Rakesh Roshan: বিল দেওয়ার জন্য একটা পয়সাও থাকত না ! বলিউডে সাফল্য পাওয়ার আগে ভয়ঙ্কর কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল, অবশেষে মুখ খুললেন রাকেশ রোশন
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
Rakesh Roshan Recalls Tough Times Before Bollywood Success: Netflix-এর লেটেস্ট ডকুমেন্টারি সিরিজ ‘দ্য রোশনস’-এ উঠে এসেছে বলিউডের অন্যতম প্রভাবশালী পরিবারের পরম্পরা। সেই পরিবারের তিন প্রজন্মকে দেখানো হয়েছে তাতে। আর সেই তিন প্রজন্মের সদস্যদের লড়াই, জয় এবং ভারতীয় চলচ্চিত্র দুনিয়ায় তাঁদের অবদানের কথাও উঠে এসেছে।
Netflix-এর লেটেস্ট ডকুমেন্টারি সিরিজ ‘দ্য রোশনস’-এ উঠে এসেছে বলিউডের অন্যতম প্রভাবশালী পরিবারের পরম্পরা। সেই পরিবারের তিন প্রজন্মকে দেখানো হয়েছে তাতে। আর সেই তিন প্রজন্মের সদস্যদের লড়াই, জয় এবং ভারতীয় চলচ্চিত্র দুনিয়ায় তাঁদের অবদানের কথাও উঠে এসেছে। কেরিয়ারের শুরুর দিকে কীভাবে তাঁকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছিল, সে কথা তুলে ধরেছেন রোশন পরিবারের সদস্য রাকেশ রোশন।
advertisement
নিজের সফরের কথা ভাগ করে নিয়ে রাকেশ রোশন বলেন যে, “আমার দায়-দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছিল। স্ত্রী পিঙ্কি তো বেশ প্রভাবশালী ও বিখ্যাত পরিবারের মেয়ে। আর সেখানে আমরা থাকতাম একটি দু-কামরার ঘরে। অনেক সময় তো এটাও মনে হত যে, কীভাবে আমি মাসিক বিল পরিশোধ করব? কখনও কখনও তো বন্ধুদের কাছ থেকেও ধার চাইতে হত। বলতাম, আমাকে ৫০০০ টাকা ধার দিতে পারবে? বিল পরিশোধ করার মতো টাকাও আমার কাছে ছিল না। আমি প্রচুর পরিশ্রম করতেও প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু কোনও এক কারণে আমি যথেষ্ট সাফল্য পাচ্ছিলাম না।”
advertisement
এহেন সময়ে কাজ চেয়ে বারংবার প্রযোজক এবং পরিচালকদের ফোনও করতেন রাকেশ। তাঁর কথায়, “কাকু দয়া করে আমায় কাজ দিন। এমনকী ছোট্ট ছোট্ট চরিত্রে অভিনয় করার জন্য আমি পারিবারিক অবসর যাপনেও যেতাম না। রাকেশের বক্তব্য, ধরুন আমরা কোথাও যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। বাড়ি থেকে প্রায় বেরিয়ে গিয়েছি। সেই সময় হঠাৎই একটা ফোনে জানতে পারলাম যে, কোনও এক ছবিতে আমি ছোট্ট একটা চরিত্র পেয়েছি। আমি ভাবতাম যে, এর জন্য আমি ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পাব। তাই আমি বাচ্চাদের সঙ্গে ছুটি কাটাতে যেতাম না। তাই পিঙ্কিই ওদের নিয়ে চলে যেত।”
advertisement
ওই সিরিজে বাবার লড়াই নিয়ে মুখ খুলেছেন স্বয়ং হৃতিক রোশনও। তিনি বলেন, “আমার বাবা যে সফরটা পার করেছিল, সেটা আমি দেখেছি। খুবই কঠিন ছিল সময়টা। আমি একটা সাক্ষাৎকার পড়েছিলাম, মনে আছে বাবা বলেছিল যে, আমি নিজেকে প্রমাণ না করে মরব না। আর আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে যেতাম, দয়া করে আমার বাবাকে সফল করে দাও। আমার বাবার ইচ্ছা এবং সেই স্বীকৃতি দেখার প্রয়োজন। তিনি যুদ্ধে চালিয়ে গিয়েছিলেন।”
advertisement
সমস্ত ব্যর্থতা সত্ত্বেও দর্শকদের নজর কাড়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন রাকেশ। ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকার জন্য খলনায়ক হিসেবে কাজ চালিয়ে গিয়েছেন। রাকেশ রোশনের কথায়, “আমি বাস স্টপে দাঁড়িয়ে থাকতাম। একটাই চিন্তা মাথায় ঘুরত যে, পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন, আমি এভাবেই দাঁড়িয়ে থাকব। কোনও এক সময়ে হয়তো একটা বাস আসবে আর আমায় এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
advertisement
১৯৭৭ সালে শিকেয় ছেঁড়ে রাকেশ রোশনের ভাগ্য। পরিচালক বাসু চট্টোপাধ্যায়ের ‘প্রিয়তমা’ ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয়ের সুযোগ পান। যদিও এক্ষেত্রেও ছিল একটি চ্যালেঞ্জ। তিনি জানান যে, “একদিন প্রযোজক কল করে বলেন যে, আমরা অন্য কাউকে চাইছি। কারণ ডিস্ট্রিবিউটর এবং ফিল্মের নায়িকা তোমার সঙ্গে কাজ করতে চাইছেন না। কারণ তাঁদের দাবি, তোমায় যদি ছবিতে নেওয়া হয়, তাহলে ছবি বিক্রি হবে না। এরপর বাসুদা আমার কাছে এসে বলেন, দাঁড়াও তোমার জন্য ছবিতে আরও একটা ভাল চরিত্র রয়েছে। আর সেটা হল- গুড্ডু। যেহেতু এই অনুরোধটা বাসুদা করেছিলেন, তাই আমিও ফেলতে পারিনি। কিন্তু আমি খুব আঘাত পেয়েছিলাম। কেন এমনটা হল? আমি ছাদে গিয়ে ঈশ্বরকে অভিযোগ জানিয়ে বলতাম যে, কেন তুমি আমার সঙ্গে এমনটা করছো। আমি তো পরিশ্রম করছি।”
advertisement