Abhishek Chatterjee: বিয়ের দুর্লভ মুহূর্ত! বরকর্তা প্রসেনজিতের পাশে বর টলিউডের 'মাসকিউলার হিরো' অভিষেক, গা ভর্তি গয়নায় সকলের মধ্যমণি স্ত্রী সংযুক্তা

বসেছিল চাঁদের হাট। মাত্র ১৪ বছর আগেই চার-হাত এক হয়েছিল অভিষেক চট্টোপাধ্যায় সংযুক্তার। টালিগঞ্জের প্রথম সারির নায়ক নায়িকা থেকে সঙ্গী অনুরাগীদের উপস্থিতিতে একেবারে বাঙালি ঐতিহ্য মেনেই হয়েছিল সেই বিয়ের অনুষ্ঠান।

আজ তাঁর প্রয়াণের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের ভেসে উঠেছে সেইসব ছবি। সেই তারকাখচিত সন্ধ্যায় কী ভাবে সেজেছিলেন বর-কনে থেকে অতিথি অভ্যগতরা? কেমন ছিল আয়োজন? ধরা পড়েছে ছবির কোলাজে।

২০০৮ সালে সংযুক্তাকে বিয়ে করেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে অভিনেতার বিয়ের রাতের প্রাণবন্ত একগুচ্ছ অদেখা ছবি।

অভিনেতার বিয়ের দিনে টলিপাড়ার ছোট বড় অভিনেতা অভিনেত্রীরা প্রায় সকলেই হাজির ছিলেন সেই রাতে। অতীতের পাতা উলটে সেই সব ছবিই ফিরে এসেছে। প্রেমের বিয়ে নয়, সম্বন্ধ করে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন দুজনে। জানা যায় ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটের বিজ্ঞাপন থেকেই বিয়ের যোগাযোগ। আর এরপরেই একটু একটু জানা-শোনার হাত ধরে সম্পর্ক গড়িয়েছিল ছাদনাতলায়।

ততদিনে অবশ্য ছবির জগৎ থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন নব্বইয়ের দশকে টলিউডে রাজত্ব করা এক হিরো। তবে প্রিয় মিঠুর বিয়েতে টলিউড ইন্ডাস্ট্রির বহুতারকাই শামিল হন। এমনকী বরকর্তা হয়ে গিয়েছিলেন স্বয়ং প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়।

কনের পাশে ছিলেন অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। সংযুক্তার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিচ্ছিলেন অভিষেক, পাশে হাসি মুখে প্রসেনজিত ঘরণী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। সিঁদুরদানের পরেই লজ্জাবস্ত্রটি টেনে দিয়ে প্রসেনজিৎ-ঘরণী খুনসুটিতে ভরিয়ে দিয়েছিলেন সেই মহার্ঘ্য মুহূর্ত।

বিয়ের অনুষ্ঠানে কেমন সেজেছিল দম্পতি? 'রূপে জ্যান্ত কার্তিক' অভিষেকের পরনে ছিল লাল-সাদা পঞ্জাবি। সাবেকি বাঙালি কনে সংযুক্তার পরনে লাল চেলি, লাল বেনারসি। গা ভর্তি সোনার গয়নায় জীবনের এই বিশেষ দিনে সেজেছিলেন অভিষেক পত্নী।

দাদার চোখেই অভিষেককে দেখতেন রচনা। প্রিয় মিঠু-দার বিয়ের অনুষ্ঠানে হাসিমাখা মুখে হাজির ছিলেন সমসাময়িক এই অভিনেত্রীও! যাঁর সঙ্গে ছুটিতে অভিনয় করে গিয়েছেন প্রসেনজিৎ অভিষেকরা।

লাবনি সরকার থেকে শতাব্দী রায়- সকলেই পৌঁছেছিলেন নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানাতে।

সে সবই আজ স্মৃতি। স্ত্রী ও একমাত্র কন্যাকে ফেলে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন অভিষেক। তাঁদের ঘিরেই ছিল অভিষেকের জগত।

আর ভালোবাসতেন কাজ। সেই কাজ করতে করতেই অসুস্থতা। তবে টলিপাড়ার ভালোবাসার মানুষ, পরিবারকে ভালোবেসে হই হই করে বেঁচে থাকা সকলের প্রিয় 'মিঠু দা' তাঁর কাজ ও ভালোবাসা নিয়ে চিরকাল অমলিন থেকে যাবে এই বাংলার মানুষের মনে।