

আগামী বছরের শুরুতেই হয়তো ভারতের বাজারে করোনার অন্তত একটি ভ্যাকসিন চলে আসবে৷ কিন্তুভ্যাকসিন চলে এলেও তা সবার কাছে পৌঁছতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে বলে এ দিন সংসদে স্বীকার করেনিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন৷ ফলে এই মুহূর্তে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাটাই সবথেকে কার্যকরীপ্রতিষেধক বলেও এ দিন মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী৷


এ দিন রাজ্যসভায় করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধকের সরবরাহ এবং দাম সংক্রান্ত বেশ কিছু বিষয় নিয়ে প্রশ্নতোলেন সাংসদরা৷ তারই জবাব দিতে গিয়ে এ কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী৷


করোনা সংক্রমণ রুখতে সরকার কতটা তৎপর ছিল, তা বোঝাতে গিয়ে এ দিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী দাবিকরেন, ভারতে করোনার প্রথম সংক্রমণের ঘটনা সামনে আসার আগে থেকেই করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধেরব্যবস্থা নিতে শুরু করেছিল কেন্দ্র৷


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, একদিকে যেমন বিসিজি ভ্যাকসিন নিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে, অন্যদিকেএমন বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন রয়েছে যেগুলির প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল চলছে৷ হর্ষ বর্ধনবলেন, 'আমরা আশা করছি আগামী বছরের শুরুর দিকে আমাদের হাতে ভ্যাকসিন চলে আসবে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা সহ অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গেও আমাদের আলোচনা চলছে৷ হাতেগোণা যে দেশগুলি এই ভাইরাসের পৃথকীকরণ করতে পেরেছে, আমরা তাদের মধ্যে অন্যতম৷ প্রায় চল্লিশ হাজার নমুনা নিয়ে আলাদা করে গবেষণা চলছে৷'


তবে ভ্যাকসিন বাজারে এলেও যে তা সবার কাছে পৌঁছতে সময় লাগবে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেছেন, 'সংক্রমণের শিকলকে ভাঙতে হবে৷ সংক্রমণ থেকে বাঁচতে আমাদের সবথেকে বড় হাতিয়ার হল মাস্ক৷ লকডাউনের পর মানুষ ভেবেছিলেন ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে৷ কিন্তু আমাদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং মাস্ক পরতে হবে৷ আমাদের গাছাড়া মনোভাবের জন্যই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে৷ মাস্ক পরা এবং দু' গজের দূরত্ব বজায় রাখাটাই এখন সবথেকে বড় সামাজিক ভ্যাকসিন হিসেবে ধরে নিতে হবে৷'


বিরোধীরা অবশ্য এ দিন সরকারের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার অভিযোগে সরব হয়৷ কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবি আজাদ দাবি করেন, ভ্যাকসিনের দাম যাতে সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে৷ শুধু তাই নয়, অপরিকল্পিত লকডাউনের মতো সমস্যা এড়াতে প্রত্যন্ত এলাকাতেও ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে যাতে আগেভাগে পরিকল্পনা করে সরকার, সেই দাবিও করেন তিনি৷