ধর্ষণ করল স্বামী, নাবালিকাকে গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়াল স্ত্রী! দিল্লিতে কাঠগড়ায় সরকারি কর্তাই

বন্ধুর মৃত্যুর পর তাঁর মেয়েকে নিজের কাছে এনে রেখেছিলেন৷ আর সেই সুযোগে ওই কিশোরীকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠল দিল্লি সরকারের এক নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের শীর্ষ কর্তার বিরুদ্ধে৷ প্রতীকী ছবি৷

অভিযোগ, দিনের পর দিন ধর্ষণের জেরে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে৷ তখন তার গর্ভপাত করাতে ওই নির্যাতিতাকে জোর করে ওষুধ খেতে বাধ্য করেন অভিযুক্তের স্ত্রী৷

ওই নির্যাতিতা বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী৷ ২০২০ সালে তার বাবার মৃত্যু হয়৷ এর পরেই অভিযুক্ত সরকারি কর্তা ওই কিশোরীকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন৷

২০২০ সালের অক্টোবর মাস থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত নির্যাতিতা অভিযুক্তের বাড়িতে ছিল৷ তখনই নিয়মিত যৌন নির্যাতন চলত তার উপরে৷

দিনের পর দিন এই নির্যাতনের জেরে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ওই কিশোরী৷ আতঙ্ক গ্রাস করে তাকে৷ এর পরেই এক সপ্তাহ আগে তার কাউন্সিলিং শুরু হয়৷

একটানা কাউন্সিলিংয়ের পর গোটা ঘটনা নিয়ে মুখ খোলে ওই নির্যাতিতা৷ সে আরও জানায়, গর্ভের সন্তান নষ্ট করতেও তাকে বাধ্য করেছে অভিযুক্তের স্ত্রী৷

এই ঘটনা সামনে আসার পরেই অভিযুক্ত ওই সরকারি কর্তার বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে দিল্লি পুলিশ৷ তার মধ্যে রয়েছে পকসো আইনও৷ অভিযুক্তকে সাহায্যের জন্য তার স্ত্রীর বিরুদ্ধেও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারায় মামলা করা হয়েছে৷