১০০ বছর পেরিয়ে এলাম, করোনা আবার কী! আছেন পরম সুখে, জানুন দম্পতির কোভিড জয়ের গল্প
- Published by:Debalina Datta
Last Updated:
অসুখের সময়টায় স্বামীর পাশে স্ত্রী এবং স্ত্রীর পাশে স্বামী ছিলেন বেশ স্বাভাবিক ভাবেই; তাঁরা নিজেদের মধ্যে গল্প করে, ওষুধ খেয়ে, নিজেদের মধ্যে সময় কাটিয়ে কাটান আইসোলেশন পর্ব৷
#বেলারি: কোভিড ১৯-এর সংক্রমণ নিয়ে এই যে দেশে একটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তার নেপথ্যে কারণ আছে অনেকগুলোই! কিন্তু প্রতিকূল পরিবেশে আতঙ্কে ভুগলে যে মনের জোর কমে যায়, তখন প্রতিবন্ধকতা গ্রাস করে নেয় সহজেই, সেই কথাটাই এবার সকলের সামনে তুলে ধরলেন বেলারি জেলার তমবরগুড়ি গ্রামে ১০০ বছর পার করে দেওয়া এক কৃষকদম্পতি। ১০৩ বছরের ইরান্না এবং তাঁর ১০১ বছরের স্ত্রী ইরাম্মার অভিমত- কোনও পরিস্থিতিতেই ভেঙে পড়লে চলবে না, মনে জোর ধরে রাখতে হবে, জীবনের ইতিবাচক দিক খুঁজে নিয়ে থাকতে হবে সুখে। দম্পতির দাবি- এটা করে উঠতে পেরেছেন বলেই আজ ৭ সন্তান, পৌত্র-প্রৌত্রী, এবং প্রপৌত্র-প্রপ্রৌত্রীদের নিয়ে সুখে ভরে উঠেছে তাঁদের পরিবার।
advertisement
জানা গিয়েছে যে ইরান্না এবং ইরাম্মা তাঁদের গ্রামের পৈতৃক ভিটায় ছেলে এবং দুই নাতি-নাতনির সঙ্গে থাকেন। দিন পনেরো আগে তাঁরা আক্রান্ত হয়েছিলেন কোভিড ১৯ ভাইরাসের সংক্রমণে। কিন্তু এই দম্পতি কোনও রকম উদ্বেগ প্রকাশ করেননি। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো তাঁরা নিজেদের রেখেছিলেন স্বেচ্ছানির্বাসনে। বর্তমানে সুস্থ হয়ে উঠে আবার ফিরে এসেছেন পরিবারের বৃহত্তর স্রোতে। তবে অসুখের সময়টায় স্বামীর পাশে স্ত্রী এবং স্ত্রীর পাশে স্বামী ছিলেন বেশ স্বাভাবিক ভাবেই; তাঁরা নিজেদের মধ্যে গল্প করে, ওষুধ খেয়ে, নিজেদের যত্ন নিয়ে ছিলেন সুন্দর ভাবেই।
advertisement
advertisement
"লোকে আমায় প্রায়ই জিজ্ঞেস করে- আপনাদের মধ্যে ঝগড়া হয় না? আপনারা এখনও এত সুস্থ আছেন কী করে? কী রুটিন মেনে খাওয়াদাওয়া করেন আপনারা সত্যি বলতে কী, এই সব প্রস্নের উত্তর আমার কাছে নেই। আমি কেবল এটুকু জানি যে জীবনে কখনও কোনও কিছুর অভাব বোধ করিনি, যা ছিল তাতেই সন্তুষ্ট থেকেছি। বাকি ঈশ্বরের আশীর্বাদ, তাঁর কল্যাণেই আজ আমার এমন সুখে ভরা পরিবার", দাবি ইরাম্মার। প্রতিবেশীরাও এমন দম্পতিকে নিজেদের মধ্যে পাওয়ার জন্য ভাগ্যকে ধন্যবাদ দেন। "দেখছি তো চারপাশে, লোকে করোনা হলে কী রকম আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। ওঁরা কিন্তু ব্যাপারটাকে একদম স্বাভাবিক ভাবেই নিয়েছিলেন। যে কয়েক দিন নিভৃতাবাসে ছিলেন, মনে চলেছেন স্বাস্থ্যকর্মীদের ঠিক করে দেওয়া সব বিধিনিষেধ, খামোখা উদ্বেগ করেননি। ওঁদের এই সংগ্রাম আমাদের কাছেও ভালো থাকার অনুপ্রেরণা", বলছেন প্রতিবেশিনী জয়াম্মা।
