DMart: ডি-মার্টের পুরো নাম জানেন? এত কম দামে জিনিস বিক্রি করার রহস্য লুকিয়ে আছে সেখানেই
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
দামানি সাধারণের নাগরিকের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ২০০২ সালে ডি-মার্ট প্রতিষ্ঠা করেন।
একদিকে যেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্য দিকে তত বেশি করে ডি-মার্ট ডিপার্টমেন্টাল স্টোর যেন সাধারণ মানুষের জন্য একটি দুর্দান্ত বিকল্প হয়ে উঠছে। কম খরচে এক জায়গায় সকল চাহিদা পূরণ করার কারণে এটি মধ্যবিত্তের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। অনেকেরই মনে এই প্রশ্ন থাকতে পারে যে কীভাবে তারা এত কম দামে জিনিস দেয়!
advertisement
ডি-মার্টের প্রতিষ্ঠাতা রাধাকিষণ দামানির নাম ব্যবসায়িক জগতে সুপরিচিত। তিনি ১৯৮০-এর দশকে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ শুরু করেন এবং সেখানে কোটি কোটি টাকা আয় করেন। সেই সময়েই ব্যবসায়িক প্রসারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ দামানি সাধারণের নাগরিকের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ২০০২ সালে ডি-মার্ট প্রতিষ্ঠা করেন। এই কোম্পানির আসল নাম ছিল দামানি মার্ট। এটি পরিবর্তন করে ডি-মার্ট করা হয়। এর ম্যানেজিং সংস্থা হল অ্যাভিনিউ সুপারমার্টস লিমিটেড। এই কোম্পানির লক্ষ্য হল প্রতিটি পরিবারের জন্য মানসম্পন্ন প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করা।
advertisement
ডি-মার্টে কম দামে পণ্যের সহজলভ্যতার পিছনে তাই কেবল ব্যবসায়িক দক্ষতাই নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতাও রয়েছে। ডি-মার্ট বর্তমানে দেশের ১১টি রাজ্যে সেই প্রতিশ্রুতি পালন করে চলেছে। কর্নাটক, গুজরাত, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লির মতো রাজ্যগুলিতে এটি খুবই জনপ্রিয়। বর্তমানে, সারা দেশে এর ৩৭৫টিরও বেশি স্টোর রয়েছে। প্রতিটি স্টোরে গ্রাহকদের চাহিদা অনুসারে বিবিধ পণ্য পাওয়া যায়।
advertisement
বেশিরভাগ শহরেই ডি-মার্ট স্টোরে ভিড় লেগেই থাকে। নিজস্ব বিলিডিংয়ে স্টোর স্থাপন করে তারা ভাড়ার খরচ কমায় এবং এর ফলে কম দামে পণ্য সরবরাহ করতে পারে। ডি-মার্টের প্রতিষ্ঠাতা রাধাকিষণ দামানি বর্তমানে ভারতের চতুর্থ ধনী ব্যক্তি। বর্তমানে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ২১.৩ বিলিয়ন রুপি (প্রায় ১.৭৮ লক্ষ কোটি টাকা)। তাঁর অ্যাভিনিউ সুপারমার্টস লিমিটেডের বাজার মূল্যও প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকার কাছাকাছি। শেয়ার বাজার থেকে ব্যবসায়িক জগতে আসা দামানি ভোক্তাদের মানসিকতা বুঝতে পেরে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য সরবরাহ করে কোটি কোটি মানুষকে আকৃষ্ট করেছেন।
advertisement
ব্যবসায় সাফল্যের পথে এই নজির প্রতিটি তরুণ উদ্যোক্তার জন্য পথপ্রদর্শক তো বটেই! ডি-মার্টে পাওয়া সকল পণ্যই ভাল মানের এই আশ্বাস দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু কিছু প্রক্রিয়াজাত খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা সাবধানে এগুলো বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন। দাম কম বলেই স্বাস্থ্যকে অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়। সামগ্রিকভাবে, ডি-মার্ট কেবল এক ডিপার্টমেন্টাল স্টোর নয়, বরং মধ্যবিত্ত মানুষের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে উঠেছে। গ্রাহকের চাহিদার দিক থেকে এটি শীর্ষে রয়েছে, সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য সরবরাহ করে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং গ্রাহক সহায়তা প্রদান করে তা সবার মন জয় করেছে।