বলিউডের কুখ্যাত ছবিগুলোর একটা, এখন যদিও তরুণ প্রজন্মের দারুণ পছন্দের, ‘মেরা নাম...’ দিয়ে শুরু হওয়া সংলাপগুলো মনে পড়ে?

Last Updated:
Bollywood Most Infamous Cult Film : মুক্তির পর এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, কিন্তু পরে পুনরায় মুক্তি পায়। এই নিম্নমানের ছবিটিই এখন তরুণ প্রজন্মের কাছে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
1/7
বলিউডে প্রতি বছর ১,৫০০-এরও বেশি ছবি নির্মিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে বি এবং সি গ্রেড ছবিও। সাধারণত বি এবং সি গ্রেড ছবিগুলি ছোট শহরের দর্শকদের লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়। ১৯৯৮ সালে প্রেক্ষাগৃহে এরকম একটি সি গ্রেড ছবি মুক্তি পায়। মুক্তির পর এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, কিন্তু পরে পুনরায় মুক্তি পায়। এই নিম্নমানের ছবিটিই এখন তরুণ প্রজন্মের কাছে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সত্যি বলতে কী, কল্পনা করাও অসম্ভব যে, একটি সি-গ্রেড ছবি কাল্ট ক্লাসিক মর্যাদা পাবে!
বলিউডে প্রতি বছর ১,৫০০-এরও বেশি ছবি নির্মিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে বি এবং সি গ্রেড ছবিও। সাধারণত বি এবং সি গ্রেড ছবিগুলি ছোট শহরের দর্শকদের লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়। ১৯৯৮ সালে প্রেক্ষাগৃহে এরকম একটি সি গ্রেড ছবি মুক্তি পায়। মুক্তির পর এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, কিন্তু পরে পুনরায় মুক্তি পায়। এই নিম্নমানের ছবিটিই এখন তরুণ প্রজন্মের কাছে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সত্যি বলতে কী, কল্পনা করাও অসম্ভব যে, একটি সি-গ্রেড ছবি কাল্ট ক্লাসিক মর্যাদা পাবে!
advertisement
2/7
১৯৯৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর এই রকম একটি ছবি মুক্তি পায়, যা একেবারেই অযৌক্তিক বলে মনে করা হয়েছিল। তবে এই নিম্নমানের ছবির সংলাপ এবং চরিত্রগুলি এতটাই অদ্ভুত ছিল যে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের সম্পর্কে মিম শেয়ার করা হচ্ছে। ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তী প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন। মিঠুন যেখানে সাইকেলের পিছনে বসে রিভলবার দিয়ে আক্রমণ করছেন সেই দৃশ্যটি সবচেয়ে জনপ্রিয় মিম হয়ে উঠেছে। এই ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন কান্তি শাহ, এর নাম গুণ্ডা।
১৯৯৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর এই রকম একটি ছবি মুক্তি পায়, যা একেবারেই অযৌক্তিক বলে মনে করা হয়েছিল। তবে এই নিম্নমানের ছবির সংলাপ এবং চরিত্রগুলি এতটাই অদ্ভুত ছিল যে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের সম্পর্কে মিম শেয়ার করা হচ্ছে। ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তী প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন। মিঠুন যেখানে সাইকেলের পিছনে বসে রিভলবার দিয়ে আক্রমণ করছেন সেই দৃশ্যটি সবচেয়ে জনপ্রিয় মিম হয়ে উঠেছে। এই ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন কান্তি শাহ, এর নাম গুণ্ডা।
advertisement
3/7
গুণ্ডা ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তী ছাড়াও মুকেশ ঋষি, শক্তি কাপুর, হরিশ প্যাটেল, ইশরাত আলি, মোহন জোশী, স্বপ্না সাপ্পু, রামি রেড্ডি, গুলশন রানা, রজ্জাক খান, বব্বনলাল যাদব, দীপক শিরকে এবং রানা জং বাহাদুরের মতো অভিনেতারা অভিনয় করেছিলেন। ছবির সংলাপগুলি লিখেছেন বশির বাব্বর এবং প্রযোজনা করেছেন অনিল সিং। ছবির সঙ্গীত সুপার ফ্লপ হয়েছিল। আশ্চর্যজনকভাবে, ছবিটির IMDb রেটিং ৭.৩।
গুণ্ডা ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তী ছাড়াও মুকেশ ঋষি, শক্তি কাপুর, হরিশ প্যাটেল, ইশরাত আলি, মোহন জোশী, স্বপ্না সাপ্পু, রামি রেড্ডি, গুলশন রানা, রজ্জাক খান, বব্বনলাল যাদব, দীপক শিরকে এবং রানা জং বাহাদুরের মতো অভিনেতারা অভিনয় করেছিলেন। ছবির সংলাপগুলি লিখেছেন বশির বাব্বর এবং প্রযোজনা করেছেন অনিল সিং। ছবির সঙ্গীত সুপার ফ্লপ হয়েছিল। আশ্চর্যজনকভাবে, ছবিটির IMDb রেটিং ৭.৩।
advertisement
4/7
এই ছবিটি সম্পর্কে মিম তৈরির সবচেয়ে বড় কারণ হল এর সংলাপ। সিনেমার সংলাপগুলোর বেশ কিছু ছন্দোবদ্ধ ছিল। এক একটা চরিত্রের জন্য এক একটা পাঞ্চ লাইন লেখা হয়েছিল। ছবির চরিত্রের নামগুলিও খুব অদ্ভুত ছিল। শক্তি কাপুর চুটিয়া নামে একটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, যে কেবল একটি সংলাপ উচ্চারণ করত:
এই ছবিটি সম্পর্কে মিম তৈরির সবচেয়ে বড় কারণ হল এর সংলাপ। সিনেমার সংলাপগুলোর বেশ কিছু ছন্দোবদ্ধ ছিল। এক একটা চরিত্রের জন্য এক একটা পাঞ্চ লাইন লেখা হয়েছিল। ছবির চরিত্রের নামগুলিও খুব অদ্ভুত ছিল। শক্তি কাপুর চুটিয়া নামে একটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, যে কেবল একটি সংলাপ উচ্চারণ করত: "মেরা নাম হ্যায় চুটিয়া, আচ্ছো আচ্ছো কি খাড়ি করতা হুঁ ম্যায় খাটিয়া।" ইশরাত আলী লাম্বু আতা চরিত্রে, মুকেশ ঋষি বুল্লা চরিত্রে, রাজ্জাক খান লাকি চিকনা চরিত্রে, রামি রেড্ডি কালা শেট্টির চরিত্রে, হরিশ প্যাটেল ইবু হাতেলার চরিত্রে এবং মোহন জোশি নাতির চরিত্রে অভিনয় করেছেন। মুকেশ ঋষির চরিত্র বুল্লা সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছিল।
advertisement
5/7
ওই চরিত্রের পাঞ্চ লাইন ছিল: ‘‘মেরা নাম হ্যায় বুল্লা, রাখতা হু খুল্লা।’’ মুকেশ ঋষি বলিউডে সেই সময়ে নিজের জায়গা তৈরির জন্য সংগ্রাম করছিলেন। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে মুকেশ ঋষি বলেছেন যে, ছবিটাতে স্বাক্ষর করার জন্য তিনি অনুতপ্ত! মুকেশ ঋষি আরও বলেছেন, ‘‘কান্তি শাহের এক নিজস্ব জগৎ ছিল। আমি একজন নতুন খলনায়ক ছিলাম, তাই তিনি আমাকে অনেক টাকা দিতেন। যখন আমি শ্যুটিংয়ে আসি, প্রথম দিনই আমি বলেছিলাম, আমি কী করেছি! তিনি আমাকে স্ক্রিপ্ট দিতেন না, তিনি কেবল একটি লাইন বলে দিতেন।’’ সংলাপগুলো আসলে সেটে লেখা হয়েছিল।
ওই চরিত্রের পাঞ্চ লাইন ছিল: ‘‘মেরা নাম হ্যায় বুল্লা, রাখতা হু খুল্লা।’’ মুকেশ ঋষি বলিউডে সেই সময়ে নিজের জায়গা তৈরির জন্য সংগ্রাম করছিলেন। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে মুকেশ ঋষি বলেছেন যে, ছবিটাতে স্বাক্ষর করার জন্য তিনি অনুতপ্ত! মুকেশ ঋষি আরও বলেছেন, ‘‘কান্তি শাহের এক নিজস্ব জগৎ ছিল। আমি একজন নতুন খলনায়ক ছিলাম, তাই তিনি আমাকে অনেক টাকা দিতেন। যখন আমি শ্যুটিংয়ে আসি, প্রথম দিনই আমি বলেছিলাম, আমি কী করেছি! তিনি আমাকে স্ক্রিপ্ট দিতেন না, তিনি কেবল একটি লাইন বলে দিতেন।’’ সংলাপগুলো আসলে সেটে লেখা হয়েছিল।
advertisement
6/7
শক্তি কাপুরেরও ছবিতে অভিনয় নিয়ে আক্ষেপ রয়েছে, যাই হোক, এখন তিনি ছবিটি প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘‘আমার ধারণাই ছিল না যে ২৫ বছর পর এটি একটি কাল্ট ক্লাসিক হয়ে উঠবে। আমি খুশি যে আজকের প্রজন্ম এতে হাস্যরস খুঁজে পেয়েছে, যা আমি অভিনয় করার সময় আপত্তিকর বলে মনে করতাম।’’
শক্তি কাপুরেরও ছবিতে অভিনয় নিয়ে আক্ষেপ রয়েছে, যাই হোক, এখন তিনি ছবিটি প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘‘আমার ধারণাই ছিল না যে ২৫ বছর পর এটি একটি কাল্ট ক্লাসিক হয়ে উঠবে। আমি খুশি যে আজকের প্রজন্ম এতে হাস্যরস খুঁজে পেয়েছে, যা আমি অভিনয় করার সময় আপত্তিকর বলে মনে করতাম।’’
advertisement
7/7
গুণ্ডা মুক্তির পর নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। যখন ছবিটি সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হয়, তখন ৪০টিরও বেশি কাট হয়। কলেজের মেয়েরা যখন ছবিটির সহিংসতা এবং অশ্লীলতা সম্পর্কে সেন্সর বোর্ডের কাছে অভিযোগ করে, তখন পুরো বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। গুণ্ডা তাড়াহুড়ো করে থিয়েটার থেকে সরিয়ে ফের রিলিজ করানো হয়। অ্যাকশন ছবি হলেও আজকের তরুণ প্রজন্ম এতে হাস্যরস আবিষ্কার করে। ২০০০ সালের পর ইন্টারনেট অ্যাক্সেস বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্ররা এটিকে সর্বোচ্চ রেটিং দিতে শুরু করে। বর্তমানে IMDb-তে ছবিটির রেটিং ৭.৩। কান্তি শাহ পরিচালিত এই ছবিটির বাজেট ছিল প্রায় ১.৫ কোটি টাকা। এটি প্রায় ৪ কোটি টাকা আয় করেছে। বক্স অফিসে ব্যর্থ হলেও এটি এখন কাল্টের মর্যাদা অর্জন করেছে। ছবিটির একটি কাল্ট ফলোয়ার রয়েছে। বিষয়বস্তু, অভিনয়, সংলাপ যে মানেরই হোক না কেন, এখন তরুণ প্রজন্ম নির্বিকারভাবে এটি দেখে এবং এর হাস্যরস উপভোগও করে।
গুণ্ডা মুক্তির পর নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। যখন ছবিটি সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হয়, তখন ৪০টিরও বেশি কাট হয়। কলেজের মেয়েরা যখন ছবিটির সহিংসতা এবং অশ্লীলতা সম্পর্কে সেন্সর বোর্ডের কাছে অভিযোগ করে, তখন পুরো বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। গুণ্ডা তাড়াহুড়ো করে থিয়েটার থেকে সরিয়ে ফের রিলিজ করানো হয়। অ্যাকশন ছবি হলেও আজকের তরুণ প্রজন্ম এতে হাস্যরস আবিষ্কার করে। ২০০০ সালের পর ইন্টারনেট অ্যাক্সেস বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্ররা এটিকে সর্বোচ্চ রেটিং দিতে শুরু করে। বর্তমানে IMDb-তে ছবিটির রেটিং ৭.৩। কান্তি শাহ পরিচালিত এই ছবিটির বাজেট ছিল প্রায় ১.৫ কোটি টাকা। এটি প্রায় ৪ কোটি টাকা আয় করেছে। বক্স অফিসে ব্যর্থ হলেও এটি এখন কাল্টের মর্যাদা অর্জন করেছে। ছবিটির একটি কাল্ট ফলোয়ার রয়েছে। বিষয়বস্তু, অভিনয়, সংলাপ যে মানেরই হোক না কেন, এখন তরুণ প্রজন্ম নির্বিকারভাবে এটি দেখে এবং এর হাস্যরস উপভোগও করে।
advertisement
advertisement
advertisement