

আজ, ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। এখন সবার চোখ সেদিকেই। কোন খাতে কত বরাদ্দ হবে, তা নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে। কিন্তু এই বাজেট পেশের নেপথ্য কারা রয়েছেন? আসুন জেনে নেওয়া যাক নির্মলা সীতারমণের টিমের সদস্যদের বিষয়ে!


কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মন্যম (KRISHNAMURTHY SUBRAMANIAN)- রঘুরাম রাজনের (Raghuram Rajan) অত্যন্ত কাছের লোক মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা তথা চিফ ইকোনমিক অ্যাডভাইজর কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মন্যম। IIT, IIM ও ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো বুথ স্কুল অফ বিজনেসের (University of Chicago Booth School of Business) প্রাক্তন ছাত্র কৃষ্ণমূর্তি। বাজেট প্রক্রিয়াকরণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন তিনি। এই পদে আসার আগে হায়দরাবাদের ইন্ডিয়ান স্কুল অফ বিজনেসে অধ্যাপনা করতেন। এক্ষেত্রে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে অর্থনৈতিক সমীক্ষার ড্রাফ্টিংয়ের কাজ পরিচালনা করেছেন কৃষ্ণমূর্তি।


টিভি সোমনাথন (TV SOMANATHAN) - অর্থনীতিতে PhD করেছেন। তামিলনাড়ু ক্যাডারের ১৯৮৭ ব্যাচের সোমনাথন এক্সপেন্ডিচার সেক্রেটারি। ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৭ সালের অগস্ট পর্যন্ত PMO-তে কাজ করেছেন। নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) অত্যন্ত বিশ্বস্ত ব্যক্তি। PMO-থেকে বাজেটের যাবতীয় প্রস্তাব গ্রহণের মাঝে থাকেন এই ব্যক্তিটি।


অজয় ভূষণ পাণ্ডে (AJAY BHUSHAN PANDEY) -অর্থমন্ত্রকের অন্যতম বরিষ্ঠ সদস্য। পাঁচ সচিবের মধ্যে একজন অজয় ভূষণ পাণ্ডে। রেভিনিউ সেক্রেটারি অজয় ভূষণ বর্তমানে ফিনান্স সেক্রেটারি হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন। মহারাষ্ট্র ক্যাডারের ১৯৮৪ সালের ব্যাচের অজয় ভূষণ ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (Unique Identification Authority of India) CEO হিসেবেও কাজ করেছেন। বলা বাহুল্য, কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম ক্ষমতাশালী আমলা তিনি। বাজেটের সঙ্গে যুক্ত আয়কর-সংক্রান্ত সমস্ত সিদ্ধান্ত নেন অজয় ভূষণ।


তরুণ বাজাজ (TARUN BAJAJ) - ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি। আগে PMO-তে কাজ করতেন। গত বছর এপ্রিলে তাঁর বদলি হয়। আত্মনির্ভর ভারত অভিযান ও এই সংক্রান্ত নানা প্রকল্পের রূপায়ণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তরুণ বাজাজ। বাজেট ডিভিশন, বাজেট স্পিচ থেকে শুরু করে একাধিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন তিনি। হরিয়ানা ক্যাডারের ১৯৮৮ ব্যাচের অফিসার ছিলেন তরুণ বাজাজ।


তুহিন কান্ত পাণ্ডে (TUHIN KANTA PANDEY) - ২০২০ সালে অর্থনীতির পাঁজর ভেঙেছে করোনা। এক্ষেত্রে বেসকারিকরণের একাধিক পরিকল্পনা ২০২১-২২ অর্থবর্ষেই বাস্তবায়িত হতে পারে। আর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সমস্ত দায়িত্ব রয়েছে তুহিন পাণ্ডের কাঁধে। পঞ্জাব ক্যাডারের ১৯৮৭ ব্যাচের তুহিন পাণ্ডে ডিপার্টমেন্ট অফ ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের (Department of Investment and Public Asset Management) সেক্রেটারি পদে নিযুক্ত রয়েছেন। গত অর্থবর্ষে এই দফতরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২.১ লক্ষ কোটি। আপাতত আগামী অর্থবর্ষের অপেক্ষায় রয়েছেন তুহিন কান্ত পাণ্ডে। এক্ষেত্রে ভারত পেট্রোলিয়াম, শিপিং কর্পোরেশন অ্যান্ড এয়ার ইন্ডিয়া সহ একাধিক সংস্থার বেসরকারিকরণ নিয়ে পদক্ষেপ করা হতে পারে।


দেবাশিস পান্ডা (DEBASHISH PANDA) -উত্তরপ্রদেশ ক্যাডারের ১৯৮৭ ব্যাচ। ডিপার্টমেন্ট অফ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের প্রধান তিনি। বাজেটের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত ফিনান্সিয়াল সেক্টরগুলিতে যে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা হতে চলেছে, তার পিছনে রয়েছেন এই মানুষটি। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রেখে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যালেন্স শিট তৈরি করেন দেবাশিস। এক্ষেত্র বিগত বছরে ফিনান্সিয়াল সেক্টরগুলির সমস্ত সার্ভের পিছনেও রয়েছেন তিনি।