Shocking Silver Price: দেড় লাখ টাকা হতে পারে রুপোর দাম ! আগামী ১ বছরে কতটা বাড়তে পারে দাম ? জেনে নিন
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
Shocking Silver Price: বিশেষজ্ঞদের দাবি, আগামী ৬ থেকে ১২ মাসে রুপোর দাম আরও বাড়তে পারে। এর অন্যতম প্রধান কারণগুলি হল - বিপুল শৈল্পিক চাহিদা, মার্কিন ডলারের দুর্বল অবস্থা, সীমিত সরবরাহ এবং ইতিবাচক ম্যাক্রোইকোনমিক ট্রেন্ড।
চলতি বছরে রুপোর দাম উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। সারা বিশ্ব জুড়ে ক্রমবর্ধমান শিল্পের চাহিদা এবং সরবরাহ ক্রমাগত হ্রাস পাওয়াই এর অন্যতম প্রধান কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। কোটাক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি (কোটাক এএমসি)-র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ফান্ড ম্যানেজার সতীশ দণ্ডাপতির বিশ্বাস, এই বিকাশ কিন্তু অস্থায়ী বৃদ্ধি একেবারেই নয়। বরং তা দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
advertisement
সোনা-রুপোর অনুপাতে হ্রাস:দণ্ডাপতির মতে, সাম্প্রতিক কালে রুপোর মূল্য বৃদ্ধির সবথেকে বড় কারণ হল - শিল্পের চাহিদা বৃদ্ধি এবং সরবরাহের উপর সীমাবদ্ধতা। আর বিশ্ব জুড়ে চলমান ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এই বিষয়টি আরও তীব্রতর আকার ধারণ করেছে। সোনা-রুপোর অনুপাত একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। আর সেটা ১০০ থেকে কমে ৯৩-এর কাছাকাছি চলে এসেছে। এই সূচক বা অনুপাতটি আসলে এটাই ব্যাখ্যা করে যে, এক আউন্স সোনা কিনতে কত আউন্স রুপোর প্রয়োজন হবে। ঐতিহাসিক ভাবে এই অনুপাত রয়েছে ৬০-এর কাছাকাছি।
advertisement
রুপোর দাম কতটা বাড়তে পারে:গত ২৫ জুন অর্থাৎ বুধবার আন্তর্জাতিক বাজারে রুপোর দাম ছিল ৩৬.২১ ডলার। যদি সোনা-রুপোর অনুপাত আবার একই স্তরে পৌঁছয় এবং সোনার দাম প্রতি আউন্সে ৩৪০০ ডলারের কাছাকাছি থাকে, তাহলে রুপোর দাম প্রতি আউন্সে ৪৮.৫৭ ডলারে পৌঁছে যেতে পারে। সেই হিসাব অনুযায়ী, রুপোর দাম ৩৪.১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। আর ভারতীয় বাজারের কথা বলতে গেলে বুধবার এখানে রুপোর দাম ছিল প্রতি কেজিতে ১,০৮,৯০০ টাকা। তাই যদি এর দাম ৩৪.১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পায়, তাহলে এর দাম প্রতি কেজিতে ১.৪৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে।
advertisement
শিল্পের চাহিদাই এখনও মূল চালিকাশক্তি:দণ্ডাপতির কথায়, সোনার তুলনায় রুপো এখনও আন্ডারভ্যালুড। রুপোর দ্বৈত ধরন অর্থাৎ একদিকে তা মূল্যবান ধাতু এবং অন্যদিকে তা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ধাতু হওয়ার ফলে এর চাহিদা আরও বাড়ছে। আজকের দিনে সারা বিশ্বে সৌরশক্তি, ইলেকট্রিক ভেহিকেল বা ইভি এবং ইলেকট্রনিক্সের মতো শিল্পক্ষেত্রে রুপোর ব্যবহার ৫০ শতাংশেরও বেশি। একটি গড়পরতা সৌর প্যানেলের ২০ গ্রাম রুপোর প্রয়োজন হয়। এর পাশাপাশি রুপো ইভি ব্যাটারি, ওয়্যারিং, সেন্সর এমনকী এআই প্রযুক্তিতেও ব্যবহার করা হচ্ছে।
advertisement
সরবরাহের সঙ্কটে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে:এ নিয়ে টানা পাঁচ বছর ধরে বিশ্বব্যাপী রুপোর সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিল। চলতি বছর এই ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ১৪৯ মিলিয়ন আউন্স বলে অনুমান। মেক্সিকো এবং চিনের মতো প্রধান উৎপাদনকারী দেশগুলিতে মজুত হ্রাস পাচ্ছে। পুনর্ব্যবহারের হারও আটকে গিয়েছে। খনিতে আবার আকরিকের মান হ্রাস পাচ্ছে। তার উপরে বাণিজ্য শুল্ক এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বিশ্বব্যাপী সাপ্লাই চেনকে আরও সমস্যাবহুল করে তুলেছে। দণ্ডাপতির বিশ্বাস, বিনিয়োগের দিক থেকে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে রুপো। তাঁর কথায়, কম দামের কারণে এটি সোনার তুলনায় বেশি অ্যাক্সেসযোগ্য। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এর ক্রমবর্ধমান প্রাপ্যতা তরুণ বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করছে।
advertisement
আগামী ৬-১২ মাসে কী ঘটতে পারেবিশেষজ্ঞদের দাবি, আগামী ৬ থেকে ১২ মাসে রুপোর দাম আরও বাড়তে পারে। এর অন্যতম প্রধান কারণগুলি হল - বিপুল শৈল্পিক চাহিদা, মার্কিন ডলারের দুর্বল অবস্থা, সীমিত সরবরাহ এবং ইতিবাচক ম্যাক্রোইকোনমিক ট্রেন্ড। যদিও দণ্ডাপতি সতর্ক করে এ-ও জানালেন যে, সুদের হারের ওঠানামা, ডলারের মজবুত অবস্থান অথবা শিল্পের চাহিদা হ্রাস রুপোর এই বুলিশ ট্রেন্ডকে রুখে দিতে পারে।