SIR West Bengal: পশ্চিমবঙ্গের ভোটার লিস্ট এবার হবে ফাইনাল! কাদের নাম বাদ যেতে পারে, কাদের ঢুকবে? বুঝে নিন গোটা প্রক্রিয়া

Last Updated:
ভোটাররা http://voters.eci.gov.in ওয়েবসাইটে গিয়ে তাঁদের ২০০৩ সালের রেকর্ড নিজেও পরীক্ষা করতে পারবেন। কেবলমাত্র বৈধ ভোটারদের তালিকায় রাখা হবে
1/9
নয়াদিল্লি: ভোটার তালিকায় বেনো জল নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিশেষত, বিজেপি৷ সেই সব অতিরিক্ত নাম বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা ঝরঝরে করতে এবার তৎপর কমিশন৷ বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তড়িঘড়ি সেখানে শুরু করা হয়েছিল ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন৷ যা নিয়ে দিঘার মন্দির উদ্বোধনের আগের দিনই সরব হয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এবার দেশের ১২ রাজ্যে হওয়া সেই এসআইআর তালিকায় নাম রইল সেই পশ্চিমবঙ্গেরও৷
নয়াদিল্লি: ভোটার তালিকায় বেনো জল নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিশেষত, বিজেপি৷ সেই সব অতিরিক্ত নাম বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা ঝরঝরে করতে এবার তৎপর কমিশন৷ বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তড়িঘড়ি সেখানে শুরু করা হয়েছিল ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন৷ যা নিয়ে দিঘার মন্দির উদ্বোধনের আগের দিনই সরব হয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এবার দেশের ১২ রাজ্যে হওয়া সেই এসআইআর তালিকায় নাম রইল সেই পশ্চিমবঙ্গেরও৷
advertisement
2/9
এসআইআর নিয়ে প্রশ্ন এবং উদ্বেগ জনমানসে ভরপুর৷ সবটাই যেন জটিলতায় ভরা৷ কারা ভোটার, কারা নয়, কাদের নাম বাদ পড়তে পারে তালিকা থেকে, এমনকি, নিজেকে ভোটার হিসাবে প্রমাণ করতে হলে কোন কোন নথি জমা দিতে হবে, সে সব নিয়েই জল্পনা বিস্তর৷ সোমবারের সাংবাদিক বৈঠকে যার গোটাটাই স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার৷
এসআইআর নিয়ে প্রশ্ন এবং উদ্বেগ জনমানসে ভরপুর৷ সবটাই যেন জটিলতায় ভরা৷ কারা ভোটার, কারা নয়, কাদের নাম বাদ পড়তে পারে তালিকা থেকে, এমনকি, নিজেকে ভোটার হিসাবে প্রমাণ করতে হলে কোন কোন নথি জমা দিতে হবে, সে সব নিয়েই জল্পনা বিস্তর৷ সোমবারের সাংবাদিক বৈঠকে যার গোটাটাই স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার৷
advertisement
3/9
দ্বিতীয় ধাপের SIR -এর দ্বিতীয় ধাপে দেশজুড়ে ১২টি রাজ্যে শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনী প্রক্রিয়া৷ পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, গোয়া, ছত্তিশগড়, লাক্ষাদ্বীপ, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ।
দ্বিতীয় ধাপের SIR -এর দ্বিতীয় ধাপে দেশজুড়ে ১২টি রাজ্যে শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনী প্রক্রিয়া৷ পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, গোয়া, ছত্তিশগড়, লাক্ষাদ্বীপ, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ।
advertisement
4/9
প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার স্পষ্টভাবে বলেছেন যে আজ রাত ১২টায় জমা দেওয়া তালিকাটি ভবিষ্যতে একমাত্র ব্যবহৃত হবে। প্রতিটি ভোটারকে বাড়িতে একটি Enumeration Form দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট এলাকার BLO এই ফর্মটি বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেবেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার স্পষ্টভাবে বলেছেন যে আজ রাত ১২টায় জমা দেওয়া তালিকাটি ভবিষ্যতে একমাত্র ব্যবহৃত হবে। প্রতিটি ভোটারকে বাড়িতে একটি Enumeration Form দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট এলাকার BLO এই ফর্মটি বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেবেন।
advertisement
5/9
এই ফর্মটিতে সমস্ত ভোটারদের বিবরণ থাকবে। এখন, ভোটারদের যাচাই করতে হবে যে তাদের নাম ২০০৩ সালের তালিকায় ছিল কিনা। যদি থাকে, তাহলে কোনও নথিপত্রের প্রয়োজন নেই। এমনকি যদি তাদের নিজের নাম সেই সময়ে তালিকায় না থাকে, কিন্তু তাদের পিতামাতার একজনের নাম সেই সময়ে তালিকায় ছিল, তাহলে কোনও অতিরিক্ত কাগজপত্রের প্রয়োজন নেই।
এই ফর্মটিতে সমস্ত ভোটারদের বিবরণ থাকবে। এখন, ভোটারদের যাচাই করতে হবে যে তাদের নাম ২০০৩ সালের তালিকায় ছিল কিনা। যদি থাকে, তাহলে কোনও নথিপত্রের প্রয়োজন নেই। এমনকি যদি তাদের নিজের নাম সেই সময়ে তালিকায় না থাকে, কিন্তু তাদের পিতামাতার একজনের নাম সেই সময়ে তালিকায় ছিল, তাহলে কোনও অতিরিক্ত কাগজপত্রের প্রয়োজন নেই।
advertisement
6/9
ভোটাররা http://voters.eci.gov.in ওয়েবসাইটে গিয়ে তাঁদের ২০০৩ সালের রেকর্ড নিজেও পরীক্ষা করতে পারবেন। কেবলমাত্র বৈধ ভোটারদের তালিকায় রাখা হবে এবং যাঁদের নাম বা বাবা-মায়ের যে কোনও একজনের নাম ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় নেই, তাঁদের নির্দিষ্ট নথি পেশ করে নিজেকে বৈধ ভোটার হিসাবে প্রমাণ করতে হবে৷
ভোটাররা http://voters.eci.gov.in ওয়েবসাইটে গিয়ে তাঁদের ২০০৩ সালের রেকর্ড নিজেও পরীক্ষা করতে পারবেন। কেবলমাত্র বৈধ ভোটারদের তালিকায় রাখা হবে এবং যাঁদের নাম বা বাবা-মায়ের যে কোনও একজনের নাম ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় নেই, তাঁদের নির্দিষ্ট নথি পেশ করে নিজেকে বৈধ ভোটার হিসাবে প্রমাণ করতে হবে৷
advertisement
7/9
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আপনার নাম ২০০২, ২০০৩ বা ২০০৪ সালের এসআইআরে নাম না থাকলে বাবা-মা বা অভিভাবকদের নামও দেওয়া যাবে। ⁠এবার শুরু থেকেই ফর্ম ৬ নেওয়া হবে। সেখানে বাবা-মায়ের পরিবর্তে অভিভাবকের নামও দেখানো যাবে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ভোটার তালিকায় থাকা সব মৃত এবং অবৈধ ভোটারের নাম বাদ পড়বে। যাঁদের নাম দু’জায়গায় রয়েছে, তাঁদের একটিতে নাম বাদ পড়বে৷  তালিকায় ‘অবৈধ’ ভাবে নাম তোলা ব্যক্তিদের নাম বাদ পড়বে। এক্ষেত্রে, বাংলাদেশ এবং মায়ানমার থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের দিকেই মূলত ইঙ্গিত করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আপনার নাম ২০০২, ২০০৩ বা ২০০৪ সালের এসআইআরে নাম না থাকলে বাবা-মা বা অভিভাবকদের নামও দেওয়া যাবে। ⁠এবার শুরু থেকেই ফর্ম ৬ নেওয়া হবে। সেখানে বাবা-মায়ের পরিবর্তে অভিভাবকের নামও দেখানো যাবে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ভোটার তালিকায় থাকা সব মৃত এবং অবৈধ ভোটারের নাম বাদ পড়বে। যাঁদের নাম দু’জায়গায় রয়েছে, তাঁদের একটিতে নাম বাদ পড়বে৷ তালিকায় ‘অবৈধ’ ভাবে নাম তোলা ব্যক্তিদের নাম বাদ পড়বে। এক্ষেত্রে, বাংলাদেশ এবং মায়ানমার থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের দিকেই মূলত ইঙ্গিত করা হয়েছে।
advertisement
8/9
ভোটার তালিকায় নাম তুলতে গেলে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে। বয়স হতে হবে ১৮ বছর বা তার বেশি । সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা হতে হবে। কোনও আইনে ভোট দেওয়ার অধিকার বাতিল হলে চলবে না।
ভোটার তালিকায় নাম তুলতে গেলে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে। বয়স হতে হবে ১৮ বছর বা তার বেশি । সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা হতে হবে। কোনও আইনে ভোট দেওয়ার অধিকার বাতিল হলে চলবে না।
advertisement
9/9
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুসারে, পরিচয় এবং বয়সের প্রমাণ হিসেবে ১১টি নথির যে কোনও একটি জমা দেওয়া যেতে পারে৷ সেগুলি হল, ১) কেন্দ্রীয় অথবা রাজ্য সরকারের কর্মী হিসাবে কাজ করেছেন অথবা পেনশন পান এমন পরিচয়পত্র। ২) ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, এলআইসি, স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া যে কোনও নথি। ৩) জন্ম শংসাপত্র। ৪) পাসপোর্ট। ৫) মাধ্যমিক বা তার অধিক কোনও শিক্ষাগত শংসাপত্র। ৬) রাজ্য সরকারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া বাসস্থানের শংসাপত্র। ৭) ফরেস্ট রাইট সার্টিফিকেট। ৮) জাতিগত শংসাপত্র। ৯) কোনও নাগরিকের ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার। ১০) স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া পারিবারিক রেজিস্ট্রার। ১১) জমি অথবা বাড়ির দলিল।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুসারে, পরিচয় এবং বয়সের প্রমাণ হিসেবে ১১টি নথির যে কোনও একটি জমা দেওয়া যেতে পারে৷ সেগুলি হল, ১) কেন্দ্রীয় অথবা রাজ্য সরকারের কর্মী হিসাবে কাজ করেছেন অথবা পেনশন পান এমন পরিচয়পত্র। ২) ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, এলআইসি, স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া যে কোনও নথি। ৩) জন্ম শংসাপত্র। ৪) পাসপোর্ট। ৫) মাধ্যমিক বা তার অধিক কোনও শিক্ষাগত শংসাপত্র। ৬) রাজ্য সরকারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া বাসস্থানের শংসাপত্র। ৭) ফরেস্ট রাইট সার্টিফিকেট। ৮) জাতিগত শংসাপত্র। ৯) কোনও নাগরিকের ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার। ১০) স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া পারিবারিক রেজিস্ট্রার। ১১) জমি অথবা বাড়ির দলিল। সব শেষে আধার কার্ড
advertisement
advertisement
advertisement