Big News On Gold: এই মুহূর্তে সোনার নিয়ে সবথেকে বড় খবর! হলুদ ধাতুর দামের উপর পড়তে চলেছে বড়সড় প্রভাব

ক্রমাগত সোনা কিনেই চলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি। সেই সঙ্গে তারা দ্রুত নিজেদের গোল্ড রিজার্ভও বাড়িয়ে চলেছে। কিন্তু বর্তমানে ব্যাঙ্কগুলির সেই কৌশলে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিক শুল্ক সংক্রান্ত ঘোষণা করার পর সোনার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে বিশ্বব্যাপী সম্ভাব্য বাণিজ্য যুদ্ধ বা ট্রেড ওয়ারের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর এটাই সোনাকে সাপোর্ট করেছে। কিন্তু এই পরিস্থিতির মাঝেই আবার অনেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক নিজেদের কৌশলে পরিবর্তন এনেছে।

ব্যাঙ্কগুলি সরাসরি খনি থেকে সোনা ক্রয় করছে:
সরাসরি খনি থেকে সোনা কিনছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, খনি থেকে সরাসরি সোনা পাওয়ায় তা সস্তা তো হয়েছে বটেই, সেই সঙ্গে এই বিষয়টা স্থানীয় ইন্ডাস্ট্রিকেও সহায়তা প্রদান করেছে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের মতে, ফিলিপিন্স এবং ইক্যুয়েডরের মতো দেশগুলি বছরের পর বছর ধরে এটি করে আসছে। কিন্তু বর্তমানে দেশীয় সোনার খনিতে অ্যাক্সেস থাকা অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলিও সরাসরি স্থানীয় সোনা কিনতে শুরু করেছে। কিংবা এই বিষয়টি বিবেচনা করে দেখছে।

ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল রিপোর্ট:
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের লেটেস্ট সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, ৩৬টি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের মধ্যে ১৯টি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা স্থানীয় মুদ্রা ব্যবহার করে দেশীয় কারিগর এবং স্মল-স্কেল বা ক্ষুদ্র আকারের সোনার খনি থেকে সরাসরি সোনা কিনছে। আরও চার জন অংশগ্রহণকারীও একই কাজ করার কথা ভেবেছে। এটি গত বছরের সমীক্ষার তুলনায় কিছুটা হলেও বেশি।

আসলে গত বছর ৫৭টি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের মধ্যে প্রায় ১৪টি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কে জানিয়েছি দিয়েছিল যে, তারা সরাসরি দেশীয় উৎস থেকে সোনা কিনছে। গোল্ড ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি বুBullionVault-এর রিসার্চ ডিরেক্টর অ্যাড্রিয়ান অ্যাশ বলেছেন যে, ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকির বিরুদ্ধে হেজ হিসেবে কাজ করে সোনার মূল্য বৃদ্ধি এবং সোনার চাহিদা। ফলে এটাই স্বাভাবিক যে, উৎপাদনকারী দেশগুলির কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি নিজেদের দেশের উৎপাদনের দিকেই ঝুঁকবে।

এই দিনের সোনা এবং রুপোর দাম:
সর্বশেষ পাওয়া খবর থেকে জানা যাচ্ছে যে, COMEX-এ সোনার দাম ০.০৭ শতাংশ কমে প্রতি আউন্সে ৩৩৩৪.২০ ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে। আবার এর পাশাপাশি আর এক মূল্যবান ধাতু রুপোর দাম ০.১৩ শতাংশ কমে প্রতি আউন্সে ৩৮.০৬ ডলারে পৌঁছে গিয়েছে।