৭ বছর নার্গিসের সঙ্গে প্রেম, বৈজয়ন্তীমালার সঙ্গে বিয়ে... তবু রাজ কাপুরকে বেঁধে রেখেছিলেন তিনি
Last Updated:
advertisement
advertisement
• এরপর একে একে রাজ কাপুরের ৫ সন্তানের মা হন কৃষ্ণা ৷ রণধীর কাপুর, ঋষি কাপুর, রাজীব কাপুর, রীতু নন্দা এবং রিমা জৈন ৷ কিন্তু এত বড় সংসারকে বেঁধে রাখাটা সহজ হয়নি কৃষ্ণার কাছে ৷ রাজ কাপুরের ক্যারিশ্মায় তখন মুগ্ধ গোটা দেশ ৷ তাঁর হাঁটাচলা, কথাবলা, তাকানো...সবটাই তখন গিলছেন সিনেপ্রেমীরা ৷ আর নায়িকাদের কথা তো ছেড়ে দেওয়াই ভাল ৷
advertisement
advertisement
advertisement
• একের পর এক নায়িকারা এসেছেন রাজের জীবনে ৷ তাঁর ছটায় তখন সবাই কাবু ৷ কিন্তু নার্গিস ছিলেন একেবারে আলাদা ব্যাপার ৷ ঋষি কাপুর তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন সেই ঐতিহাসিক প্রেমের কথা ৷ ৭ বছর টানা প্রেম করেছিলেন রাজ কাপুর-নার্গিস ৷ প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়েছিলেন তাঁরা ৷ তখন চলছিল ‘আন্দাজ’-এর শুটিং ৷ সেই শুরু ৷ বাকিটা তো ইতিহাস ৷
advertisement
• নার্গিস খুব চেষ্টা করেছিলেন রাজকে বিয়ে করার ৷ কিন্তু ৫ ছেলে-মেয়ে আর স্ত্রী রয়েছে রাজের ৷ আইনত সেটা কী করে সম্ভব ? তবু প্রেমিকার হৃদয় বলে কথা ৷ দেশের সেরা আইনজীবীর কাছেও ছুটে গিয়েছিলেন নায়িকা ৷ যদি আইনের চোখে অপরাধী না হয়েও একজন বিবাহিত মানুষকে বিয়ে করার কোনও রকম উপায় থাকে, সেটাই জানতে ৷ কিন্তু তা সম্ভব হয়নি ৷ শেষ পর্যন্ত দু’জনের পথ আলাদা হয়ে যায় ৷
advertisement
• এখানেই কিন্তু শেষ নয় ৷ নার্গিসের পর একে একে পদ্মিনী, বৈজয়ন্তীমালা, জিনত আমনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে রাজ কাপুরের ৷ বলা হয়, লুকিয়ে বৈজয়ন্তীমালাকে বিয়েও করেছিলেন রাজ ৷ কিন্তু বৈজয়ন্তীমালা বলেন, এটা নাকি তাঁদের পরবর্তী সিনেমার পাবলিসিটি স্টান্ট ছিল ৷ এরপরেই রাজ-কৃষ্ণা সম্পর্ক টালমাটাল পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছায় ৷
advertisement
• পত্র-পত্রিকায় হাজার লেখালেখি, লোকেদের মধ্যে চাপা ফিসফাস, কখনও সম্মুখেও...তবু রোজ বাড়িতেই ফিরতেন রাজ ৷ রিমা জৈন একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘বাইরে যা কিছু হয়ে যাক না কেন পাপা খুব ভালবাসতেন মা’কে ৷ নিজেদের মধ্যে খুব হাসি-ঠাট্টাও চলত তাঁদের ৷ কখনও মায়ের পা টিপে দিতেন পাপা ৷ আর বলতেন- রাজ কাপুর কা ক্যায়া হাল বনা দিয়া! মেরি বিবি মুঝে প্যার দাবানে লাগা রহি হ্যয় ৷ ঘর কি মুর্গি ডাল বরাবর!’’
advertisement
• কিন্তু বৈজয়ন্তীমালাকে ‘বিয়ে’ আর নায়িকার এমন মন্তব্যের পর ৫ ছেলে-মেয়ে কে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন কৃষ্ণা ৷ ঋষি কাপুর লিখেছেন, ‘‘বাড়ি ছেড়ে মায়ের সঙ্গে আমরা মেরিন ড্রাইভে নটরাজ হোটেলে উঠে গেলাম ৷ এর কিছুদিন পরেই পাপা আমাদের জন্য একটা নতুন অ্যাপার্টমেন্ট কিনলেন ৷ ২ মাস পরেই চিত্রকূটের সেই বাড়িতে আমরা উঠে গেলাম ৷ মা’কে বাড়ি ফিরিয়ে আনার অনেক চেষ্টা করেছিলেন পাপা ৷ কিন্তু বৈজয়ন্তীমালার বিষয়টি পুরোপুরি জীবন থেকে না মুছে ফেলা পর্যন্ত মা আসতে চাননি ৷’’
advertisement
• কৃষ্ণা রাজ কাপুর... কাপুর পরিবারে এতদিন এই নামটাই ছিল যথেষ্ট ৷ বলিউডের সবচেয়ে বড় একান্নবর্তী পরিবারের কর্তী ছিলেন তিনি ৷ বরাবর ঐতিহ্য, রক্ষণশীলতা আর নিজস্ব ঘরাণায় চলেছেন ৷ এক সময় কৃষ্ণার স্টাইল স্টেটমেন্ট অনুসরণ করতেন রাজের নায়িকারাও ৷ এত বড় পরিবারের মেরুদণ্ড হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি ৷ সোমবার ভোর কেড়ে নিল আড়ালে থাকা সেই কিংবদন্তীকে ৷ শোনা যায়, যখন রাজ-নার্গিস-কৃষ্ণার চরম টানাপোড়েন চলছে তখন এক ফিল্ম পার্টিতে নার্গিসের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি ৷
advertisement
• কৃষ্ণার হাত ধরে ভেঙে পড়েছিলেন সেই স্বপ্ন সুন্দরী ৷ এই ঝড় যে তাঁর জন্যই উঠেছে, তাও স্বীকার করেছিলেন ৷ কিন্তু সবাইকে অবাক করে নার্গিসকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন কৃষ্ণা ৷ বলেছিলেন, ‘‘আমি যদি না থাকি, তা হলে অন্য কেউ শূন্য স্থান পূর্ণ করে দেবে ৷’’ আজ তাঁর চলে যাওয়ার পরেও সেই কথাটাই যেন কানে বাজছে তাঁর প্রিয়জনদের কানে ৷