উত্তর দিনাজপুর: মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে সফলতা পাচ্ছে উত্তর দিনাজপুর জেলার বহু কৃষক।পরিবেশবান্ধব ও লাভজনক একটি কৃষি প্রযুক্তি হচ্ছে এই মালচিং পদ্ধতি। শীত পড়তেই বহু কৃষকরা মালচিং পদ্ধতিতে টমেটো, বেগুন , লঙ্কা সহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষ করে থাকেন। মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে দ্বিগুণ লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা।মূলত চীন ও জাপানের বিষমুক্ত সবজি চাষের একটি পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি হল মালচিং পদ্ধতি। বিভিন্ন ধরনের বস্তু দিয়ে যখন গাছপালার গোড়া, সবজি ক্ষেত ও বাগানের বেডের জমি বিশেষ পদ্ধতিতে ঢেকে দেওয়া হয় তখন তাকে বলে মালচিং পদ্ধতি বলে। আরও পড়ুন: ম্যাচিউরিটির সময় সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা থেকে মিলবে ৭০ লাখ টাকা ? জেনে নিন এই স্কিমের হিসেব মালচিং পদ্ধতিতে শীতকালে বিভিন্ন ধরণের সবজি চাষ করে গতবছর প্রায় ১০ লক্ষ টাকা আয় করে ছিলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদের কৃষক শক্তি সরকার। এবারও শীত পড়তেই তিনি মাল্চিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ শুরু করে দিয়েছেন। কৃষক শক্তি সরকারের চাষাবাদ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে এলাকার অন্যান্য কৃষক ও মালচিং পেপার ব্যবহার করে নিরাপদ সবজি উৎপাদন শুরু করেছেন। শক্তি সরকার জানান এই মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ করলে জমিতে আগাছা পরিষ্কার করতে হয় না এছাড়া ফসলের গুণমান ভাল হয় ফলে দাম ও ভাল পাওয়া যায়।জমিতে পরিমিত রাসায়নিক ও জৈব সার দিয়ে সারি সারি বেড তৈরি করা হয়। পরে সারিবদ্ধ বেডগুলো পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। বেডে নির্দিষ্ট দূরত্বে পলিথিন ফুটো করে সবজির বীজ বা চারা রোপণ করতে হয়। আরও পড়ুন: ভারতে ব্যাপক সস্তা সোনা, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, কাতার, ওমান, সিঙ্গাপুরের চেয়েও কম দামে মিলছে সোনা ! দেখুন বিশদে চারা রোপণের পর শুধু দেখভাল করা ছাড়া তেমন কোনো পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। মালচিং পেপার দ্বারা ঢেকে দেওয়ার কারণে ছত্রাক বা রোগবালাইয়ের আক্রমণ হয় না বললেই চলে। জমির পরিচর্যার জন্য তেমন শ্রমিকের প্রয়োজন হয় না। ফলে উৎপাদন খরচ হয় খুব কম। এই পদ্ধতিতে ফলন হয় দ্বিগুণ। পরিশ্রম কম হয়। এ পদ্ধতি অনেক সহজলভ্য, লাভজনক ও পরিবেশবান্ধব। তাই দিন দিন চীনের ও জাপানের মতোই মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। পিয়া গুপ্তা