বলিউড থেকে সরে এসেছিলেন দূরদর্শনে, ক্রিকেট বিশ্বকাপ দেখার সময় মারা যান সবার প্রিয় এই অভিনেতা
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
From Bollywood To Doordarshan: থিয়েটারে অভিনয়ের কেরিয়ার শুরু করেন শফি ইনামদার। পর্দায় হোক বা মঞ্চে, প্রতিটি চরিত্রে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে নিমজ্জিত করার ক্ষমতা তাঁর উল্লেখযোগ্য।
এটি এমন একজন বলিউড অভিনেতার গল্প যাঁর কেরিয়ার শশী কাপুরের একটি চলচ্চিত্র এবং দূরদর্শনের একটি প্রিয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে উত্থিত হয়েছিল, যা তাঁকে ঘরে ঘরে পরিচিত করে তুলেছিল। সরলতা, আবেগের গভীরতা এবং স্বাভাবিক অভিনয় তাঁকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে দর্শকদের কাছে প্রিয় করে তুলেছে, ছোটপর্দা থেকে সিনেমা জগতে একটি অসাধারণ স্থান দিয়েছে।
advertisement
শাফি ইনামদারকে ভারতীয় থিয়েটার এবং সিনেমায় অত্যন্ত স্নেহের সঙ্গে স্মরণ করা হয় এমন একজন শিল্পী হিসেবে যিনি তাঁর প্রতিভা এবং নিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান অর্জন করেছিলেন। তিনি কেবল চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশনের একজন বিশিষ্ট অভিনেতাই ছিলেন না, মঞ্চেও অসাধারণ অবদান রেখেছিলেন। থিয়েটারে অভিনয়ের কেরিয়ার শুরু করেন শফি ইনামদার। পর্দায় হোক বা মঞ্চে, প্রতিটি চরিত্রে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে নিমজ্জিত করার ক্ষমতা তাঁর উল্লেখযোগ্য।
advertisement
advertisement
শাফি ইনামদার তাঁর থিয়েটার কেরিয়ার শুরু করেছিলেন গুজরাতি এবং মরাঠি মঞ্চে, যেখানে তিনি ৩০টিরও বেশি একক নাটক রচনা এবং পরিচালনা করেছিলেন। এই অভিনয়গুলি তাকে তাঁর নৈপুণ্যকে আরও উন্নত করতে এবং বিভিন্ন ধরনের চরিত্র অন্বেষণ করতে সাহায্য করেছিল।নাট্যজীবনে শফি ইনামদার ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল থিয়েটার এবং ইন্ডিয়ান পিপলস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশনের (আইপিটিএ) মতো সম্মানিত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও সহযোগিতা করেছিলেন। আইপিটিএ-তে কাটানো সময়কাল তাঁর সামাজিক ও সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রসারিত করেছিল, কারণ এই দলটি শিল্পের মাধ্যমে সামাজিক সচেতনতা তুলে ধরার জন্য পরিচিত ছিল।
advertisement
এই সময়কালেই তিনি ইসমত চুঘতাই রচিত তাঁর প্রথম পেশাদার হিন্দি নাটক নীলা কামরা পরিচালনা করেছিলেন। ১৯৮২ সালে তিনি নিজস্ব থিয়েটার কোম্পানি হাম প্রোডাকশনস প্রতিষ্ঠা করেন, যার অধীনে তিনি বেশ কয়েকটি স্মরণীয় নাটক প্রযোজনা করেন। শাফি ইনামদার ১৯৮২ সালে শশী কাপুরের বিজেতা সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন, ছবিটি গোবিন্দ নিহালনি পরিচালনা করেন। সিনেমাটি দর্শকের দরবারে তাঁর প্রতিভাকে স্বীকৃতি দেয়।
advertisement
১৯৮৩ সালের হিট সিনেমা অর্ধ সত্য-তে ইন্সপেক্টর হায়দার আলির চরিত্রে অভিনয় তাঁকে ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয়। শীঘ্রই তিনি কেবল চলচ্চিত্রেই নয়, টেলিভিশনেরও একজন পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। দূরদর্শনের সিটকম ইয়ে জো হ্যায় জিন্দেগি (১৯৮৪) তাঁর কেরিয়ারের এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়, যা তাঁকে ঘরে ঘরে জনপ্রিয় করে তোলে। তাঁর অভিব্যক্তিপূর্ণ সংলাপ পরিবেশনা এবং সূক্ষ্ম অভিব্যক্তি দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি তিনি গালিব, বাদশা জাহাঙ্গির এবং আধা সচ আধা ঝুট-সহ বেশ কয়েকটি টেলিভিশন ধারাবাহিকেও অভিনয় করেছেন।
advertisement
১৯৯৫ সালে শাফি ইনামদার ঋষি কাপুর, নানা পটেকর এবং পূজা ভাট অভিনীত হাম দোনো ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্র পরিচালনার দিকে ঝুঁকে পড়েন। ছবিটি বেশ প্রশংসিত হয় এবং তাঁর পরিচালনার গুণও আদৃত হয়। ১৯৯৬ সালের ১৩ মার্চ ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে ক্রিকেট বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলা দেখার সময় তিনি মারাত্মক হৃদরোগে আক্রান্ত হন। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এই অভিনেতা ৫০ বছর বয়সে মারা যান।
