৩০% কমে যাবে বিদ্যুৎ বিল...! এসি-র তাপমাত্রা ১৮ নয়, 'এত' ডিগ্রিতে সেট করুন, হাতেনাতে রেজাল্ট, গ্যারান্টি

গরমকাল আসতেই ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা সকলের। চড়চড় করে বাড়ছে পারদ। আর সেইসঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ইলেকট্রিক বিল। কারণ সারাদিন নাগাড়ে ঘুরছে সিলিং ফ্যান। আর এখন গোঁদের উপর বিষফোঁড়ার মতো এসে জুটেছে এসির বিল।

কারণ ফ্যান ঘুরলেও ঘর দ্রুত ঠান্ডা করতে মধ্যবিত্তেরও ভরসা সেই এয়ার কন্ডিশনার। কিন্তু এই এসির ব্যবহারের কিছু ভুল ধারণার জন্যই বিপদে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। চড়চড় করে বাড়তে থাকে বিদ্যুৎ বিল।

অনেকেই এসি ঘর দ্রুত ঠান্ডা করার জন্য তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রিতে কমিয়ে এনে থাকেন। আসলে এটি একটি সাধারণ ভুল ধারণা। এসির তাপমাত্রা ১৮ অথবা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস যাই থাকুক না কেন, তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে কমাতে যে সময় লাগে তা উভয় ক্ষেত্রে একই থাকে।

বস্তুত গ্রীষ্মকালে বিদ্যুৎ খরচ বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুৎ বিল বেশি হয়, তবে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে বিদ্যুৎ বিল কিন্তু কমানো সম্ভব। বাঁচানো সম্ভব মাসিক খরচ।

মধ্যপ্রদেশের বিদ্যুৎ সংস্থার মতে, একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে এসির তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রিতে সেট করলে বিদ্যুৎ বিল ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব। গবেষণা অনুসারে, তাপমাত্রার প্রতিটি ডিগ্রি বৃদ্ধির ফলে স্প্লিট এসির শক্তি খরচ ৬ শতাংশ হ্রাস পায়।

আসলে, এটি একটি সাধারণ ভুল ধারণা যে ঘরটি খুব দ্রুত ঠান্ডা করার জন্য তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রিতে কমিয়ে আনা উচিত। এসির তাপমাত্রা ১৮ অথবা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস যাই হোক না কেন, তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে কমাতে যে সময় লাগে তা একই থাকে।

কিন্তু গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, যখন আপনি কম তাপমাত্রা সেট করেন, তখন ঘরের তাপমাত্রা কমাতে কম্প্রেসারকে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয়। এর ফলে বিদ্যুৎ বিল চরমে ওঠে।

গবেষণা আরও বলে, থার্মোস্ট্যাট ১৮ ডিগ্রিতে সেট করার কয়েক মিনিটের মধ্যে যদি আপনি এসি বন্ধ করে দেন, তবুও তাপমাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে কারণ ঠান্ডা বাতাস বিভিন্ন লিকেজ দিয়ে বেরিয়ে যাবে, যা আপনার প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি আপনি থার্মোস্ট্যাটটি ২৭° সেলসিয়াসে সেট করেন এবং ২ ঘন্টার জন্য টাইমার সেট করেন এবং একইসঙ্গে আপনার ঘরের সিলিং ফ্যানটি চালান, তাহলে এটি সাধারণত ভাল ঘুমের জন্য আরামদায়ক তাপমাত্রা বজায় রাখবে।

অতএব, আর বোকামি করবেন না। ঘর তাড়াতাড়ি ঠান্ডা করতে চাইলে এসি ২৭ ডিগ্রিতে সেট করুন এবং সিলিং ফ্যানটি এক বা দুই পয়েন্টে চালান, এটি করলে ম্যাজিকের মতো কমবে বিদ্যুৎ বিল। আপনার মাসিক খরচও থাকবে আয়ত্তে।

শর্তত্যাগ: শুধুমাত্র আপনাদের সচেতনতার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। আমরা এই লেখায় সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ তথ্য শেয়ার করেছি মাত্র। আপনি যদি কোথাও আপনার স্বাস্থ্য, জীবন ও বিজ্ঞানের যোগ সম্পর্কিত কিছু পড়েন তবে তা গ্রহণ করার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।