Home Loan EMI: ২০ বছরের জন্য ৩০ লাখ টাকা লোন নিলে কত EMI পড়বে দেখুন

নতুন বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনা মানেই মোটা টাকার ধাক্কা। অত নগদ সবসময় হাতে থাকে না। থাকা সম্ভবও নয়। অগত্যা হোম লোনই ভরসা। আর লোন মানেই মাসে মাসে ইএমআই। নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে সুদ সহ পুরো টাকা।

ইএমআই নির্ভর করে লোনের পরিমাণ এবং মেয়াদের উপর। এর সঙ্গে সুদের হারও বড়ও ফ্যাক্টর। কম সুদে লোন মিললে ইএমআই-এর পরিমাণও কমে যায়। আবার উল্টোটাও সত্যি। অর্থাৎ সুদের হার বেশি হলে ইএমআই-এর পরিমাণ বাড়বে।

কম সুদে লোন পাওয়ার একটাই উপায়। সেটা হল ভাল সিবিল স্কোর থাকতে হবে। সাধারণত ৮০০ বা তার বেশি সিবিল স্কোর থাকলে কম সুদের হারে লোন পান গ্রাহক। কিন্তু কত কম সুদের হারে হোম লোন পাওয়া যাবে? গ্রাহকের সুবিধার্থে ৮.৩৫ শতাংশ হারে হোম লোন দিচ্ছে ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র। ঋণগ্রহীতাদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ।

এখন ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র থেকে যদি কেউ ৮.৩৫ শতাংশ সুদের হারে ২০ বছর মেয়াদে ৩০ লাখ টাকার হোম লোন নেন, তাহলে প্রতি মাসে কত টাকা ইএমআই দিতে হবে? হোম লোন ক্যালকুলেটর থেকে খুব সহজেই এই হিসেব বের করা যায়।

[caption id="attachment_1955539" align="alignnone" width="1200"] হোম লোন ক্যালকুলেটর অনুযায়ী, ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র থেকে ২০ বছর মেয়াদে ৮.৩৫ শতাংশ সুদের হারে ৩০ লাখ টাকার হোম লোন নিলে গ্রাহককে প্রতি মাসে ইএমআই পড়বে ২৫,৭৫১ টাকা। শুধু সুদ হিসেবে শোধ করতে হবে ৩১,৮০,১৪১ টাকা। সুদ এবং আসল মিলিয়ে তিনি ব্যাঙ্ককে মোট ৬১,৮০,১৪১ টাকা শোধ করবেন।

[/caption]

তবে যতটা সম্ভব কম মেয়াদে হোম লোন নেওয়ার পরামর্শ দেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ লোনের মেয়াদ যত কম হবে, তত কম সুদ শোধ করতে হবে গ্রাহককে। অনেক ক্ষেত্রে সময়ের আগে লোন শোধ করলে প্রি-পেমেন্ট পেনাল্টি আরোপ করে ব্যাঙ্ক। তাই হোম লোন নেওয়ার আগে এই বিষয়টাও মাথায় রাখা জরুরি।

হোম লোনে অনেক সময় বিভিন্ন অফার দেয় ব্যাঙ্ক। তাই লোন নেওয়ার আগে সমস্ত ব্যাঙ্কের সুদের হার এবং অফার সম্পর্কে জানা উচিত। এতে গ্রাহকেরই সুবিধা। প্রসেসিং ফি সম্পর্কেও বিশদে জানতে হবে। পাশাপাশি যে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট বা ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে সেই ব্যাঙ্ক থেকেই লোন নিতে বলেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ ব্যাঙ্ক নিয়মিত গ্রাহকদের সহজ এবং তুলনামূলক কম সুদের হারে লোন দেয়।