রিটায়েরমেন্টের পর হবে না কোনও টাকার অভাব, মাথায় রাখতে হবে কেবল এই ১০টি বিষয়

জীবনের জন্য প্রয়োজন রোজগার। আর ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়। কারণ রোজগার করার মতো শারীরিক সক্ষমতা বেশিদিন স্থায়ী হয় না। কালের নিয়মে শরীর অশক্ত হয়ে পড়লে ভরসা সঞ্চয়। তাই অবসরের সময় যাতে হাতে যথেষ্ট অর্থ থাকে, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেলতে হবে একেবারে শুরু থেকেই।

কীভাবে এমন সঞ্চয় করা যায় যাতে অবসরের পর কোনও রকম অসুবিধা না হয়। মাথায় রাখতে হবে ১০টি বিষয়—

তাড়াতাড়ি সঞ্চয় শুরু করা— বিশেষজ্ঞরা সব সময়ই মনে করে যত অল্প বয়স থেকে সঞ্চয় করা যায় ততই লাভ। তাতে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ পাওয়া যাবে। আর অবসরের পর অনেক বেশি টাকা হাতে থাকবে।

লক্ষ্য স্থির রাখা— নিজের জীবনযাত্রা, পরিবারের চাহিদা ইত্যাদির স্পষ্ট ধারণা তৈরি করে ফেলতে হবে। সেই সঙ্গে মাথায় রাখতে হবে আগামী দিনের মূল্যবৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়। তারপর ভেবে নিতে হবে অবসরের পর ঠিক কত টাকা হাতে থাকা প্রয়োজন। সেই অনুযায়ী সঞ্চয় করতে হবে।

বাজেট স্থির করা— আয় এবং ব্যয়ের নির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরি করা দরকার। এই মুহূর্তে অপ্রয়োজনীয় খরচগুলি চিহ্নিত করে ফেলতে পারলে সেই ক্ষেত্রে ব্যয় কমানো যেতে পারে। সেই অংশের টাকা বরং ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করা যেতে পারে।

অবসরকালীন হিসেব নিকেশ— অবসরের সময় ভাল অঙ্কের টাকা হাতে রাখার জন্য এই মুহূর্তে বেছে নেওয়া যেতে পারে ইপিএফ, পিপিএফ, এনপিএস-এর মতো প্রকল্প যা আয়কর ছাড়ের সুবিধা দেয়। অথবা, উপযুক্ত এফডি-ও করা যেতে পারে।

বিচক্ষণ বিনিয়োগ— ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ জরুরি। সেক্ষেত্রে বৈচিত্র্যময় পোর্টফোলিও তৈরি করতে হবে। প্রয়োজনে পেশাদার পরামর্শদাতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

অকারণ খরচ বন্ধ— অকারণে দেদার খরচ করার কোনও প্রয়োজন নেই। এতে ভবিষ্যতের সঞ্চয় কমবে।

অতিরিক্ত সঞ্চয়— সাধারণত সকলেই এমন প্রকল্পে অর্থ সঞ্চয় করার কথা ভাবেন যা আয়কর বাঁচাতে কাজে লাগে। কিন্তু তার বাইরেও মিউচুয়াল ফান্ড, স্টক, বন্ডের মতো ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। অবশ্যই ঝুঁকির বিষয়টি মাথায় রেখে।

স্বাস্থ্যসেবা— স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে বিমা করানো প্রয়োজন। কারণ প্রয়োজনের সঙ্গে সঙ্গে খরচ বাড়বে। আগামী দিনের জন্য ভাবনা রাখা প্রয়োজন।

আপদকালীন তহবিল— জরুরি পরিস্থিতির জন্য একটি আপদকালীন তহবিল রাখা প্রয়োজন। যাতে তেমন দরকার হলেও কোনও ভাবেই ভবিষ্যতের সঞ্চয়ে হাত না পড়ে।

ভবিষ্যতের সঞ্চয়ে নজর নয়— বর্তমানের প্রয়োজন মেটাতে কোনও ভাবেই ভবিষ্যতের সঞ্চয়ের দিকে হাত দেওয়া চলবে না। তাতে আখেরে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি।