৮‍% সুদ দিচ্ছে কেন্দ্র সরকারের এই স্কিম, আপনিও হয়ে উঠতে পারেন কয়েক লক্ষ টাকার মালিক

কন্যাসন্তানের ভবিষ্যতের ব্যাপারে এখনও আমাদের দেশে একটু বেশিই ভাবতে হয় অভিভাবকদের। শিক্ষাক্ষেত্রের খরচ তো আছেই, আরও একাধিক জিনিসের জন্য টাকা জমানোর চিন্তা শুরু হয়ে যায়।

সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় বর্তমানে ৮ শতাংশ সুদ পাওয়া যাচ্ছে। এর ফলে দীর্ঘ মেয়াদে আরও ভাল রিটার্নের আশায় বুক বাঁধছেন বিনিয়োগকারীরা।

প্রতি ত্রৈমাসিকে সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় সুদের হার পরিবর্তিত হয়। যদি কন্যাসন্তানের জন্মের পরেই কেউ সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় বিনিয়োগ শুরু করেন তাহলে প্রায় ৮ শতাংশ রিটার্ন পাওয়ার আশা করা যেতে পারে।

যখন কোনও বিনিয়োগকারী কন্যাসন্তান জন্মের পরপরই সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ শুরু করেন তাহলে তিনি প্রায় ১৫ বছর মেয়াদে টাকা রাখবেন। কারণ এই ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে ১৪ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত টাকা জমা করা যায়।

মেয়ের বয়স ১৪ বছর থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত ম্যাচিউরিটির ৫০ শতাংশ টাকা তুলতে পারেন। বাকি ৫০ শতাংশ টাকা তোলা যায় ২১ বছর বয়সে। আবার ১৮ বছর বয়সে ম্যাচিউরিটির ৫০ শতাংশ না তুলে ২১ বছর বয়সে পুরো টাকা একসঙ্গে তোলা যায়।

সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় ম্যাচিউরিটি: ধরা যায় ম্যাচিউরিটির সময় ৭.৬ শতাংশ হারে রিটার্ন মিলছে। এবার একজন ব্যক্তি যদি ১২ কিস্তিতে প্রতি মাসে ১২,৫০০ টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে বিনিয়োগকারী এক আর্থিক বছরে ধারা ৮০সি-র অধীনে ১.৫ লক্ষ টাকা কর ছাড় পেতে পারেন। মেয়ের ২১ বছর বয়সে বিনিয়োগকারী পুরো টাকা তুললে ম্যাচিউরিটির পরিমাণ হবে ৬৩,৭৯,৬৩৪ টাকা।

সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা ক্যালকুলেটর: সুতরাং, যদি একজন বিনিয়োগকারী তাঁর কন্যাসন্তানের জন্মের পরপরই সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে ১২,৫০০ টাকা বিনিয়োগ করতে শুরু করেন, তাহলে ২১ বছর বয়সে মেয়ে প্রচুর টাকার মালিক হয়ে যাবে।

আয়কর সুবিধা: আগেই বলা হয়েছে, আয়কর আইনের ধারা ৮০সি-র অধীনে একজন বিনিয়োগকারী সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় বছরে ১.৫ লক্ষ টাকা করছাড় দাবি করতে পারেন। অর্জিত সুদ এবং ম্যাচিউরিটির পরিমাণও ১০০ শতাংশ ট্যাক্স মুক্ত।