Dream 11-এ ৩ কোটি টাকা জিতলে বিজেতা সব কেটেকুটে হাতে কত টাকা পাবেন? কিন্তু হাতে পড়ে থাকা টাকা দ্বিগুণ করার এই কৌশল জেনে রাখা ভাল
- Published by:Siddhartha Sarkar
- local18
Last Updated:
Dream 11 News: বহু সংখ্যক মানুষই Dream 11-এ নিজেদের ভাগ্য অন্বেষণ করছেন। কিন্তু খুব কম সংখ্যক মানুষই লাখপতি কিংবা কোটিপতি হতে পেরেছেন। কিন্তু টাকা জেতার পর অবশ্য সমস্ত টাকাটা পাচ্ছেন না বিজেতা। কারণ তার উপর লাগু হয় টিডিএস এবং ট্যাক্স বা করের খাঁড়া! সেই সমস্ত কিছু কেটে যাওয়ার পরেই বিজেতা টাকা হাতে পান।
Report: Shashikant Kumar Ojha: বহু সংখ্যক মানুষই Dream 11-এ নিজেদের ভাগ্য অন্বেষণ করছেন। কিন্তু খুব কম সংখ্যক মানুষই লাখপতি কিংবা কোটিপতি হতে পেরেছেন। কিন্তু টাকা জেতার পর অবশ্য সমস্ত টাকাটা পাচ্ছেন না বিজেতা। কারণ তার উপর লাগু হয় টিডিএস এবং ট্যাক্স বা করের খাঁড়া! সেই সমস্ত কিছু কেটে যাওয়ার পরেই বিজেতা টাকা হাতে পান। এখানে ঝাড়খণ্ডের পালামৌয়ের রবি কুমারের কথাই উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক। সম্প্রতি রবি কুমার তিন কোটি টাকা জিতেছিলেন। কিন্তু এর থেকে তিনি কতটা হাতে পাবেন, তা জানলে চমকে যেতে হবে।
advertisement
এদিকে কিছু ইনভেস্টমেন্ট গুরুর মতে, Dream 11 কিংবা এই ধরনের খেলার বিজেতাদের ভুলেও কিছু ভুল করা উচিত নয়। তাহলে ভুগতে হবে বিজেতাকেই। ইনভেস্টমেন্ট গুরু সরস জৈন Local 18-এর কাছে বলেন যে, এভাবে যদি কেউ অর্থ জেতেন, তাহলে তার থেকে ৩০ শতাংশ টিডিএস কেটে নেওয়া হয়। এর পাশাপাশি তাঁদের ট্যাক্স লায়াবিলিটিও পেমেন্ট করতে হয়। নাহলে তাঁদের ঋণখেলাপি হিসেবে দেগে দেওয়া হবে।
advertisement
এই পরিমাণ টাকা পাবেন বিজেতা: বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি কেউ ৩ কোটি টাকা জেতেন। তাহলে তার থেকে ৯০ লক্ষ টাকা টিডিএস কাটা হবে। তারপরে বিজেতার অ্যাকাউন্টে আসবে ২ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। এরপরে বিজেতাকে জুলাইয়ে আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে হবে। তাঁদের ট্যাক্স লায়াবিলিটির পেমেন্ট করতে হয়। তাঁরা যদি সেটা না করেন, তাহলে তাঁরাও ঋণখেলাপি হয়ে যান। আর ৩ কোটি টাকার ট্যাক্স লায়াবিলিটি হল ১ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই ৯০ লক্ষ টাকা টিডিএস হিসেবে ডিডাক্ট করা হয়েছে। বাকি ২৭ লক্ষ টাকা অগ্রিম ট্যাক্স লায়াবিলিটি হিসেবে ডিপোজিট করতে হবে। এর মাধ্যমে বিজেতা সুদ সাশ্রয় করতে পারবেন। সমস্ত কিছু ডিডাকশনের পর ৩ কোটি টাকার মধ্যে ১ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকাই পাবেন বিজেতা।
advertisement
এই কায়দায় বিনিয়োগ: বিশেষজ্ঞ আরও বলেন যে, বিজেতা যে টাকা জিতেছেন, সেটা যদি তিনি আলাদা আলাদা জায়গায় ব্যবহার করেন, তাহলে সেই টাকার ব্যবহার সঠিক হবে। আর টাকাও থাকবে সুরক্ষিত। কারণ এটা আয়ের একটা নিয়মিত উৎস নয়। যদিও তা উপার্জনই বটে! তা বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করা যেতে পারে। অর্থাৎ এটাকে আয়ের নিয়মিত উৎস হিসেবেই এটিকে ব্যবহার করতে হবে। আর টাকাও থাকবে সুরক্ষিত। একবারে তা বিনিয়োগ করে দিলে কিন্তু মুশকিল।
advertisement
এই ৫টি ধাপ অনুসরণ: ১. জেতা টাকাটিকে ৫টি ভাগে ভাগ করতে হবে। অতি দীর্ঘ মেয়াদের জন্য এর ২০ শতাংশ কিষাণ বিকাশ পত্রে বিনিয়োগ করতে হবে। যেখানে সাড়ে ৯ বছরে টাকা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। ২. এরপর দ্বিতীয় ভাগের ২০ শতাংশ টাকা শর্ট টার্ম ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেটে বিনিয়োগ করতে হবে। যেখানে ৫ বছরে দেড় গুণ রিটার্ন পাওয়া যায়। ৩. তৃতীয় ভাগের ২০ শতাংশ মার্কেট-লিঙ্কড প্ল্যানে বিনিয়োগ করতে হবে। যেখানে ঝুঁকি থাকবে। কিন্তু ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে টাকা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। ৪. এবার চতুর্থ ভাগের ২০ শতাংশ টাকা জমি কিনে বিনিয়োগ করা যেতে পারে। যা স্বল্প সময়ে দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে। ৫. অবশিষ্ট পড়ে থাকা ২০ শতাংশ টাকা ব্যবসার উন্নতি এবং বাড়ির কাজে বিনিয়োগ করতে হবে।