Investment Ideas: ২৫ লক্ষ টাকা সঞ্চয় এবং ৫০ লক্ষ টাকার গৃহঋণ; ৫৫ বছর বয়সে অবসর নিতে চাইলে কী করা উচিত জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ!
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
Investment Tips: ২৫ লক্ষ টাকা সঞ্চয় ও ৫০ লক্ষ টাকার হোম লোন নিয়ে ৫৫ বছর বয়সে অবসর নেওয়া কি সম্ভব? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন বিনিয়োগ ও EMI সামলানোর সঠিক কৌশল।
অবসরের আর্থিক পরিকল্পনা একেজনের ক্ষেত্রে একেকরকম হয়। এখানে ধরে নেওয়া যাক কর্মীর বয়স ৩৮ বছর, তাঁর বার্ষিক আয় ২২ লক্ষ টাকা, ৩৬ বছর বয়সের স্ত্রী ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ৫-৬ লক্ষ টাকা আয় করেন। দম্পতির পাঁচ বছরের একটি মেয়ে আছে, ৫০ লক্ষ টাকার গৃহঋণ , ১৫ লক্ষ টাকার মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১০ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট আছে। মেয়ের শিক্ষার পরিকল্পনা অব্যাহত রেখে ৫৫ বছর বয়সে অবসর নেওয়া এবং একটি জরুরি তহবিল তৈরি করা লক্ষ্য। এবার তা অর্জনের জন্য বিনিয়োগ পরিকল্পনা কেমন হওয়া উচিত?
advertisement
ফিনফিক্স রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিটিক্সের প্রতিষ্ঠাতা প্রবীণ বাজপাই বলছেন, প্রথমে নিজের জন্য পর্যাপ্ত জীবন বিমা থাকা অপরিহার্য। ১৫ বছরের জন্য একটি বিশুদ্ধ মেয়াদি বিমা পরিকল্পনা নেওয়া উচিত, কেন না, এই সময়ের মধ্যেই বেশিরভাগ প্রধান আর্থিক লক্ষ্য অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তিনজনেরই পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য বিমা কভারেজ থাকা দরকার। যদি আপনার মাসিক খরচ (EMI ব্যতীত) ৭০,০০০ টাকা হয় এবং আপনি ৫৫ বছর বয়সে অবসর গ্রহণের পরিকল্পনা থাকে, অবসরের আগের পর্যায়ে ১২% রিটার্ন এবং ৬% বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি হিসেব করে চললে প্রায় ৮ কোটি টাকার অবসর তহবিল তৈরি করতে হবে। সন্তানের উচ্চশিক্ষার জন্য যদি আজ খরচ ২৫ লক্ষ টাকা হয়, তাহলে তার ১৮ বছর বয়সের মধ্যে প্রায় ৭৭ লক্ষ টাকা প্রয়োজন হবে, শিক্ষা ব্যয়ের ৯% মুদ্রাস্ফীতি এবং ১২% বার্ষিক রিটার্ন ধরে নেওয়া হল। এর জন্য ২২,০০০ টাকার মাসিক SIP অথবা বর্তমানে ১৭ লক্ষ টাকার এককালীন বিনিয়োগ প্রয়োজন।
advertisement
advertisement
ফিনোভেটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও নেহাল মোটা বলছেন ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং অস্থির বাজারে উদ্বিগ্ন বোধ করাই স্বাভাবিক। তবে, একটি সুগঠিত আর্থিক পরিকল্পনা সাহায্য করতে পারে। মূল বিষয় হল লক্ষ্যগুলির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বিনিয়োগ করা এবং একটি সুশৃঙ্খল পদ্ধতি অনুসরণ করা। এমন একটি কাঠামো দিয়ে শুরু করতে হবে যাতে তিনটি অ্যাকাউন্ট থাকে-
advertisement
আয় অ্যাকাউন্ট: প্রতি মাসে সমস্ত আয় এখানে জমবে।
ব্যয় অ্যাকাউন্ট: ইউটিলিটি বিল, জীবনযাত্রার ব্যয় ইত্যাদি পরিশোধের জন্য এটি ব্যবহার করতে হবে।
বিনিয়োগ অ্যাকাউন্ট: SIP-এর জন্য স্বয়ংক্রিয় ভাবে এখান থেকে টাকা কাটা যাবে।
ইক্যুইটি, ঋণ, সোনা এবং রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ ছড়িয়ে দেলে ঝুঁকি কম হবে। পোর্টফোলিওর কিছু অংশ সাময়িকভাবে খারাপ পারফর্ম করলেও অন্যগুলি স্থিতিশীলতা প্রদান করবে।
ব্যয় অ্যাকাউন্ট: ইউটিলিটি বিল, জীবনযাত্রার ব্যয় ইত্যাদি পরিশোধের জন্য এটি ব্যবহার করতে হবে।
বিনিয়োগ অ্যাকাউন্ট: SIP-এর জন্য স্বয়ংক্রিয় ভাবে এখান থেকে টাকা কাটা যাবে।
ইক্যুইটি, ঋণ, সোনা এবং রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ ছড়িয়ে দেলে ঝুঁকি কম হবে। পোর্টফোলিওর কিছু অংশ সাময়িকভাবে খারাপ পারফর্ম করলেও অন্যগুলি স্থিতিশীলতা প্রদান করবে।