How To Become Crorepati: ৪৮ বছর বয়সে কোটিপতি হতে চান? এই ফর্মুলা মেনে বিনিয়োগ করুন, টাকাপয়সা নিয়ে আর চিন্তা থাকবে না

শেয়ার বাজার থেকে অল্প সময়ে মোটা টাকা রিটার্ন পাওয়া যায়। কিন্তু ঝুঁকি অনেক বেশি। তাছাড়া লাভ পেতে হলে শেয়ার বাজার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে হবে। নিজেকে আপ-টু-ডেট রাখতে হবে প্রতিনিয়ত। সবার পক্ষে সম্ভব নয়।

যাঁদের পক্ষে সরাসরি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা সম্ভব নয় বা চান না, তাঁদের জন্য মিউচুয়াল ফান্ড আদর্শ। এতে বাজার সম্পর্কে জ্ঞান থাকাটা আবশ্যক নয়, এর জন্য ফান্ড ম্যানেজাররা রয়েছে। একই সঙ্গে খুব অল্প টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করা যায়। মোটা টাকাও লাগে না।

মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হল এসআইপি। লাম্পসাম বিনিয়োগও করা যায়। কিন্তু এর জন্য মোটা টাকা দরকার। তাই যাঁরা অল্প অল্প টাকা জমিয়ে মোটা কর্পাস তৈরি করতে চান, তাঁদের জন্য এসআইপিই লাভজনক।

এসআইপিতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। দীর্ঘমেয়াদে মোটা রিটার্ন মেলে। কমপাউন্ডিংয়ের সুবিধাও পাওয়া যায়। নির্দিষ্ট ফর্মুলা মেনে বিনিয়োগ করলে খুব কম সময়েও মোটা টাকার কর্পাস তৈরি করা সম্ভব। সেটা হল 12X12X24 রুল।

এই ফর্মুলায় বিনিয়োগ করলে খুব কম সময়ে কোটিপতি হতে পারেন বিনিয়োগকারী। তবে এই পদ্ধতিতে যত তাড়াতাড়ি শুরু করা যায়, তত ভাল। নিয়মিত বিনিয়োগের ফলে রিটার্নে চক্রবৃদ্ধি সুদ যোগ হবে। যা কম সময়ে বড় কর্পাস তৈরিতে সাহায্য করবে। ৪৮ বছর বয়সে যদি কেউ ২ কোটি টাকার কর্পাস তৈরি করতে চান, তাহলে ২৪ বছর বয়স থেকে এই ফর্মুলায় বিনিয়োগ শুরু করতে হবে। এই ফর্মুলায় প্রথম ১২ হল মাসিক বিনিয়োগের পরিমাণ। অর্থাৎ প্রতি মাসে ১২ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।

দ্বিতীয় ১২ হল সুদের হার। মিউচুয়াল ফান্ডে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়। তাই গড় বার্ষিক সুদের হার ১২ শতাংশ ধরা হয়েছে। আর ২৪ বছর হল বিনিয়োগের মেয়াদকাল। অর্থাৎ টানা ২৪ বছর বিনিয়োগ চালিয়ে যেতে হবে।

তাহলে ২৪ বছর বয়স থেকে যদি কেউ প্রতি মাসে ১২ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে ২৪ বছরে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াবে ৩৪.৫৬ লাখ টাকা। এর উপর ১২ শতাংশ হারে রিটার্ন পেলে সুদ থেকে আয় হবে ১,৬৬,১৬,২৪৬ টাকা। তাহলে সুদ এবং আসল মিলিয়ে মোট হাতে আসবে ২,০০,৭২,২৪৬ টাকা।