গাড়ি-বা়ড়ি- বিলাসবহুল জীবন, জেনে নিন মেহুল চোকসি-র জীবনে-র গোপন কথা

মেহুল চোকসি সারা পৃথিবীতে হিরে ব্যবসায়ী বলে বহুল খ্যাত এবং এই মুহূর্তে কুখ্যাত৷ তাঁর জীবন হচ্ছে বিলাসবহুলতার এক উপখ্যান৷ গাড়ি -বাড়ি-নারী সমস্ত লোভনীয় দামি জিনিসেই তাঁর আকর্ষণ বিখ্যাত৷ তাঁর ব্র্যান্ড গীতাঞ্জলি জুয়েলার্স নাম নিয়ে বাজারে ছিল৷ যেখানে একাধিক বলিউড অভিনেত্রীদের দিয়ে বিজ্ঞাপন শ্যুট করেছিলেন৷ ঐশ্বর্য রাই ও ক্যাটরিনা কাইফ তাঁর হিরের জুয়েলারির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসডর ছিলেন৷ যখন কোনও নতুন প্রজেক্ট শুরু হত তখনই কোনও না কোনও তাবড় হিরোইন তাঁর অনুষ্ঠানে হাজির থাকতেন৷ মেহুলের এই ব্যবসা একধিক দেশে ছিল৷ ফলে বিদেশ যাত্রা করতেন মুড়ি -মিছরির মতো৷ তার কাছে বিশাল বড় বাসস্থান, গাড়ির সারি, সমস্ত বিলাসবহুল সুবিধা ছিল৷ মুম্বই ও গুজরাত ছাড়াও বিদেশে প্রপার্টি ছিল৷ তার বাড়িতে বিভিন্ন সময়ে হামেশাই বড় বড় পার্টি দেওয়া হত৷ তার গাড়িক তালিকায় রোলস রয়েসও ছিল৷ উচ্চতা মাত্র পাঁচ ফুট পাঁচ ইঞ্চি, ওজন ১২০ কেজি তাতে কী , তাঁর পাশে দাঁড়ানোর জন্য সুন্দরীদের লাইন লেগে থাকত৷ তিনি গুজরাতের পালনপুরে জন্মেছিলেন৷ তিনি কলেজের পড়াও শেষ করেননি৷ তার আকাশ ছোঁওয়ার স্বপ্ন ছিল৷ তার ইচ্ছা ছিল হিরে ব্যবসায়ী হবেন৷ ১৯৮৫ তে বাবা-র মৃত্যুর পর হিরের ব্যবসার দায়িত্ব নেন৷ গীতাঞ্জলি জেমস নামে তিনি একাধিক প্রজেক্ট এনে ব্যবসাকে সুবিশাল করেন৷ মেহুল শানদার জীবন যাপনে বিশ্বাসী ছিলেন৷ দামি শ্যুট, ব্র্যান্ডেড বহুজাতিক ঘরি পরতেন সবসময়েই৷ তিনি নিজের ভাইপো নীরব মোদিকে দিয়ে পঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাঙ্কের ফান্ডের রাস্তা খোলেন৷ তিনি পুজোপাঠে বিশ্বাসী ছিলেন৷ তাঁর হাতে সবসময়েই পুজোর ধাগা বাঁধা থাকত৷ মেহুলের মোট সম্পত্তি ১২ হাজার কোটি টাকা৷ পঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাঙ্ক ফ্রড মামলায় তাঁর স্ত্রী এমি মোদির নামেও এফআইআর আছে৷ এখন তিনি স্ত্রী-র সঙ্গে অ্যান্টিগায় রয়েছেন৷ তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে, আযাঁদের দুজনেরই বিয়ে হয়ে গেছে৷ . মেহুল হালকা হিরে বেচে খরিদ্দারদের দিনের পর দিন বোকা বানিয়েছেন৷

গাড়ি-বা়ড়ি- বিলাসবহুল জীবন, জেনে নিন মেহুল চোকসি-র জীবনে-র গোপন কথা

ছবি

লেটেস্ট খবর