SIP Payment Failure: SIP-র কিস্তির টাকা দেওয়ার দিন অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা নেই, জরিমানা হবে কি? জানুন কী ঘটে এক্ষেত্রে
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
SIP Payment Failure: SIP কিস্তির দিনে যদি আপনার অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকে, তাহলে কী হবে? জরিমানা হবে কি, বিনিয়োগে প্রভাব পড়বে কি?
সিস্টেম্যাটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান অর্থাৎ SIP হল মিউচুয়াল ফান্ডে নিয়মিত বিনিয়োগের একটি সুশৃঙ্খল উপায়। দেশে SIP-র মাধ্যমে প্রতি মাসে বিভিন্ন মিউচুয়াল ফান্ড স্কিমে ২৬ হাজার কোটি টাকা আসছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সময়মতো ব্যাঙ্ক থেকে টাকা অটোমেটিক ডেবিট হয়ে যায়। কিন্তু, কখনও কখনও পরিস্থিতি এমন হয়ে যায় যে অবহেলার কারণে বিনিয়োগকারীরা SIP কিস্তি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন। এমন পরিস্থিতিতে, SIP মিস করার ফলে বিনিয়োগের উপর কী প্রভাব পড়তে পারে তা জেনে নেওয়া যাক।
advertisement
যেদিন SIP কিস্তি কেটে নেওয়া হবে, যদি সেই দিন অ্যাকাউন্টে কোনও ব্যালেন্স না থাকে, তাহলে এমন পরিস্থিতিতে SIP ফেল হয়। শুধু তাই নয়, এর কারণে ব্যাঙ্ক চার্জ দিতে হতে পারে। এর সঙ্গে সঙ্গে সেই SIP বন্ধও হতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের লক্ষ্যও বিপদে পড়তে পারে।
advertisement
SIP পেমেন্ট ফেল হলে কী হবে -যখন ব্যাঙ্ক পেমেন্ট করার চেষ্টা করে এবং অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা না থাকে, তখন লেনদেন ফেল হয়। একে SIP-র মিসড কিস্তি বলা হয়। এর অর্থ হল সেই মাসে মিউচুয়াল ফান্ডে কোনও বিনিয়োগ করা হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে, ব্যাঙ্ক সেই গ্রাহকের কাছ থেকে বাউন্স চার্জ নিতে পারে। এই চার্জ ব্যাঙ্কের উপর নির্ভর করে এবং সাধারণত ১৫০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে হয়। কিছু ব্যাঙ্ক অতিরিক্ত জিএসটিও নেয়।
advertisement
জেনে নেওয়া যাক SEBI-র নিয়ম কী বলে -SEBI-র নিয়ম অনুসারে, যদি পর পর ৩ থেকে ৫টি কিস্তিতে SIP ব্যর্থ হয়, তাহলে মিউচুয়াল ফান্ড কোম্পানি অর্থাৎ AMC সেই SIP পরিকল্পনা বন্ধ করে দিতে পারে। প্রতিটি ফান্ড হাউজের নিজস্ব সীমা থাকে। সাধারণত ৩টি কিস্তিতে SIP বন্ধ করে দেওয়া হয়। অন্য দিকে, SIP ফেল হলে ক্রেডিট স্কোরের উপর কোনও প্রভাব পড়ে না। কিন্তু যদি ব্যাঙ্ক বার বার CIBIL-কে ECS ব্যর্থতার তথ্য পাঠায়, তাহলে পরোক্ষ প্রভাব পড়তে পারে।
advertisement
দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের উপর কী প্রভাব পড়বে -SIP-র শক্তি হল নিয়মিত বিনিয়োগ এবং চক্রবৃদ্ধির প্রভাব। যদি SIP বার বার ফেল হয়, তাহলে বিনিয়োগের ধারাবাহিকতা ভেঙে যায়। নিজেদের আর্থিক লক্ষ্য (যেমন অবসর, শিশুদের শিক্ষা বা বাড়ি কেনা) এক্ষেত্রে সময়মতো অর্জন করা যাবে না, সঙ্গে চক্রবৃদ্ধির সুবিধাও হ্রাস পাবে। একটি ছোট ভুল সম্পূর্ণ আর্থিক রোডম্যাপকে স্লো করে দিতে পারে।
advertisement
SIP মিস না করার জন্য একটি কৌশল তৈরি করা যেতে পারে -SIP-র কিস্তি দেওয়ার তারিখ বেতন পাওয়ার পর পরই নির্বাচন করা উচিত। অপ্রত্যাশিত ব্যয় এবং অপর্যাপ্ত ব্যালেন্সের সমস্যা এড়াতে অ্যাকাউন্টে একটি বাফার স্টক তৈরি করা উচিত। যদি কেউ আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে SIP পরিবর্তন এবং স্থগিত করার সুবিধা রয়েছে। হাতে টাকা এলে পরে আবার এটি শুরু করা যেতে পারে।