কেয়ারটেকারের বউয়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক! ডাকাতদের ধরে জোড়া খুনের মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড়
- Published by:Debalina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
ডাকাত ধরে নরেন্দ্রপুরের জোড়া খুনের তদন্তের রহস্যের পর্দা উঠল...
advertisement
দীর্ঘদিন ধরে সি আইডির গোয়েন্দারাও তদন্ত করে জোড়া খুনের মামলায় কোন সাফল্যের মুখ দেখতে পাননি।এরপর হঠাত করেই হাতে চাঁদ পাওয়ার মত সাফল্যের মুখ দেখল বারুইপুর জেলা পুলিশ।নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায় বাইক চুরি চক্রের কয়েকজন অপরাধীকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় পুলিশ জানতে পারে সোনারপুর রাধানগরের যুবক সৌরভ মণ্ডল জোড়া খুনের ঘটনায় যুক্ত।তার বন্ধু আকাশ নিজে হাতে বাগানবাড়িতে কেয়ারটেরকার দম্পতিকে খুন করেছিল।খুন হওয়া গৃহবধূ আল্পনা বিশ্বাসের সাথে আকাশের অবৈধ সম্পর্ক ছিল।সেই কথা আল্পনার স্বামী প্রদীপ জেনে যাওয়ায় দুজনকেই পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয় তারা।
advertisement
সোনারপুর রাধানগরের বাসিন্দা বছর চব্বিশের সৌরভ মণ্ডল দীর্ঘদিন ধরেই বাইক চুরি ও পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত।তাকে জিঞ্জাসাবাদ করার সময় জেরায় সে স্বীকার করে তিউড়িয়ার বাসিন্দা আকাশের সাথে তাঁর যোগাযোগ আছে। আকাশ এই চক্রের পান্ডা।বাগান বাড়িতে আকাশ জোড়া খুন করেছিল।কারণ আল্পনা বিশ্বাসের সাথে আকাশের বিবাহ বহিভূত সম্পর্ক ছিল।প্রদীপ সেই সম্পর্ক জেনে যাওয়ায় প্রথমে প্রদীপের মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয় এবং আলপনা খুনে বাধা দেওয়ায় তাঁকেও খুন করা হয়।এদিন নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ সৌরভকে সি আই ডির হাতে তুলে দেয়।যদিও খুনের ঘটনার মূল চক্রী আকাশ এখনও ফেরার।তার খোঁজ করছে পুলিশ।
advertisement
২০১৯ সালের ৩০ জুলাই।ওই দিন খেয়াদহ ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তিউরিয়া বাগানবাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রদীপ বিশ্বাস (৫৫) ও আলপনা বিশ্বাস (৪৫) এর ট্রলি বন্দি মৃতদেহ।নিঃসন্তান দম্পতি গত ২২ বছর ধরেই ওই বাগান বাড়িতে থাকতেন। দু দিন ধরে ফোনে তাঁদের পাওয়া যাচ্ছিল না। তাতেই সন্দেহ হওয়ায় প্রদীপবাবুর ভাই জয় বিশ্বাস তিউরিয়ার বাগান বাড়িতে যান।সদর দরজা বন্ধ থাকায় পিছনের একটি জানলা দিয়ে ঘরের মধ্যে ঢোকেন জয়। দেখেন ঘরের মঝেতে রক্তের দাগ। এরপর বাথরুমে গিয়ে দেখেন সেখানেই দুটি ট্রলি ব্যাগ রয়েছে। তা থেকে রক্ত বের হচ্ছে এবং দুর্গন্ধ বের হচ্ছে।
advertisement
নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ দেখে বাথরুমের মেঝেতে দুটি আলাদা ট্রলি ব্যাগ বন্দি স্বামী স্ত্রীর পচাগলা দেহ।দুজনের দেহেই আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে আলপনার হাত ও পা বাঁধা ছিল।দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। কয়েকদিন আগেই তাঁদের খুন করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছিল পুলিশ।ঘটনাস্থল থেকে ফরেনসিক টিম নমুনা সংগ্রহ করেছিল। Input- Arpan Mondal







