Money Making Tips: ভরাডুবির ভয়? এভাবে হিসেব করে সাজান পোর্টফোলিও, মিউচুয়াল ফান্ড মালামাল করবে, টাকা আসতেই থাকবে
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
Money Making Tips: সঠিকভাবে বিনিয়োগ করলে মিউচুয়াল ফান্ড থেকেই নিয়মিত রিটার্ন পাওয়া সম্ভব। কীভাবে করবেন তা জেনে নিন ।
টাকা কার না দরকার! আর, তার জন্য দরকার সঠিক বিনিয়োগ পদ্ধতি। যদি কেউ চান যে তাঁর বিনিয়োগ দীর্ঘমেয়াদে ভাল রিটার্ন দিক এবং খুব বেশি ঝুঁকি ছাড়াই আর্থিক লক্ষ্য পূরণের সহায়ক হক, তাহলে একটি শক্তিশালী এবং সুষম পোর্টফোলিও তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকের বিনিয়োগের উদ্দেশ্য এবং ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা আলাদা, তাই কীভাবে কোথায় টাকা ভাগ করে করে খাটাতে হবে, তা ভাল করে জানা গুরুত্বপূর্ণ। এরকম একটি পোর্টফোলিও কেবল ভবিষ্যতের চাহিদাই পূরণ করবে না, বরং মানসিক প্রশান্তিও দেবে। কিন্তু প্রশ্ন হল - কোথা থেকে শুরু করতে হবে? জেনে নেওয়া যাক কীভাবে এক শক্তিশালী বিনিয়োগ পোর্টফোলিও তৈরি করতে হয়, যাতে বছরের পর বছর হেসেখেলে রিটার্ন আসতে থাকে।
advertisement
সবার প্রথমে বিনিয়োগের লক্ষ্য এবং ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা নির্ধারণ করতে হবে। একটা ভাল বিনিয়োগ পোর্টফোলিও শুরু এই প্রশ্ন থেকেই হয়। অতএব, প্রথমে নিজেকে এই প্রশ্নগুলো করা দরকার-
- বিনিয়োগের উদ্দেশ্য কী? (যেমন অবসর, সন্তানদের শিক্ষা, বাড়ি কেনা ইত্যাদি)
- আর্থিক অবস্থা কেমন? (যেমন আয়, সঞ্চয়, ঋণ ইত্যাদি)
- কতটা ঝুঁকি নেওয়া যাবে? (অর্থাৎ, যদি বাজার পড়ে যায়, তাহলে কতটা লোকসান সহ্য করা যাবে)
- বিনিয়োগের উদ্দেশ্য কী? (যেমন অবসর, সন্তানদের শিক্ষা, বাড়ি কেনা ইত্যাদি)
- আর্থিক অবস্থা কেমন? (যেমন আয়, সঞ্চয়, ঋণ ইত্যাদি)
- কতটা ঝুঁকি নেওয়া যাবে? (অর্থাৎ, যদি বাজার পড়ে যায়, তাহলে কতটা লোকসান সহ্য করা যাবে)
advertisement
বেশি ঝুঁকি নিলে বেশি লাভ হবে
মনে রাখা দরকার, বেশি লাভ চাইলে একটু বেশি ঝুঁকি নিতে হবে। যদি কেউ সেই ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত থাকেন এবং দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করার ক্ষমতা ধরেন, তাহলে শেয়ারে আরও কিছু বেশি বিনিয়োগ করা যেতে পারে। একে বলা হয় আক্রমণাত্মক পোর্টফোলিও। তবে, কেউ যদি খুব বেশি ঝুঁকি নিতে না চান, তাহলে FD, বন্ড বা মিউচুয়াল ফান্ডের মতো বিকল্পগুলিতে টাকা খাটানো উচিত। এটি একটি রক্ষণশীল পোর্টফোলিও হবে। মোদ্দা কথা- পোর্টফোলিও সব সময়েই বিনিয়োগকারীর চাহিদা, লক্ষ্য এবং মানসিক প্রশান্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া উচিত।
মনে রাখা দরকার, বেশি লাভ চাইলে একটু বেশি ঝুঁকি নিতে হবে। যদি কেউ সেই ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত থাকেন এবং দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করার ক্ষমতা ধরেন, তাহলে শেয়ারে আরও কিছু বেশি বিনিয়োগ করা যেতে পারে। একে বলা হয় আক্রমণাত্মক পোর্টফোলিও। তবে, কেউ যদি খুব বেশি ঝুঁকি নিতে না চান, তাহলে FD, বন্ড বা মিউচুয়াল ফান্ডের মতো বিকল্পগুলিতে টাকা খাটানো উচিত। এটি একটি রক্ষণশীল পোর্টফোলিও হবে। মোদ্দা কথা- পোর্টফোলিও সব সময়েই বিনিয়োগকারীর চাহিদা, লক্ষ্য এবং মানসিক প্রশান্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া উচিত।
advertisement
বিনিয়োগের শুরুতে সম্পদ বরাদ্দ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
যখন টাকা বিনিয়োগ করা শুরু হবে, তখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সম্পদ বরাদ্দ অর্থাৎ কীভাবে এবং কোথায় বিনিয়োগ করা হয়েছে। একটি ভাল পোর্টফোলিওতে কেবল স্টকই থাকে না, বরং বিভিন্ন ধরনের অ্যাসেটও থাকে, যেমন বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড, ইটিএফ (এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড), কিছু নগদ টাকা এবং কখনও কখনও সোনা বা রিয়েল এস্টেটও।
যখন টাকা বিনিয়োগ করা শুরু হবে, তখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সম্পদ বরাদ্দ অর্থাৎ কীভাবে এবং কোথায় বিনিয়োগ করা হয়েছে। একটি ভাল পোর্টফোলিওতে কেবল স্টকই থাকে না, বরং বিভিন্ন ধরনের অ্যাসেটও থাকে, যেমন বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড, ইটিএফ (এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড), কিছু নগদ টাকা এবং কখনও কখনও সোনা বা রিয়েল এস্টেটও।
advertisement
তবে ওই- প্রতিটি বিনিয়োগের নিজস্ব ঝুঁকি এবং লাভ থাকে। কিছু বিনিয়োগ দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে, কিন্তু সেক্ষেত্রে পতনের ঝুঁকিও বেশি থাকে, যেমন শেয়ার বাজার, আবার কিছু বিনিয়োগ নিরাপদ হলেও কম রিটার্ন দেয়, যেমন বন্ড বা ফিক্সড ডিপোজিট। অতএব, এটা গুরুত্বপূর্ণ যে টাকা শুধুমাত্র এক জায়গায় বিনিয়োগ করলেই চলবে না, বরং বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিতে হবে। একে বলা হয় ডাইভারসিফিকেশন, অর্থাৎ বিনিয়োগে বৈচিত্র্য আনা। কারণ আর কিছুই নয়, যদি একটি বিনিয়োগ ক্ষতির সম্মুখীন হয়, অন্য বিনিয়োগগুলো সেই ক্ষতি পূরণ করতে পারবে। এটি বিনিয়োগকারীর সামগ্রিক ঝুঁকি হ্রাস করে, বিনিয়োগকে আরও সুষম এবং নিরাপদ করে তোলে।
advertisement
কীভাবে একটি শক্তিশালী বিনিয়োগ পোর্টফোলিও তৈরি করতে হয়?
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ: শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার আগে কতটা ঝুঁকি নেওয়া সম্ভব হবে, তা ঠিক করতে হবে। তারপর স্টক স্ক্রিনারের মতো টুলের সাহায্যে কোম্পানিগুলিো বিশ্লেষণ করতে হবে, তাদের আর্থিক অবস্থা, বৃদ্ধি এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনাগুলো বুঝতে হবে। এই ভাবে সম্পূর্ণ গবেষণা করার পরেই একমাত্র কোনও স্টকে বিনিয়োগ করা উচিত।
ফিক্সড ডিপোজিট: যদি কেউ কম ঝুঁকি নিতে চান তাহলে ফিক্সড ডিপোজিট একটি ভাল বিকল্প। এতে টাকা নিরাপদ থাকে এবং নির্দিষ্ট রিটার্ন আসে, তাই এটি রক্ষণশীল বিনিয়োগকারীদের জন্য উপযুক্ত।
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ: শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার আগে কতটা ঝুঁকি নেওয়া সম্ভব হবে, তা ঠিক করতে হবে। তারপর স্টক স্ক্রিনারের মতো টুলের সাহায্যে কোম্পানিগুলিো বিশ্লেষণ করতে হবে, তাদের আর্থিক অবস্থা, বৃদ্ধি এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনাগুলো বুঝতে হবে। এই ভাবে সম্পূর্ণ গবেষণা করার পরেই একমাত্র কোনও স্টকে বিনিয়োগ করা উচিত।
ফিক্সড ডিপোজিট: যদি কেউ কম ঝুঁকি নিতে চান তাহলে ফিক্সড ডিপোজিট একটি ভাল বিকল্প। এতে টাকা নিরাপদ থাকে এবং নির্দিষ্ট রিটার্ন আসে, তাই এটি রক্ষণশীল বিনিয়োগকারীদের জন্য উপযুক্ত।
advertisement
মিউচুয়াল ফান্ড: মিউচুয়াল ফান্ডে একই সঙ্গে শেয়ার এবং বন্ডের মতো একাধিক সম্পদ শ্রেণীতে বিনিয়োগ করা যায়। এই ফান্ডগুলো পেশাদারদের দ্বারা পরিচালিত হয়, যাঁরা গবেষণার ভিত্তিতে স্টক এবং বন্ড নির্বাচন করেন। এটি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি সুবিধাজনক এবং ভারসাম্যপূর্ণ বিকল্প।
ইটিএফ: ইটিএফ অর্থাৎ এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড, মিউচুয়াল ফান্ডের মতোই, কিন্তু তারা স্টকের মতো লেনদেন করে। তারা কম খরচে বৈচিত্র্যপূর্ণ বিনিয়োগের সুযোগ প্রদান করে এবং মিউচুয়াল ফান্ডের তুলনায় আরও স্বচ্ছতা এবং নমনীয়তা প্রদান করে।
ইটিএফ: ইটিএফ অর্থাৎ এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড, মিউচুয়াল ফান্ডের মতোই, কিন্তু তারা স্টকের মতো লেনদেন করে। তারা কম খরচে বৈচিত্র্যপূর্ণ বিনিয়োগের সুযোগ প্রদান করে এবং মিউচুয়াল ফান্ডের তুলনায় আরও স্বচ্ছতা এবং নমনীয়তা প্রদান করে।
advertisement
ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম (NPS): কেউ যদি অবসর গ্রহণের জন্য বিনিয়োগ করতে চান, তাহলে NPS একটি ভাল বিকল্প। এতে, তিনটি জায়গাতেই বিনিয়োগ করা হয় - ইক্যুইটি, কর্পোরেট বন্ড এবং সরকারি সিকিউরিটিজ। পাশাপাশি, এতে কর সুবিধাও পাওয়া যায়।
দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ ধরে রাখতে হবে: শেয়ার বাজারে ওঠানামা স্বাভাবিক, কিন্তু কেউ যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য বিনিয়োগ করে থাকেন, তাহলে আরও ভাল রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অতএব, ছোট ছোট পরিবর্তন দেখে আতঙ্কিত হওয়া চলবে না এবং ভয় পেয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হবে না। পরিবর্তে, দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক লক্ষ্যের উপর মনোনিবেশ করতে হবে এবং ধৈর্য ধরতে হবে।
দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ ধরে রাখতে হবে: শেয়ার বাজারে ওঠানামা স্বাভাবিক, কিন্তু কেউ যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য বিনিয়োগ করে থাকেন, তাহলে আরও ভাল রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অতএব, ছোট ছোট পরিবর্তন দেখে আতঙ্কিত হওয়া চলবে না এবং ভয় পেয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হবে না। পরিবর্তে, দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক লক্ষ্যের উপর মনোনিবেশ করতে হবে এবং ধৈর্য ধরতে হবে।
advertisement
পোর্টফোলিও রিভিউ করতে হবে: বাজারের অবস্থা সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হয়, তাই নিয়মিত বিনিয়োগ পোর্টফোলিও রিভিউ করা দরকার। কখনও কখনও পোর্টফোলিওকে নতুন করে সাজানোর দরকার হয়, কোন সম্পদ শ্রেণীতে অতিরিক্ত বিনিয়োগ হয়ে গিয়েছে এবং কোনগুলোতে কম বিনিয়োগ হয়েছে তা পরীক্ষা করে দেখতে হয়। এভাবে অতিরিক্ত বিনিয়োগ এবং কম বিনিয়োগের উপাদানগুলো চিহ্নিত করতে হয় এবং প্রয়োজন অনুসারে সেগুলোতে পরিবর্তন আনতে হয়, যাতে পোর্টফোলিও ভারসাম্যপূর্ণ থাকে এবং বিনিয়োগকারী প্রয়োজন অনুসারে রিটার্ন পান।
সবশেষে একটাই কথা বলার- মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা খাটালে পোর্টফোলিওটি লক্ষ্য, ঝুঁকি গ্রহণের ক্ষমতা এবং বিনিয়োগের পছন্দ অনুসারে তৈরি করা উচিত। এই ধরনের পোর্টফোলিও কেবল স্থিতিশীল রিটার্নই দেবে না, বরং আর্থিক স্বাধীনতার দিকেও নিয়ে যাবে।
সবশেষে একটাই কথা বলার- মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা খাটালে পোর্টফোলিওটি লক্ষ্য, ঝুঁকি গ্রহণের ক্ষমতা এবং বিনিয়োগের পছন্দ অনুসারে তৈরি করা উচিত। এই ধরনের পোর্টফোলিও কেবল স্থিতিশীল রিটার্নই দেবে না, বরং আর্থিক স্বাধীনতার দিকেও নিয়ে যাবে।