যথেচ্ছ ভাবে মদ্যপান তো ছিলই, দিনে খেতেন ২০০টা করে সিগারেটও! নিজের বদভ্যাসগুলি নিজেই খোলাখুলি ভাবে তুলে ধরেছিলেন বলিউডের এই সুপারস্টার
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
বি-টাউনে একটা সময় একচ্ছত্র রাজত্ব ছিল তাঁর। বলা ভাল, রুপোলি দুনিয়ার শাহেনশাহ তিনি। বয়স বাড়লেও এখনও দিব্যি চুটিয়ে কাজ করে চলেছেন। নিশ্চয়ই বোঝা যাচ্ছে যে, এখানে কোন অভিনেতার কথা বলা হচ্ছে! কথা হচ্ছে, বলিউডের সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চনের।
advertisement
advertisement
একের পর এক সিগারেট খেতেন, ছিলেন মাংস-প্রেমীও: ১৯৮০ সালে ইন্ডিয়া টুডে-র কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের অতীতের ব্যাপারে মুখ খুলেছিলেন অমিতাভ বচ্চন। জানিয়েছিলেন, তিনি ছিলেন চেন-স্মোকার। মদ্যপানের প্রতিও ছিল আসক্তি। আর তিনি ছিলেন আমিষাশী। তবে এর কারণও ব্যাখ্যা করেছেন অভিনেতা। ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে অবশ্য অভিনেতা এই আসক্তি বা অভ্যাসগুলিকে বিদায় জানাননি, বরং বিদেশে ভ্রমণের কালে নিরামিষ খাবারের সন্ধান পাওয়া যেত না। তাই খেতেই হত। তবে অবশ্য অমিতাভ এ-ও জানান যে, তাঁর স্ত্রী জয়া বচ্চন এবং মা তেজী বচ্চনও মাংস খেতে ভালবাসতেন। তবে এ নিয়ে কোনও সমস্যা হয়নি তাঁর। (Photo: Instagram)
advertisement
অভিনেতার কথায়, “আমি ধূমপান, মদ্যপান করি না কিংবা মাংস খাই না। এটা কোনও ধর্মীয় বিষয় নয়। বরং এটা হল স্বাদের ব্যাপার। আমাদের পরিবারে আমার বাবা নিরামিষাশী। আর আমার মা তা নন। একই ভাবে জয়া আমিষ খাবার খেয়ে থাকেন। কিন্তু আমি খাই না। একটা সময় আমি অবশ্য মাংস খেতাম। এমনকী আমি মদ্যপান কিংবা ধূমপানও করতাম। কিন্তু এখন সেই সমস্ত কিছু আমি ত্যাগ করেছি।” (Photo: Instagram)
advertisement
অমিতাভ বচ্চন আরও বলে চলেন, “কলকাতায় থাকাকালীন আমি দিনে ২০০টা সিগারেট খেতাম। হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন ২০০টা। কিন্তু বম্বে যাওয়ার পরে আমি সেই অভ্যাস ত্যাগ করেছি। যথেচ্ছ ভাবে আমি মদ্যপানও করতাম। যা হাতের কাছে পেতাম, তা-ই খেয়ে নিতাম। কিন্তু কয়েক বছর আগে আমি সিদ্ধান্ত নিই যে, আমার এগুলির কোনও প্রয়োজন নেই। বিদেশে শ্যুটিং করা ছাড়া আমার অভ্যাসগুলি আমায় কোনও সমস্যায় ফেলেনি। কারণ সেখানে নিরামিষ খাবার পাওয়া খুবই কঠিন।” (Photo: Instagram)
advertisement
নিজের রাগী স্বভাবের কথাও তুলে ধরেছিলেন অমিতাভ: একই সাক্ষাৎকারে অমিতাভ বচ্চন নিজের স্বভাবের বিষয়েও খোলামেলা ভাবে কথা বলেছিলেন। তিনি স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে, কম বয়সে রাগী স্বভাব ছিল তাঁর। তাঁর কথায়, “আমি নিজেকে হিংসাত্মক বলে মনে করি না। কিংবা আমি হামেশাই মেজাজ হারিয়ে ফেলি, এমনটা নয়।” তিনি আরও বলেন, “কলেজের দিনগুলিতে কিছু ঝামেলায় আমি জড়িয়ে পড়েছি। ব্যস সেটুকুই! আর পর্দার মারপিট তো খুবই অবাস্তব। এটা দেখানোর জন্য, আর এভাবেই তা গ্রহণ করতে হবে দর্শকদের।” (Photo: Instagram)
advertisement