সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে নেমে পড়েছেন সিবিআইয়ের অফিসাররা ৷ এরই মধ্যে আবার নতুন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে সুশান্তের একসময়ের ম্যানেজার দিশা সালিয়ানকে নিয়ে ৷ দিশার মৃত্যু হয়েছিল ৮ জুন ৷ অর্থাৎ সুশান্তের মৃত্যুর ৬ দিন আগে ৷ কিন্তু তাঁর ফোন ‘অ্যাকটিভ’ ছিল ১৭ জুন পর্যন্ত !এই তথ্য সামনে আসার পর রহস্য আরও বেড়েছে ৷ মৃত্যুর এতদিন পর কী করে সচল থাকে ফোন ? কে ব্যবহার করছিলেন দিশার ফোন ? এই প্রশ্নই উঠছে এখন ৷
১৭ জুন পর্যন্ত ফোন অ্যাকটিভ থাকার অর্থ হল, সুশান্তের মৃত্যুরও তিন দিন পর পর্যন্ত দিশার ফোন খোলা ছিল ৷ তাহলে যিনি ফোনটি ব্যবহার করেছিলেন ৷ তিনি কে ? কাকে কাকে এই সময় দিশার ফোন থেকে ফোন করা হয়েছে ? সেই রেকর্ডও খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ আর ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য কেন দিশার ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়নি, সেই প্রশ্নও উঠছে এখন ৷
১৪ জুন ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত বান্দ্রার ফ্ল্যাটে কী ঘটেছিল? জানেন শুধু তিনজন। সিবিআইকে দেওয়া এই তিনজনের বয়ানে অসঙ্গতি। এবার এই ৩ জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার সম্ভাবনা। ১৪ জুন সুশান্তের ফ্ল্যাটে তাঁর সঙ্গে ছিলেন তিনজন। বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি, রাঁধুনি নীরজ সিং, হাউসমেট দীপেশ সাওয়ান্ত। রবিবার এদেঁর টানা জেরা করে সিবিআই। তিনজনের বয়ানে অসঙ্গতি আছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, মূলত চারটি প্রশ্নের উত্তরে অসঙ্গতি রয়েছে, ১. সুশান্ত লক খুলছে না খবর পেয়ে কী করলেন? ২. কে চাবিওলাকে ডেকে আনলেন? ৩. সুশান্তের ঘরে ঢুকে কী দেখলেন? ৪. মৃতদেহ দেখার পর কী ঘটল?