উদ্যোক্তাদের মতে, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অক্সিজেনসহ প্রাথমিক পরিষেবা দেওয়া হবে বিপদগ্রস্থ মানুষদের। বিশেষত যাঁদের চিকিৎসা বাড়িতে করলে একটু ঝুঁকি আছে (বা অন্য কারণে সম্ভব নয় যেমন আলাদা ঘর বা বাথরুম নেই বা বৃদ্ধ পরিবারসদস্য আছেন) আবার হাসপাতালে ভর্তি হতেও পারছেন না সাময়িকভাবে, তাঁদের এই পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য হিসেবে বিবেচিত করা হবে।
যৌথ প্রচেষ্টায় পঃবঃরাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনী, ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম, শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ এবং সুন্দরবনে বহুদিন যাবৎ নানা সমাজসেবামূলক কাজ করে চলা সংস্থা 'মুক্তি' এই উদ্যোগ নিয়েছে। প্রসঙ্গত এই মুক্তির কর্ণধার খড়্গপুর আইআইটির প্রাক্তনী। তিনি ছাড়াও শহরের বহু নামি চিকিৎসক যুক্ত আছেন এই উদ্যোগের সঙ্গে। কয়েকজন ডাক্তার বিনা পারিশ্রমিকে স্বেচ্ছাশ্রম দিচ্ছেন এই কাজে।
কলকাতার মুকুন্দপুরে, RTIICS এর পেছনে খোলা হয়েছে কোভিড রোগীদের এই প্রাথমিক পরিষেবা কেন্দ্রটি। আছেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্সিং স্টাফ। আপাতত ৩৫ শয্যার ব্যবস্থা করা হলেও আগামীদিনে সংখ্যা বাড়ানোর পরিসর এবং পরিকল্পনা দুইই আছে উদ্যোক্তাদের। তবে লাগবে সঙ্গতি। এবং প্রয়োজন আরও লোকবল। তাই ইতিমধ্যেই স্বেচ্ছাশ্রমের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। কেউ দিনের বেশ খানিকটা সময় ব্যয় করতে ইচ্ছুক হলে যেন এগিয়ে আসেন সেই আবেদনও জানিয়েছেন এই উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত চিকিৎসকেরা।
নাগরিক সহায়তা, স্বেচ্ছাশ্রম, অনুদান এবং পেশেন্টের সাধ্যমত দানে ( কেউ অপারগ হলে একটি টাকাও না দিয়ে পরিষেবা পাবেন) এই মডেলটি আগামী দিনে সফল হবে বলেই আশা করছেন তাঁরা। এদিন কেন্দ্রটির উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন কান্তি গাঙ্গুলি, সমীর পূততুন্ড, বিশিষ্ট চিকিৎসক পুণ্যব্রত গুন্, ডঃ অর্জুন দাসগুপ্ত, পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, সৌরেন পাঁজা মুক্তি'র কর্ণধার ছাড়াও আরও অনেক কর্মী ও সদস্যরা।