বরাবরই যে চরিত্র তিনি পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন, সেই চরিত্রেই যেন প্রাণ ঢেলে দিয়েছেন তিনি। অথচ এত খ্যাতি এত সাফল্যের মাঝেও কিন্তু একটা সময় চরম খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল বর্ষীয়ান এই অভিনেতাকে। সেই সময় প্রচুর সংঘর্ষ করতে হয়েছিল তাঁকে। আসলে বফর্স কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে গিয়েছিল অমিতাভের। ফলে কেউ কেউ তাঁকে অপরাধীও ভাবতে শুরু করেছিলেন। এমনকী সকলেই তাঁর থেকে দূরত্ব বজায় রাখতেও শুরু করে দিয়েছিলেন।
এর আগে অবশ্য ছবি প্রযোজনার কাজ করেছিলেন তিনি। আর তাঁর পরিচালিত প্রথম ছবিই অমিতাভের ডুবন্ত কেরিয়ারকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল। যদিও বিষয়টা অতটাও সহজ ছিল না। কারণ অমিতাভকে নেওয়ার জেরে নানা হুমকির মুখে পড়েতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তাতে দমে যাননি কে সি বোকাডিয়া। আর ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পরেই হয় কামাল। বক্স অফিসে চূড়ান্ত সাফল্য পায় ‘আজ কা অর্জুন’।
ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউটররা তো ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউটররা তো তাঁর ছবি নিতেও অস্বীকার করেছিলেন। ফলে সব মিলিয়ে ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল অমিতাভের কেরিয়ারের উপর। তবে এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এক জন কিন্তু সব সময় তাঁর পাশে ছিলেন। আর সেই ব্যক্তি হলেন পরিচালক কে সি বোকাডিয়া। খারাপ সময়ে অমিতাভের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।