

▪️সুশান্তের মৃত্যুর পর অনেকে মুখ খুলেছেন বলিউডের নেপোটিজম বা পক্ষপাতিত্ব নিয়ে৷ এবার এই তালিকায় উঠে এলেন অভিনেতা অভয় দেওল৷ তাঁর অভিনয় দক্ষতা নিয়ে কোনও কথা হবে না৷ কিন্তু তিনিই বলিউডে প্রায় ব্রাত্য৷ এবার তাঁর কথায় উঠে এল সেই একই আক্ষেপ৷


▪️বলিউডে স্টারকিডদের বাড়বাড়ন্ত বা কাজ পাইয়ের দেওয়ার জন্য বিশেষ সুবিধা ছিলই৷ সুশান্তের মৃত্যু যেন সেই নোংরা দিকগুলিকে আরও স্পষ্ট করে দিল৷ পছন্দের তালিকায় না থাকলে, কাজ না দেওয়া এবং তা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অনেক পরিচালক-প্রযোজকদের বিরুদ্ধে৷


▪️সলমন খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন পরিচালক অভিনব কাশ্যপ৷ নোংরা রাজনীতির অভিযোগ করেছেন রবিনা টেন্ডন৷ এবার সামনে এলেন অভয় দেওল৷ তিনি বললেন 'এই রীতি বলিউডে বছর বছর নয়, যুগ যুগ ধরে চলছে৷ তিনিও এর শিকার'৷


▪️২০১১ মুক্তি পায় জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা৷ এই ছবিতে অভয়, ফারহানকে সরিয়ে রেখে সব অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র হৃতিকের নামই এসেছিল৷ এটা তো কাম্য নয়৷ সকলে ভাল অভিনয় করেছিলেন৷ সকলের যোগ্য সম্মান পাওয়া উচিৎ ছিল৷


▪️তাই অভয়ের মত, 'এই সব খারাপ চর্চা এমনভাবে বলিউডের সঙ্গে যুক্ত যে, সকলেই জানেন এই নোংরামো করলে সহজেই পার পেয়ে যাব, কোনও সাস্তি হবে না৷ তাই সবাই নির্লজ্জের মতো এই ধরণের চর্চা চালিয়ে যাচ্ছে'৷


▪️সুশান্তকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতেন না অভয়৷ কিন্তু বলছেন, 'ওঁর সমস্যা আমি বুঝতে পারছি৷ কারণ একই ভাবে আমিও শিকার৷'


▪️'সুশান্তের মৃত্যুর পর নয়৷ আমি এর আগেও বলেছি বলিউডের বৈশম্যের বিষয়৷ কিন্তু খারাপ লাগে এই ভেবে যে একজনের মৃত্যুতে সকলের টনক নড়ল৷ তবে আমি খুশি সকলে এই নিয়ে কথা বলছেন৷ পরিবর্তনের কথা হচ্ছে৷ শুধু বহিরাগতদের জন্য নয়, যারা ইন্ডাস্ট্রির নিজের, তাদের ওপর চলা মানসিক অত্যাচার বন্ধ হোক, এটাই চাই'৷ একটি জাতীয় দৈনিকে সাক্ষাৎকারে এমনই বলেছেন অভয় দেওল৷