Double Your Money: ৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করলে ১০ লাখ রিটার্ন! ধামাকা স্কিম পোস্ট অফিসের, রইল সম্পূর্ণ হিসেব

মধ্যবিত্ত বিনিয়োগকারী কোনও স্কিমে বিনিয়োগ করার আগে দুটো জিনিস ভাল করে দেখে নেন। প্রথমত, সঞ্চিত অর্থ যেন নিরাপদে থাকে। এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আর দ্বিতীয়ত, রিটার্ন যেন ভাল পাওয়া যায়।

পোস্ট অফিসের কিষাণ বিকাশ পত্র সেরকমই একটা স্কিম। এতে বিনিয়োগকারীর টাকা ১১৫ মাসে দ্বিগুণ হয়ে যায়। অর্থাৎ ৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করলে ১০ লাখ টাকা রিটার্ন মেলে। তাই গ্রাহকদের মধ্যে পোস্ট অফিসের এই স্কিমের বিপুল জনপ্রিয়তা রয়েছে।

কিষাণ বিকাশ পত্র কেন্দ্রীয় সরকার সমর্থিত স্কিম। তাই কোনও ঝুঁকি নেই। যাঁরা বিনা ঝুঁকিতে মোটা টাকা আয় করতে চান, তাঁদের জন্য আদর্শ। আসলে গ্রাহককে বেশি মুনাফা দেওয়ার জন্যই এই স্কিম চালু করা হয়েছিল।

ন্যূনতম ১০০০ টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করা যায়। বিনিয়োগ করতে হয় ১০০-এর গুণিতকে। সর্বোচ্চ বিনিয়োগের কোনও সীমা নেই। বিনিয়োগকারী যত খুশি টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন। এই স্কিমের আওতায় সিঙ্গল এবং জয়েন্ট, দু’ধরণের অ্যাকাউন্টই খুলতে পারেন গ্রাহক।

একজন বিনিয়োগকারী কিষাণ বিকাশ পত্র স্কিমে একাধিক অ্যাকাউন্টও খুলতে পারেন। ২, ৪, ৬ বা তার চেয়েও বেশি। কোনও বাধা নেই। ১০ বছরের বেশি বয়সী নাবালকের নামেও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন অভিভাবকরা।

সুদের হার: পোস্ট অফিসের ক্ষুদ্র সঞ্চয় স্কিমে সুদের হার প্রতি তিন মাস অন্তর নির্ধারিত হয়। কিষাণ বিকাশ পত্র স্কিমে বর্তমানে ৭.৫ শতাংশ হারে সুদ পাচ্ছেন গ্রাহক। এই সুদ দেওয়া হয় বার্ষিক ভিত্তিতে।

৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ১০ লাখ রিটার্ন: কিষাণ বিকাশ পত্র স্কিমে যদি কেউ ৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন এবং পুরো মেয়াদ জুড়ে টাকা রাখেন, তাহলে ম্যাচিউরিটিতে অর্থাৎ ১১৫ মাস পর ৭.৫ শতাংশ সুদের হার তিনি ১০ লাখ টাকা রিটার্ন পাবেন। অর্থাৎ সুদ হিসেবে মিলবে ৫ লাখ টাকা।

প্রসঙ্গত, আগে কিষাণ বিকাশ পত্রের মেয়াদ ছিল ১২৩ মাস। পরে তা কমিয়ে ১২০ মাস করা হয়। বর্তমানে এই মেয়াদ আরও কমিয়ে ১১৫ মাস করা হয়েছে। পোস্ট অফিসের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কিষাণ বিকাশ পত্রে বিনিয়োগের উপর কমপাউন্ডিংয়ের ভিত্তিতে সুদের হিসেব করা হয়।

জরুরি প্রয়োজনে টাকা তুলেও নেওয়া যায়। এক বছরের আগে টাকা তুললে সুদ পাওয়া যায়, জরিমানাও দিতে হয়। এক বছর থেকে আড়াই বছরের মধ্যে টাকা তুললে সুদের হার কমে যায়। তবে আড়াই বছরের পর টাকা তুললে কোনও জরিমানা দিতে হয় না। কিষাণ বিকাশ পত্রের সুদের হারেই সুদ পাওয়া যায়।