SBI Car Loan Calculation: SBI থেকে ইলেকট্রিক গাড়ির লোন নিতে চাইছেন ? আয় কত হওয়া উচিত, সুদের হার এবং নথির তালিকা জেনে নিন বিশদে
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
SBI Electric Car Loan: ইলেকট্রিক গাড়ি কেনার পরিকল্পনা করছেন? SBI দিচ্ছে সাশ্রয়ী সুদের হারে বিশেষ EV লোন। জেনে নিন কত আয় প্রয়োজন, কী সুদ লাগবে এবং কোন কোন নথি লাগবে আবেদন করতে।
গাড়ি বর্তমান সময়ে কোনও ভাবেই আর বিলাসিতা নয়। এটা ঠিক যে ব্যয়বহুল গাড়ি একটা সামাজিক ক্ষেত্রে স্টেটাস সিম্বল হিসাবে বিবেচিত হয়, তবে, একটা ছিমছাম বাজেটের চার-চাকা দিনে-রাতে মধ্যবিত্তের অনেক দরকারেই আসে। করোনার সময় তো বিশেষ করে এ কথা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। সেই সময়ে পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যাতায়াত ছিল ঝুঁকির বিষয়। অথচ, গাড়ি কিনতে চাইলেই যে হাতে নগদ থোক টাকা থাকবে, তার কোনও মানে নেই। এরকম পরিস্থিতিতে প্রয়োজনের সময়ে নিজেদের স্বপ্নের গাড়ি ক্রয় করার জন্য অনেকেরই প্রধান ভরসা কার লোন। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক বিভিন্ন সুদের হারে কার লোন অফার করে থাকে।
advertisement
যদিও এখন সেই গাড়ি কেনার ক্ষেত্রেও পরিবর্তন এসেছে। অনেকেই এখন বৈদ্যুতিক চারচাকার গাড়ি বা বৈদ্যুতিক দুচাকার গাড়ি কেনার পরিকল্পনা করছেন। এরকম পরিকল্পনা যাঁদের রয়েছে এবং তাঁদের যদি ঋণের প্রয়োজন হয়, তাহলে তাঁরা স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, সংক্ষেপে SBI থেকে একটি আকর্ষণীয় এবং সুবিধাজনক SBI গ্রিন কার লোন বা SBI ইলেকট্রিক যানবাহন ঋণ পেতে পারেন। এক্ষেত্রে কেবল ন্যূনতম মানদণ্ড পূরণ করতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, অন-রোড মূল্যের ১০০% পর্যন্তও ঋণ পাওয়া যেতে পারে।
advertisement
কারা আবেদন করতে পারবেনSBI থেকে ইলেকট্রিক গাড়ি ঋণের জন্য আবেদন করতে হলে ঋণগ্রহীতার বয়স ২১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে হতে হবে। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে, এই ঋণের জন্য যোগ্যতা অর্জনের জন্য ঋণগ্রহীতার ন্যূনতম বার্ষিক আয় ৩০০,০০০ টাকা হওয়া উচিত। এই গাড়ি ঋণের সুদের হার ৮.৭৫ শতাংশ থেকে শুরু হয়। এই ঋণ ৭০০ এবং তার বেশি CIC স্কোর রয়েছে এমন গ্রাহকদের এবং নতুন ক্রেডিট কার্ডহোল্ডারদের জন্য প্রযোজ্য।
advertisement
কোন বিভাগের জন্য শর্তাবলী কী কী?ঋণগ্রহীতা যদি সেন্ট্রাল পাবলিক সেক্টর এন্টারপ্রাইজের একজন নিয়মিত কর্মচারী হন, প্রতিরক্ষা বেতন প্যাকেজ (DSP), আধাসামরিক বেতন প্যাকেজ (PMSP) এবং ভারতীয় কোস্ট গার্ড প্যাকেজ (IGSP) গ্রাহক হন এবং বিভিন্ন প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন শর্ট কমিশনড অফিসার হন, তাহলে আবেদনকারী এবং/অথবা সহ-আবেদনকারীর, যদি থাকে, ন্যূনতম বার্ষিক আয় ৩০০,০০০ টাকা হতে হবে। এক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতা তাঁর নিট মাসিক আয়ের সর্বোচ্চ ৪ গুণ পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন।ঋণগ্রহীতা যদি একজন পেশাদার, স্ব-কর্মসংস্থানকারী ব্যক্তি, ব্যবসায়ী অথবা একটি মালিকানাধীন/অংশীদারিত্বমূলক প্রতিষ্ঠান হন যাঁর উপর আয়কর প্রযোজ্য হয়, তাহলে তাঁর নিট মুনাফা বা মোট করযোগ্য আয় বার্ষিক ৩০০,০০০ টাকা হতে হবে। মনে রাখা উচিত হবে যে একজন সহ-আবেদনকারীর আয় এই বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। ঋণগ্রহীতার আইটিআর অনুসারে তিনি নিট মুনাফা বা মোট করযোগ্য আয়ের ৪ গুণ পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন, অবচয় এবং সমস্ত বিদ্যমান ঋণ পরিশোধের পরে। ঋণগ্রহীতা যদি কৃষি এবং সংশ্লিষ্ট কাজে নিযুক্ত থাকেন, তাহলে আবেদনকারী এবং/অথবা সহ-আবেদনকারীর (সহ-মালিক) সম্মিলিত বার্ষিক আয় কমপক্ষে ৪০০,০০০ টাকা হতে হবে। এই বিভাগের ঋণ ঋণগ্রহীতার নিট বার্ষিক আয়ের তিনগুণ পর্যন্ত যাবে।
advertisement
কী কী কাগজপত্র লাগবেযাঁরা বেতন পান তাঁদের জন্য - গত ৬ মাসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট- ২টি পাসপোর্ট সাইজের ছবি- পরিচয়ের প্রমাণ- ঠিকানার প্রমাণ- আয়ের প্রমাণ: সর্বশেষ বেতন স্লিপ, ফর্ম ১৬- আয়কর রিটার্ন অথবা গত ২ বছরের ফর্ম ১৬। বেতনভোগী/পেশাদার/ব্যবসায়ী ব্যক্তির জন্য - গত ৬ মাসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট- ২টি পাসপোর্ট সাইজের ছবি- পরিচয়পত্র- ঠিকানার প্রমাণ- আয়ের প্রমাণ: গত ২ বছরের আয়কর রিটার্ন- আয়কর রিটার্ন অথবা গত ২ বছরের ফর্ম ১৬- নিরীক্ষিত ব্যালেন্স শিট, ২ বছরের লাভ-ক্ষতির বিবরণী, দোকান ও প্রতিষ্ঠান আইনের সার্টিফিকেট/বিক্রয়কর সার্টিফিকেট/ক্ষুদ্র শিল্প নিবন্ধিত সার্টিফিকেট/অংশীদারিত্বের কপি
advertisement
কৃষি ও সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিতদের জন্য - গত ৬ মাসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট- ২টি পাসপোর্ট সাইজের ছবি- পরিচয়পত্র ঠিকানার প্রমাণ- সরাসরি কৃষি কার্যক্রম (ফসল উৎপাদন): খসড়া/চিত্তা আডাঙ্গল (ফসলের ধরন দেখানো) পাট্টা/খাতাউনি (জমির মালিকানা দেখানো) ছবি সহ। সমস্ত জমি ফ্রিহোল্ড ভিত্তিতে হতে হবে এবং মালিকানার প্রমাণ ঋণগ্রহীতার নামে থাকতে হবে।- সংশ্লিষ্ট কৃষি কার্যক্রম (যেমন দুগ্ধ, হাঁস-মুরগি, বাগান/উদ্যানপালন) পরিচালনার ডকুমেন্টারি প্রমাণপত্র সরবরাহ করতে হবে।
advertisement
আরও যা খেয়াল রাখা উচিতপরিচয়ের প্রমাণ হিসেবে ঋণগ্রহীতা নিম্নলিখিত যে কোনও একটির কপি দিতে পারেন:পাসপোর্ট/প্যান কার্ড/ভোটার আইডি কার্ড/ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদিঅন্য দিকে, ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে ঋণগ্রহীতা নিম্নলিখিত যে কোনও একটির কপি দিতে পারেন:রেশন কার্ড/ড্রাইভিং লাইসেন্স/ভোটার আইডি কার্ড/পাসপোর্ট/টেলিফোন বিল/বিদ্যুৎ বিল/জীবন বিমা পলিসি ইত্যাদি
