরা তাঁর প্রতি মনে হয় সবচেয়ে বেশি কমিটেড৷ কিন্তু, তাঁর সেই ফ্যানেদেরও অনেকে জানেন না যে, সলমন খান অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক এবং বিরল রোগে আক্রান্ত ছিলেন৷
1/9
অনেকদিন পরে সল্লু মিঞার ফ্যানেদের অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে৷ সিনেমা হল কাঁপাতে আসছে ‘সিকান্দর’৷ বর্তমানে সেই সিনেমার প্রচারেই ব্যস্ত তিনি৷
অনেকদিন পরে সল্লু মিঞার ফ্যানেদের অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে৷ সিনেমা হল কাঁপাতে আসছে ‘সিকান্দর’৷ বর্তমানে সেই সিনেমার প্রচারেই ব্যস্ত তিনি৷
advertisement
2/9
সলমন খান এমন একজন স্টার যাঁর ফ্যানেরা তাঁর প্রতি মনে হয় সবচেয়ে বেশি কমিটেড৷ কিন্তু, তাঁর সেই ফ্যানেদেরও অনেকে জানেন না যে, সলমন খান অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক এবং বিরল রোগে আক্রান্ত৷ সে রোগের যন্ত্রণা এতটাই কষ্টের যে মুখের বিভিন্ন অংশে ইলেক্ট্রিক শক দেওয়ার মতো যন্ত্রণা করে৷
সলমন খান এমন একজন স্টার যাঁর ফ্যানেরা তাঁর প্রতি মনে হয় সবচেয়ে বেশি কমিটেড৷ কিন্তু, তাঁর সেই ফ্যানেদেরও অনেকে জানেন না যে, সলমন খান অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক এবং বিরল রোগে আক্রান্ত ছিলেন৷ সে রোগের যন্ত্রণা এতটাই কষ্টের যে মুখের বিভিন্ন অংশে ইলেক্ট্রিক শক দেওয়ার মতো যন্ত্রণা করে৷
advertisement
3/9
২০০৭ সালে 'পার্টনার' সিনেমার শুটিংয়ের সময় সালমান খান প্রথম এই রোগের লক্ষণ অনুভব করতে শুরু করেন। তারপরের বছরগুলো টানা তাঁকে এই মারণ যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে৷ এই রোগে এত বীভৎস যন্ত্রণা হয় যে এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি৷ সেই কারণে এই রোগকে ‘সুইসাইড ডিসিস’ও বলা হয়৷
২০০৭ সালে 'পার্টনার' সিনেমার শুটিংয়ের সময় সালমান খান প্রথম এই রোগের লক্ষণ অনুভব করতে শুরু করেন। তারপরের বছরগুলো টানা তাঁকে এই মারণ যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে৷ এই রোগে এত বীভৎস যন্ত্রণা হয় যে এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি৷ সেই কারণে এই রোগকে ‘সুইসাইড ডিসিস’ও বলা হয়৷
advertisement
4/9
সলমন খান যে রোগে আক্রান্ত ছিলেন সেই রোগের নাম ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া৷ ট্রাইজেমিনাল মানবশরীরেরমুখের একটি স্নায়ু৷ এটি মানুষের মুখের অভিব্যক্তি নিয়ন্ত্রণ করে৷
সলমন খান যে রোগে আক্রান্ত ছিলেন সেই রোগের নাম ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া৷ ট্রাইজেমিনাল মানব শরীরের মুখের একটি স্নায়ু৷ এটি মানুষের মুখের অভিব্যক্তি নিয়ন্ত্রণ করে৷
advertisement
5/9
এই বিরল স্নায়বিক রোগে মানুষের চোয়াল, গাল, ঠোঁট এবং নাকে থেকে থেকেই ভয়ঙ্কর যন্ত্রণা হয়, একেবারে ইলেক্ট্রিক শক দেওয়ার মতো যন্ত্রণা৷ তার সঙ্গে অত্যন্ত মাথার যন্ত্রণা তো থাকেই৷
এই বিরল স্নায়বিক রোগে মানুষের চোয়াল, গাল, ঠোঁট এবং নাকে থেকে থেকেই ভয়ঙ্কর যন্ত্রণা হয়, একেবারে ইলেক্ট্রিক শক দেওয়ার মতো যন্ত্রণা৷ তার সঙ্গে অত্যন্ত মাথার যন্ত্রণা তো থাকেই৷
advertisement
6/9
কখনও কখনও ব্যথার ঝাঁকুনি এবং কখনও কখনও জ্বালাপোড়ার মতো অনুভূতি হয়৷ হঠাৎ করেই মুখের একপাশে তীব্র ব্যথা হতে শুরু করে। এই ব্যথা চিবানো, কথা বলা বা মুখ স্পর্শ করার মতো স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপের কারণেও হতে পারে। ব্যথা তীব্র, শক দেওয়ার মতো (যেমন বৈদ্যুতিক শক) অথবা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এটি কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে এবং বারবার ঘটতে পারে। সলমন বলেছিলেন, ব্যথাটা এমন যেন মুখে একটানা কেউ ঘুষি মেরে চলেছে।
কখনও কখনও ব্যথার ঝাঁকুনি এবং কখনও কখনও জ্বালাপোড়ার মতো অনুভূতি হয়৷ হঠাৎ করেই মুখের একপাশে তীব্র ব্যথা হতে শুরু করে। এই ব্যথা চিবানো, কথা বলা বা মুখ স্পর্শ করার মতো স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপের কারণেও হতে পারে। ব্যথা তীব্র, শক দেওয়ার মতো (যেমন বৈদ্যুতিক শক) অথবা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এটি কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে এবং বারবার ঘটতে পারে। সলমন বলেছিলেন, ব্যথাটা এমন যেন মুখে একটানা কেউ ঘুষি মেরে চলেছে।
advertisement
7/9
জার্নাল অফ হেডেক অ্যান্ড পেইন-এ প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে, ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া প্রতি বছর ১০০,০০০ জনের মধ্যে প্রায় ১২ জনকে প্রভাবিত করে, যার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ৫০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায়। তবে, অল্পবয়সী ব্যক্তি এমনকি শিশুদেরও এই রোগ হতে পারে, যা প্রায়শই ভুল রোগ নির্ণয়ের দিকে পরিচালিত করে।
জার্নাল অফ হেডেক অ্যান্ড পেইন-এ প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে, ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া প্রতি বছর ১০০,০০০ জনের মধ্যে প্রায় ১২ জনকে প্রভাবিত করে, যার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ৫০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায়। তবে, অল্পবয়সী ব্যক্তি এমনকি শিশুদেরও এই রোগ হতে পারে, যা প্রায়শই ভুল রোগ নির্ণয়ের দিকে পরিচালিত করে।
advertisement
8/9
সেই কঠিন যন্ত্রণাদায়ক সময়ের কথা মনে করে সলমন খান একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘এই রোগে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি। অসহ্য যন্ত্রণা হত, সেসব আমি সহ্য করেছি।"তিনি বলেন, "আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, যত যন্ত্রণাই হোক না কেন, আমাকে কঠোর পরিশ্রম করে যেতে হবে৷’’
সেই কঠিন যন্ত্রণাদায়ক সময়ের কথা মনে করে সলমন খান একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘এই রোগে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি। অসহ্য যন্ত্রণা হত, সেসব আমি সহ্য করেছি।"তিনি বলেন, "আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, যত যন্ত্রণাই হোক না কেন, আমাকে কঠোর পরিশ্রম করে যেতে হবে৷’’
advertisement
9/9
২০১১ সালে আমেরিকায় অস্ত্রোপচার করান সলমন৷ তার পরে তিনি স্বস্তি পান। সলমন ছাড়াও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইলিয়াম গ্ল্যাডস্টোন, বিখ্যাত লেখিকা মেলিসা সেমুর এবং আমেরিকান সঙ্গীতশিল্পী এবং কোর্টনি কার্দাশিয়ানের স্বামী ট্র্যাভিস বার্কারও এই রোগের সাথে লড়াই করেছেন।
২০১১ সালে আমেরিকায় অস্ত্রোপচার করান সলমন৷ তার পরে তিনি স্বস্তি পান। সলমন ছাড়াও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইলিয়াম গ্ল্যাডস্টোন, বিখ্যাত লেখিকা মেলিসা সেমুর এবং আমেরিকান সঙ্গীতশিল্পী এবং কোর্টনি কার্দাশিয়ানের স্বামী ট্র্যাভিস বার্কারও এই রোগের সাথে লড়াই করেছেন।
advertisement
advertisement
advertisement