ব্যাঙ্ক থেকে ইস্যু করে দেওয়া হয়। তার পর আমরা দরকার মতো ব্যবহার করতে থাকি ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড। কিন্তু এর ভিতরে কী থাকে, সেটা জানলে রীতিমতো অবাক হতে হয়। কেন না, ওখানেই রয়েছে আসল কারিকুরি। আমাদের ব্যাঙ্ক কার্ড যে সব আর্থিক লেনদেনে সক্ষম, তার প্রতিটি হিসেব পেশ করে থাকে নিয়ম করে, এর নেপথ্যে কোনও ইন্দ্রজাল নেই। আছে শুধু প্রযুক্তির নিখাদ বিন্যাস। সেই কথা মাথায় রেখেই মোটামুটি ভাবে একই নিয়ম অনুসরণ করে সব ব্যাঙ্কের কার্ড ডিজাইন করা হয়ে থাকে। এর ডিজাইনের কোন অংশ কী কাজ করে, সেটা দেখে নেওয়া যাক এবারে।ব্যাঙ্ক থেকে ইস্যু করে দেওয়া হয়। তার পর আমরা দরকার মতো ব্যবহার করতে থাকি ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড। কিন্তু এর ভিতরে কী থাকে, সেটা জানলে রীতিমতো অবাক হতে হয়। কেন না, ওখানেই রয়েছে আসল কারিকুরি। আমাদের ব্যাঙ্ক কার্ড যে সব আর্থিক লেনদেনে সক্ষম, তার প্রতিটি হিসেব পেশ করে থাকে নিয়ম করে, এর নেপথ্যে কোনও ইন্দ্রজাল নেই। আছে শুধু প্রযুক্তির নিখাদ বিন্যাস। সেই কথা মাথায় রেখেই মোটামুটি ভাবে একই নিয়ম অনুসরণ করে সব ব্যাঙ্কের কার্ড ডিজাইন করা হয়ে থাকে। এর ডিজাইনের কোন অংশ কী কাজ করে, সেটা দেখে নেওয়া যাক এবারে।
এনএফসি চিপ, কনট্যাক্টলেস কার্ড
ব্যাঙ্ক কার্ডের ম্যাগনেটিক স্ট্রাইপ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষয়ে যেতে পারে। আবার এইএমভি চিপও জলবায়ু বা অন্য কোনও কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতেই পারে। এই সব সম্ভাবনা এড়াতে আসে এনএফসি চিপের প্রয়োগ। কনট্যাক্টলেস কার্ড, অর্থাৎ মোবাইলের মাধ্যমে লেনদেনে এর একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। স্যামসাং ওয়ালেট, গুগল পে, অ্যাপল পে- সব ক্ষেত্রেই এই এনএফসি চিপ ফোনের সঙ্গে কানেক্ট করতে পারে এবং একারণেই আমাদের ফোন আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে কার্ডের হয়ে প্রক্সি দেয়।
আমাদের দেশের কথা মাথায় রাখলে মোটের উপরে এই হল ব্যাঙ্ক কার্ডের গঠনমূলক বৈশিষ্ট্য। বাইরের কিছু দেশে বা বলা ভাল প্রথম বিশ্বের দেশগুলোতে ব্যাঙ্ক কার্ডের উপাদানেও অবশ্য রীতিমতো চমক থাকে। এদের বলা হয় প্রিমিয়াম কার্ড। যাদের ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স অকল্পনীয় পরিমাণে অঢেল, তাঁদের জন্যই সোনা, রুপো, প্ল্যাটিনাম দিয়ে এই ধরনের কার্ড তৈরি করা হয়, কখনও কখনও এতে বসানো থাকে মূল্যবান রত্নও! আমাদের প্ল্যাটিনাম কার্ড তাহলে যা দেখা যাচ্ছে, কেবল নামে আর সুবিধের দিক থেকেই প্ল্যাটিনাম, তাই না?