এই ৬টি সরকারি সংস্থা বন্ধ করতে চলেছে কেন্দ্র, লোকসভায় জানালেন অনুরাগ ঠাকুর
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- news18 bangla
Last Updated:
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ করে কোষাগারে টাকা তুলতে চাইছে কেন্দ্র। তবে এর জন্য বেশ কিছু শর্ত মেনে চলা হচ্ছে ৷
অর্থমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর সোমবার লোকসভায় লিখিত উত্তরে জানিয়েছেন অংশীদারিত্ব বিক্রি ও মাইনরিটি স্টেক ডাইলিউশনের মাধ্যমে বিলগ্নিকরণ নীতিতে চলছে সরকার ৷ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ করে কোষাগারে টাকা তুলতে চাইছে কেন্দ্র। তবে এর জন্য বেশ কিছু শর্ত রাখা হয়েছে ৷ এই শর্তের ভিত্তিতে ২০১৬ থেকে এখনও পর্যন্ত ৩৪টি মামলায় স্ট্র্যাটেজিক বিলগ্নিকরণের অনুমতি দিয়েছে সরকার ৷ ৮টি মামলায় এই প্রক্রিয়া পূরণ হয়ে গিয়েছে ৷ ৬টি CPSE বন্ধ করার ও মামলার বিষয়ে পর্যালোচনা চলছে ৷ আর বাকি ২০টি সংস্থায় বিলগ্নিকরণের প্রক্রিয়া বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে ৷
advertisement
যে সরকারি সংস্থাগুলি বন্ধ করার কথা ভাবা হচ্ছে সেগুলি হল হিন্দুস্থান ফ্লোরোকার্বন লিমিটেড (HFL), স্কুটার্স ইন্ডিয়া, ভারত পাম্প অ্যান্ড কম্প্রেস লিমিটিড, হিন্দুস্থান প্রিফ্যাব, হিন্দুস্থান নিউজপ্রিন্ট এবাং কর্ণাটক অ্যান্টিবায়োটিক্স অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড সামিল রয়েছে ৷ এছাড়া প্রোজেক্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইন্ডিয়া লিমিটেড, ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোজেক্ট লিমিটেড, ব্রিজ অ্যান্ড রুফ কম্পানি লিমিটেড, সিমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডের ইউনিট, সেন্ট্রাল ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড, ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেড, ফেরো স্ক্র্যাপ নিগম লিমিটেড ও এনএমডিসি নাগরনার স্টিল প্ল্যান্টের বিলগ্নিকরণের প্রক্রিয়া চলছে ৷
advertisement
advertisement
এইচএলএল লাইফ কেয়ার লিমিটেড, ইন্ডিয়ান মেডিসিন অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল কর্পোরেশন লিমিটেড,আইটিডিসি-র বিভিন্ন ইউনিট, হিন্দুস্থান অ্যান্টিবায়োটিক্স, বেঙ্গল কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল, ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড, শিপিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া, কন্টেনর কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া, নীলাচল ইস্পাতনিগম লিমিটেডে অংশীদারিত্ব বিক্রি করবে সরকার ৷
advertisement
advertisement
চলতি অর্থ বছরে বিলগ্নিকরণ থেকে ২.১ লক্ষ কোটি টাকা ঘরে তোলার লক্ষ্য নিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। লকডাউনের ধাক্কা কাটাতে ‘আত্মনির্ভর প্যাকেজ’ ঘোষণার সময়ই কেন্দ্র জানিয়েছিল, শুধু ‘স্ট্র্যাটেজিক’ ক্ষেত্রে সর্বাধিক চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা থাকবে। বাকি সব রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ধাপে ধাপে বেসরকারিকরণ করা হবে।