Money Making Tips: ফেলে দেওয়া জিনিস ব্যবহার করে এই ব্যবসা শুরু করুন, আয় হবে লাখ লাখ টাকা !
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- hyperlocal
- Reported by:RAKESH MAITY
Last Updated:
Money Making Tips: কাগজের বাতিল রোল দিয়ে তৈরি হচ্ছে ফুলদানি টেবিল-সহ নানা জিনিস, বাতিল জিনিসে লাখ টাকার ব্যবসা ৷
ফেলনা জিনিস ব্যবহার করে লাখ টাকার ব্যবসা শুরু! একটি বাতিল কাগজের রোল শৈল্পিক দক্ষতায় তৈরি হচ্ছে নয়নাভিরাম ফুলদানি। যা হয়ত সাধারণ মানুষের কল্পনার বাইরে। শুধু ফুলদানি নয় কাগজের রিল দিয়ে তৈরি হচ্ছেন নানা জিনিস। সেই সমস্ত জিনিস দারুণ চাহিদার সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে সোনাঝুড়ি হাটে। এবার সেই আকর্ষণীয় জিনিস উলুবেড়িয়া বই মেলার সোনাঝুড়ি হাটে।
advertisement
এমন জিনিস অন্য কোথাও অমিল প্রায়। মেলা বা হাট প্রাঙ্গনে শিল্পী নিজে হাতে নকশা করছেন ফুলদানির উপর। তা দেখতে রীতিমতো ক্রেতাদের হুমড়ি খাওয়া ভিড়। আসলে এখানে মেলায় বহু জিনিস রয়েছে তবে এমন আকর্ষণীয় জিনিস বহু অনেকেই প্রথম দেখছেন। যার ফলে চোখ পড়লেই থমকে দাড়াচ্ছে মানুষ। এতেই অল্প দিনে ভুঁড়ি ভুঁড়ি অর্থ লাভ শিল্পীর। রীতিমত উলুবেড়িয়া বই মেলায় চাহিদার সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে এই জিনিস।
advertisement
কাগজ ও লেস বা অন্য কোন জিনিস ব্যবহার শেষে পড়ে থাকে কাগজের রিল। সাধারণত সেই রিল বাতিল ফেলনা। তবে অনেক সময় জ্বালানির কাজে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এই বাতিল জিনিস যে সুন্দর আকার দেওয়া যায় তা প্রথমবার করে দেখিয়েছেন শিল্পী জয়ন্ত অধিকারী। শুরুতে একা হাতেই এই জিনিস তৈরি করলেও বর্তমানে চাহিদা বেড়েছে। লক্ষাধিক টাকা মূল্যের মেশিন কিনে কাগজের রোল তৈরি হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন তার সঙ্গে কাজে হাত লাগিয়েছেন। এই সমস্ত কাগজের রোলের উপর থ্রিডি প্লাস্টিক জড়িয়ে তার উপর ফেব্রিক ও নানা রঙের নকশায় ফুলদানি তৈরি করছেন জয়ন্ত বাবু। আর এই সমস্ত ফুলদানির মধ্যে একগুচ্ছ ফুল রাখলেই অফুরন্ত সুন্দর্য। যার সুন্দর্য মুগ্ধ করছে ক্রেতাদের মন।
advertisement
কাগজের রিল সামান্য খরচে আকর্ষণীয় ফুলদানি তৈরি হচ্ছে। মাপ অনুযায়ী বিভিন্ন দাম। ১০০, ২০০ ও ৩০০ টাকা দামের রোল ফুলদানি প্রত্যেকটি জিনিসের দারুন চাহিদা। ফুলদানির পাশাপাশি টূল ও টেবিলের মতোআসবাবপত্র তৈরি হচ্ছে। কাগজের রোলের ফার্নিচার ৫০০, ৭০০ থেকে শুরুর করে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। এই জিনিসের টেকসইও মন্দ নয়।
advertisement
এ প্রসঙ্গে শিল্পী জয়ন্ত অধিকারী জানান, একদিন ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসের সময় পড়ে থাকা আর্ট পেপার তুলে ফেলে না দিয়ে গোল রোল করে পাকিয়ে ফুলদানি তৈরি করা হয়। তখনও ভাবা যায়নি, সেই সময় তৈরি জিনিস বর্তমানে এমন জায়গায় এসে দাঁড়াবে। খুব সহজে বিশেষ কৌশলে ফুলদানি তৈরি হচ্ছে আর চাহিদার সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে। এতে অর্থনৈতিক লাভের পরিমাণও ভাল।