বি-টাউনের কিংবদন্তী অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম হলেন পারভিন বাবি। সত্তর এবং আশির দশকে রুপোলি পর্দার দুনিয়ায় দাপিয়ে রাজত্ব করেছেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, নিজের সৌন্দর্য এবং আধুনিক ফ্যাশন সেন্সের মাধ্যমেও অনুরাগীদের মনে জায়গা করে নিতে পেরেছিলেন। সেই সময়ের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেত্রীও ছিলেন পারভিন বাবি। তবে মাত্র ৫০ বছর বয়সেই প্রয়াত হয়েছিলেন তিনি। সেই সময় বড়সড় ধাক্কা খেয়েছিলেন তাঁর ভক্তরা।
এই প্রসঙ্গে যে চর্চা হচ্ছে, সেটা বোধহয় পৌঁছেছে জিনাত আমনের কানেও। কারণ গত মাসে পারভিন বাবির জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন জিনাত আমন। সেই পোস্টে নিজের সঙ্গে পারভিন বাবির দু’টো ছবিও শেয়ার করেছেন জিনাত। তার সঙ্গে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বর্ণনা করেছেন, কীভাবে তাঁদের মিল নিয়ে চর্চা হত।
তিনি লিখেছেন, আসলে তাঁদের দু’জনেরই চুলের স্টাইল একই রকম ছিল, আবার পশ্চিমি ফ্যাশন ছিল দু’জনেরই অত্যন্ত পছন্দের। অথচ তাঁরা কেউ কখনও বিষয়টি বুঝে উঠতেই পারেননি। তবে গত বছরই তিনি বিষয়টি বুঝতে পারেন। আসলে দুবাইয়ে তাঁকে কেউ ‘পারভিন ম্যাম’ বলে সম্বোধন করেছিলেন, সেখান থেকেই জিনাত আমনের কাছে বিষয়টা স্পষ্ট হয়। তবে শুধু সমকালীন অভিনেত্রী জিনাত আমনই নন, আরও এক জন অভিনেত্রী বলিউডে এসেছিলেন, যাঁকে দেখতে অনেকটা পারভিন বাবির মতো। তিনি হলেন দীপশিখা নাগপাল।
যেমন পারভিন বাবির সঙ্গে অনেক তারকার সম্পর্ক থাকলেও তিনি অবিবাহিতই ছিলেন। আবার জিনাতের জীবনে প্রথমে এসেছিলেন সঞ্জয় খান। কিন্তু সেই বিয়ে এক বছর টিকেছিল। এর পর তাঁর জীবনে আসেন মাজহার খান। তবে কয়েক বছর পরে মৃত্যু হয়েছিল জিনাতের দ্বিতীয় স্বামীর। ফলে তাঁর মৃত্যুর পর থেকে একাকীই রয়েছেন অভিনেত্রী। অন্য দিকে আবার দীপাশিখার জীবনেও প্রেম এসেছিল। এমনকী দুবার বিয়ের পিঁড়িতেও বসেছিলেন তিনি। কিন্তু কোনও বিয়েই বেশি দিন টেকেনি।