COVID19| ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ আসছে করোনা মহামারী থামলেই! সতর্ক করল রাষ্ট্রসঙ্ঘ
তিনি জানান, বিশ্বে এই মুহূর্তে প্রায় ৮৩ কোটি মানুষ রাতে চরম খিদের জ্বালা নিয়ে ঘুমোতে যায়৷ সাড়ে ১৩ কোটি মানুষ প্রায় খেতেই পাচ্ছে না৷ COVID-19-এর জেরে ২০২০ সালের শেষে আরও ১৩ কোটি মানুষ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়বেন৷ ফলে পৃথিবীর একটা বড় অংশেই মানুষের খিদের জ্বালায় কাতরাবে৷


গোটা বিশ্ব যখন করোনা মাহামারীর সঙ্গে লড়াই করছে, একের পর এক মানুষের মৃ্ত্যু হচ্ছে, তখন আগামী সময়ে আরও ভয়ঙ্কর অবস্থার সতর্কবার্তা দিল রাষ্ট্রসঙ্ঘ৷ এই সতর্কবার্তা করোনা মহামারীর চেয়েও বোধ হয় মর্মান্তিক হতে চলেছে৷


রাষ্ট্রসঙ্ঘ জানিয়েছে, করোনা ভাইরাস মহামারীর শেষ হলেই অপেক্ষা করে রয়েছে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ৷ বিশ্বের একটা বড় অংশে শুরু হয়ে গিয়েছে খাদ্যাভাব৷ খুব শীঘ্রই তা দুর্ভিক্ষের আকার নেবে৷ কিছু অঞ্চলে ইতিমধ্যেই দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গিয়েছে৷


রাষ্ট্রপুঞ্জ বলছে, অবিলম্বে পদক্ষেপ না করলে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখবে বিশ্ববাসী৷ বহু মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যাবে৷ রাষ্ট্রসঙ্ঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম-এর এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর ডেভিড বিসলের কথায়, 'দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এখনও পর্যন্ত মানব সভ্যতা সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন ২০২০ সালেই৷ সিরিয়া, ইয়েমেন সহ একাধিক দেশে যুদ্ধ, আফ্রিকায় পঙ্গপালের হানা, লেবানন, কঙ্গো, সুদান ও ইথিয়োপিয়ায় একের পর এক প্রাকৃতি দুর্যোগ ও অর্থনৈতিক মন্দা-- তার সঙ্গে করোনা মহামারী-- দুর্ভিক্ষের মুখে ঠেলে দিল৷'


তিনি জানান, বিশ্বে এই মুহূর্তে প্রায় ৮৩ কোটি মানুষ রাতে চরম খিদের জ্বালা নিয়ে ঘুমোতে যায়৷ সাড়ে ১৩ কোটি মানুষ প্রায় খেতেই পাচ্ছে না৷ COVID-19-এর জেরে ২০২০ সালের শেষে আরও ১৩ কোটি মানুষ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়বেন৷ ফলে পৃথিবীর একটা বড় অংশেই মানুষের খিদের জ্বালায় কাতরাবে৷


বিসলে আরও জানান, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামে ১০০ মিলিয়ন মানুষের কাছে খাবার পৌঁছচ্ছে৷ ৩০ মিলিয়ন মানুষ তো এই প্রকল্পের উপরেই বেঁচে আছেন৷


প্রসঙ্গেত, বিসলেও কয়েক দিন আগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন৷ তিনি আপাতত সুস্থতার পথে৷ তিনি বলছেন, 'রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশ্লেষণ বলছে, যদি ওই ৩০ মিলিয়ন মামনুষ খাবার না পান, তা হলে আগামী ৩ মাসে প্রতিদিন বিশ্বে গড়ে ৩ লক্ষ মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যাবে৷'