কখন এবং কতটা Home Loan কত হওয়া উচিত ? বেতন অনুযায়ী EMI কত হবে? জানুন এই সহজ হিসেব
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- trending desk
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
Home Loan EMI Calculations: কয়েকটি সহজ হিসেব থেকে বোঝা যেতে পারে যে, কার কখন একটি বাড়ি কেনার কথা বিবেচনা করা উচিত।
একটি নিজের বাড়ি কেনা আমাদের প্রত্যেকেরই স্বপ্ন থাকে। কিন্তু, আজকের দিনে দাঁড়িয়ে একটি বাড়ি কেনা খুব সহজ কাজ নয়। একজন মধ্যবিত্ত মানুষ বাড়ি কেনার জন্য তার সমস্ত সঞ্চয় ব্যয় করে। তার পরেও কম টাকা থাকে এবং তার জন্য হোম লোন নিতে হয়। এমতবস্থায়, একটি বড় প্রশ্ন দেখা দেয় যে, একজন ব্যক্তির কখন বাড়ি কেনা উচিত? এটাও একটা প্রশ্ন যে কী ধরনের বাড়ি কেনা উচিত, অর্থাৎ কত টাকায় কেনা উচিত? একটি সহজ হিসেব থেকে বোঝা যেতে পারে যে, কার কখন একটি বাড়ি কেনার কথা বিবেচনা করা উচিত।
advertisement
প্রথমে ডাউন পেমেন্টের ব্যবস্থা -যে পরিমাণ টাকার বাড়ি কেনা হবে, তার ডাউন পেমেন্টের জন্য এর প্রায় ৩০ শতাংশ নগদে থাকা উচিত। এর মধ্যে, ২০ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দেওয়া যেতে পারে এবং বাড়িটি কেনার পরে, অবশিষ্ট টাকা দিয়ে এর রেজিস্ট্রেশন, কিছু ছোটখাটো খরচ ইত্যাদি পরিশোধ করতে হবে। বাকি ৮০ শতাংশ পাওয়া যাবে হোম লোনের মাধ্যমে।
advertisement
কম সুদে হোম লোন নেওয়ার যোগ্য -এর পরে পরীক্ষা করতে হবে নিজেরা সাশ্রয়ী সুদের হারে হোম লোন নেওয়ার যোগ্য কি না। কেউ যখন একটি হোম লোন নেয়, তখন সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য হওয়া উচিত ঋণের সুদের হার কমিয়ে আনার চেষ্টা করা। এটা সম্ভব হবে যখন কারও খুব ভাল ক্রেডিট স্কোর থাকবে। এই বিষয়ে জেনে রাখা প্রয়োজন যে, একটি ভাল ক্রেডিট স্কোরের জন্য, একটি ভাল ক্রেডিট ইতিহাস থাকা উচিত।
advertisement
দীর্ঘমেয়াদী ক্ষেত্রে বিনিয়োগ -একটি বাড়ি কেনার অর্থ হল এটি ২-৪ বা ১০ বছরের মধ্যে সেটি বিক্রি করা হবে না। এমন পরিস্থিতিতে বাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত একটি দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্ত। কেউ যদি ৩০ বছরের জন্য একটি ইএমআই চালিয়ে যায়, এর মানে হল যে হোম লোন পরিশোধ করতে অর্ধেক জীবন ব্যয় করতে হবে। তাই বাড়ি কেনার আগে দেখে নিতে হবে, নিজেদের অন্য কী কী দায়িত্ব আছে এবং আগামী বছরগুলোতে কী কী দায়িত্ব পালন করতে হতে পারে। সেই অনুসারে, সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে যে, নিজেদের একটি বাড়ি কেনা উচিত কি না।
advertisement
advertisement
কারণ বাকি ৪৫ হাজার টাকার মধ্যে বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ, বিদ্যুৎ এবং জলের বিল, বাচ্চার স্কুলের ফি, ক্যাব চার্জ, পরিবারের রেশন, পেট্রোল খরচ, জামাকাপড় ও খাওয়ার খরচ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। শুধু তাই নয়, নিজেদের বৃদ্ধ বয়সের জন্য একই বেতন থেকে টাকা সঞ্চয় করতে হবে এবং সন্তানের লেখাপড়া ও বিয়ের জন্যও টাকা রাখতে হবে। এগুলি ছাড়াও, নিজেদের জরুরি তহবিল হিসাবে কিছু টাকাও রাখতে হবে।
advertisement
এভাবে বাড়ি কেনার সময় প্রথমেই দেখতে হবে বাড়ির দাম কত। এর পরে চেক করতে হবে যে, নিজেদের কাছে ডাউন পেমেন্ট করার জন্য যথেষ্ট নগদ আছে কি না। এর পরে, এটিও দেখতে হবে যে ইএমআই কত এবং এটি বেতনের ২০-২৫ শতাংশের বেশি কি না। যদি এই সমস্ত মানদণ্ড পূরণ করা যায়, তবেই একটি বাড়ি কিনতে প্রস্তুত থাকা যায়। কিন্তু, যদি এর মধ্যে একটিও এমন বিষয় থাকে, যা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না, তাহলে একটি বাড়ি কেনার জন্য অপেক্ষা করা উচিত।