কিছু জরুরি অবস্থা বাদ দিয়ে চাকরি জীবনে ইপিএফ থেকে টাকা তোলা যায় না। এটাই নিয়ম। কিন্তু অনেকেই কিছু নির্দিষ্ট ছাড় এবং আইনের ফাঁককে কাজে লাগায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যদি কেউ এক মাস বেকার থাকে তাহলে ইপিএফ অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্সের ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত তোলা যায়। দুমাস বেকার থাকলে পুরো টাকাটাই তুলে নেওয়ার সুবিধা আছে। কেউ চাকরি ছেড়ে ব্যবসায় নামতে চাইলে এটা সুবর্ণ সুযোগ হতে পারে। প্রতীকী ছবি ৷
অবশ্য টাকা তুলে নেওয়ার যুক্তিযুক্ত কারণ দেখাতে হবে। তবে ইপিএফ অ্যাকাউন্টকে স্পর্শ না করাই টাকা বাড়ানোর সবচেয়ে ভালো উপায়। চাকরি বদলালে অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার করে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। চিকিৎসার জন্য বা জরুরী প্রয়োজনে অনেক সময়ই ইপিএফের টাকায় হাত দিতে হয়। এর ফলে রিটার্নের সময় মূলধন কমে যায়। প্রতীকী ছবি ৷
এখন ৮.৫ শতাংশ গড় ইপিএফের হার ধরে নিলে এই ২৫ হাজার টাকা পরবর্তী ১০ বছরে দ্বিগুণেরও বেশি হবে। ১৫ বছরে তা ৮৫ হাজার টাকায় পৌঁছে যাবে। এখন তোলার পরিবর্তে অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার করিয়ে নিলে এই টাকা ৫ গুণেরও বেশি লাভ দেবে। এটা যদি ২৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ১ লাখ টাকা হয়, তাহলে ২০ বছর পর টাকার পরিমাণ কোথায় দাঁড়াবে! তাই চাকরি বদলাতে চাইলে ইপিএফ অ্যাকাউন্ট তুলে না নিয়ে বরং ট্রান্সফার করানোই বুদ্ধিমানের কাজ। প্রতীকী ছবি ৷