রূপোর গয়না পরতে ভালবাসেন? বড় খবর! সরকার চালু করতে চলেছে এই নিয়ম! না জানলে পস্তাবেন
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
২০১০ সালের ৯০০ টন থেকে ২০২৪ সালে রূপার গয়নার ব্যবহার তিনগুণ বেড়ে ২,৭০০ টনে পৌঁছেছে। দেশের চাহিদা মেটাতে ভারত রূপার আমদানির উপর নির্ভরশীল।
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
ইন্ডিয়া বুলিয়ন অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (IBJA) ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (BIS)-কে চিঠি লিখে দাবি জানিয়েছে, রূপার জিনিসপত্রের বাধ্যতামূলক হলমার্কিং জুয়েলারসরা নিজেরাই করবে। সরকারি অনুমোদিত হলমার্কিং সংস্থার মাধ্যমে নয়। নইলে জুয়েলারসদের বিপুল খরচ বহন করতে হবে, যা শেষমেশ ভোক্তাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হতে পারে। এতে দাম ব্যাপক বাড়তে পারে রূপোর।
advertisement
advertisement
সংস্থার দাবি, বড় আকারের রূপার সামগ্রী— যেমন বাসনপত্র, আসবাবপত্র, মূর্তি— হলমার্কিং সেন্টারে নিয়ে যেতে গেলে লজিস্টিক খরচ অনেক বেড়ে যাবে। অন্যদিকে ছোট গয়না বা সিলভারওয়্যারের ওজন খুব কম, ফলে বর্তমান দামের হিসাবে (প্রতি কেজি ১,১৪,২৫২ টাকা) এর মূল্যও থাকে ৩,০০০ টাকার মধ্যে। এমন পণ্যে হলমার্কিং করতে গেলে খরচ বেড়ে যাবে জুয়েলারি ও ক্রেতা উভয়ের জন্যই। উপরন্তু এত বিপুল পরিমাণ ছোট রূপার জিনিস সামলানো হ্যালমার্কিং সংস্থার পক্ষেও কঠিন হয়ে উঠবে।
advertisement
আইবিজেএ-র জাতীয় সম্পাদক সুরেন্দ্র মেহতা ১৮ জুলাই BIS-কে পাঠানো চিঠিতে প্রস্তাব দিয়েছেন, জুয়েলারিরা নিজেরাই প্রতিটি পণ্যের জন্য একটি ইউনিক কোড বরাদ্দ করতে পারে এবং সেই কোড ইনভয়েসেও উল্লেখ করা যেতে পারে। পাশাপাশি সোনার হ্যালমার্কিং সংক্রান্ত বিদ্যমান নিয়ম ও জরিমানার ক্ষেত্রেও সংশোধনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
advertisement
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বাজারে রূপার দাম বাড়ার কারণে ক্রেতাদের ঠকানো ঠেকানো জরুরি। “আমরা দেখেছি, ক্রমশ বেশি সংখ্যক ক্রেতা সোনার পরিবর্তে রূপার গয়না কিনছেন। কিন্তু রূপার গয়না ও শিল্পবস্তুর ক্ষেত্রে হ্যালমার্কিং বাধ্যতামূলক না থাকায় জুয়েলারিদের কাছে ক্রেতাদের ঠকানোর সুযোগ রয়ে যাচ্ছে,” চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
advertisement
লন্ডন-ভিত্তিক মূল্যবান ধাতুর পরামর্শদাতা সংস্থা মেটালস ফোকাসের দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান পরামর্শদাতা চিরাগ শেঠ জানিয়েছেন, ভারতে মহিলাদের পায়েল সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া রূপার গয়না এবং একাই রূপার গয়নার ৫০% বাজার দখল করে রেখেছে। ২০২৪ সালে এ বাজারের আকার ছিল ২,৭০০ টন। শিল্প মহলে জানা, অনেক সময় পায়েলে খাঁটি রূপার বদলে অ্যালয় ব্যবহার হয়, যা গ্রাহকের পক্ষে বোঝা সম্ভব হয় না। তাই রূপার জিনিসে হলমার্কিং অবশ্যই দরকার। তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও রূপার গয়নার চাহিদা বেড়েছে কারণ এগুলো তুলনামূলক সস্তা এবং তারা হলমার্কিং চাইছে।
advertisement