Salman Khan: ‘ছবিটা প্লিজ আমাকে দিয়ে দাও’! পরপর ফ্লপ, শেষমেশ তারকার কাছে ‘কাকুতি-মিনতি’ সলমনের?

বলিউডের সুপারস্টার সলমন খান। তবে একসময় তাঁর কেরিয়ারও ডুবতে বসেছিল। একের পর এক ছবি ফ্লপ হয়েছিল। সেসময় একটি ছবিতে কাজ পাওয়ার জন‍্য এক অভিনেতার কাছে রীতিমতো ছবি ‘ভিক্ষা’ চেয়েছিলেন ভাইজান।

পরবর্তীকালে সেই ছবি ভাইজানকে সফলতা দিতে পেরেছিল। কোন ছবি বুঝতে পারছেন কি? কে ছিলেন সেই অভিনেতা, যিনি এক অনুরোধেই সলমনকে ছেড়ে দেন তাঁর প্রজেক্ট।

সলমনের কেরিয়ারের হিট ছবির সংখ‍্যা প্রচুর। পাশাপাশি ফ্লপের সংখ‍্যাও অনেক। সলমনের ডুবতে থাকা কেরিয়ারে ফের বেঁচে উঠেছিল এই ছবি দিয়ে। সেসময় বন্ধু এক তারকাকে এই ছবি তিনি ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেন।

সলমনের সেই বন্ধু তারকা আর অন‍্য কেউ নন, গোবিন্দা। এক সাক্ষাত্‍কারে গোবিন্দা জানিয়েছিলেন, সলমন একদিন মধ‍্যরাতে ফোন করে তাঁকে একটি ছবি ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেন।

বন্ধুর অনুরোধে সেই ছবি এক লহমায় ছেড়ে দেন গোবিন্দা। ভাইজানের ডুবতে থাকা কেরিয়ার ফের পুনরুজ্জীবিত করে সেই ছবি।

গোবিন্দ বলেন, 'সে সময় আমি কেরিয়ার সফলতার শীর্ষে ছিল। যখন বেনারসী বাবু নামের একটি ছবির শুটিং চলছিল। আমিও তখন ‘জুডওয়া’-তে কাজ করছিলাম। যখন 'জুডওয়া'-এর শুটিং চলছিল, রাত ২-৩টার দিকে সলমন খান আমাকে ফোন করে জিজ্ঞেস করলেন, 'চিচি(গোবিন্দার ডাক নাম) দাদা, আর কতগুলো হিট ছবি দেবেন?' আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, 'কেন? কি হল? '

সলমন গোবিন্দকে অনুরোধ করে বলেন, ‘'জুড়ুয়া' ছবি থেকে দয়া করে নিজেকে সরিয়ে নিন।’ ছবির প্রযোজকও ছিলেন সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা। ছবিটি তখন ইতিমধ্যেই ফ্লোরে চলে গিয়েছিল, সেখানেই বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং সলমন প্রজেক্ট হাতে নেন।'

১৯৯৭ সালে মুক্তি পায় ডেভিড ধাওয়ান পরিচালিত 'জুড়ওয়া' ছবিটি। ছবিটির বাজেট ছিল ৬.২৫ কোটি টাকা। যা বক্স অফিসে ২৪.২৮ কোটি টাকা আয় করেছে।

পরবর্তীকালে গোবিন্দের কেরিয়ারে দু:সময়েও পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ভাইজান। গোবিন্দ এবং সলমনের সম্পর্ক বরারই খুব ভাল। সলমন এবং গোবিন্দার ‘পার্টনার’ ছবিটি অত‍্যন্ত জনপ্রিয়।