চাকরি থেকে অবসর নিলেও আর থাকবে না পেনশনের চিন্তা; SBI দিচ্ছে দারুণ সুযোগ

অবসর জীবনটা যাতে ঝঞ্ঝাটমুক্ত ভাবে কাটানো যায়, তার জন্য একটা পেনশন প্ল্যানে বিনিয়োগ করা আবশ্যক। আর সেটা করতে হবে চাকরিজীবন থেকেই। অবসর পরবর্তী জীবনে যাতে আর্থিক সুরক্ষা থাকে এবং নিশ্চিন্তে জীবনটা অপভোগ করা যায়, তার জন্যই এটা জরুরি। তাই আগে থেকেই পরিকল্পনা শুরু করা আবশ্যক।

আসলে চাকরিজীবন থেকে অবসর নিলে একমাত্র আয়ের উৎস থাকে পেনশনই। তাই নিরাপদ পেনশন প্ল্যান নেওয়ার পরিকল্পনা করলে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই)-র পেনশন প্ল্যান নেওয়া যেতে পারে। এই পেনশন প্ল্যানের নাম এসবিআই লাইফ সরল পেনশন প্ল্যান। এই বিষয়ে খুঁটিনাটি জেনে নেওয়া যাক।

এসবিআই লাইফ সরল পেনশন প্ল্যান কী? এসবিআই সরল পেনশন প্ল্যান হল সিঙ্গেল প্রিমিয়াম, ইন্ডিভিজ্যুয়াল, নন-লিঙ্কড, নন-পার্টিসিপেটিং, ইমিডিয়েট অ্যানুইটি স্কিম। এই প্ল্যানের আওতায় অ্যানুইটি বিকল্প-সহ অসংখ্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়।

এসবিআই লাইফ সরল পেনশন প্ল্যান: বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধা ১. অবসরের পরে স্ট্যান্ডার্ড ইমিডিয়েট অ্যানুইটি প্ল্যান-সহ এই প্ল্যান নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। ২. সিঙ্গেল লাইফ অথবা জয়েন্ট লাইফ অ্যানুইটি-সহ প্রিমিয়াম বিকল্পগুলির প্রাপ্ত বিকল্প থেকে বেছে নিতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা। ৩. আর্থিক প্রয়োজন থাকলে বিনিয়োগকারীরা ঋণের সুবিধাও পেতে পারেন।

৪. কোনও নির্দিষ্ট ধরনের জটিল রোগ ধরা পড়লে বিনিয়োগকারীরা এই প্ল্যানের সারেন্ডার ভ্যালু পেতে পারেন। ৫. মেয়াদপূর্তিতে সাম অ্যাসিওর্ডের সঙ্গে সঙ্গে সঞ্চিত সিম্পল রিভার্শনারি বোনাস অ্যান্ড টার্মিনাল বোনাস বিনিয়োগকারীদের অ্যানুইটি রূপে দেওয়া হয়ে থাকে। ৬. সমস্ত প্রিমিয়াম এবং দাবির উপর ১৯৬১ সালের আয়কর আইনের ৮০সিসিসি ধারা এবং ১০(১০এ) ধারার অধীনে ট্যাক্স বেনিফিট পাবেন বিনিয়োগকারীরা।

৭. এসবিআই সরল পেনশন প্ল্যানে বিনিয়োগকারীরা নিম্নোক্ত ন্যূনতম অ্যানুইটি বিকল্প বেছে নিতে পারেন— মাসিক - ১০০০ টাকা ষান্মাসিক - ৬০০০ টাকা ত্রৈমাসিক - ৩০০০ টাকা বার্ষিক - ১২০০০ টাকা

৮. পলিসিহোল্ডারের মৃত্যু হলে সমস্ত ভবিষ্যতের অ্যানুইটি পে-আউট সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যাবে। আর ১০০ শতাংশ পারচেজ প্রাইস নমিনি অথবা আইনি উত্তরাধিকারীকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

এসবিআই লাইফ সরল পেনশন প্ল্যান: বয়স, মেয়াদপূর্তি এবং যোগ্যতা এসবিআই সরল পেনশন প্ল্যানে বিনিয়োগ করার ন্যূনতম বয়স হল ১৮ বছর। আর রেগুলার প্রিমিয়াম নেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৬০ বছর এবং সিঙ্গেল প্রিমিয়াম নেওয়ার ক্ষেত্রে তা ৬৫ বছর।

মিনিমাম ম্যাচিউরিটি বয়স হল ৪০ বছর এবং ম্যাক্সিমাম ম্যাচিউরিটি বয়স হল ৭০ বছর। সিঙ্গেল প্রিমিয়ামের জন্য পলিসির মেয়াদ ৫ বছর এবং রেগুলার প্রিমিয়ামের জন্য ১০ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৪০ বছর পর্যন্ত হতে পারে। ন্যূনতম বেসিক সাম অ্যাশিওর্ড পরিমাণ হল ১ লক্ষ টাকা। যদিও সর্বোচ্চ পরিমাণ কত হবে, সময়ে সময়ে তার সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড। প্রিমিয়াম কিন্তু সিঙ্গেল প্রিমিয়াম হিসেবে দেওয়া যেতে পারে। তা-ও মাসিক, ত্রৈমাসিক, ষান্মাসিক এবং বার্ষিক ভিত্তিতে।