Numerology Special Article: ব্যবসা বাড়াতে চান? কিংবা কেরিয়ারে চূড়ান্ত সাফল্য অর্জন করতে চাইছেন? মুশকিল আসান করতে পারে সংখ্যাতত্ত্ব

সংখ্যার উপরে অনেক কিছুই নির্ভর করে থাকে। যদি বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্রের কথাই ধরা হয়, মূলত সেখানে ভাগ্যগণনা করা হয়ে থাকে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান ধরেই, কিন্তু জন্মের তারিখ এবং সঠিক ক্ষণ না জানতে পারলে কুণ্ডলীতে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান নির্ণয় করা যায় না।

এই দুই কিন্তু সংখ্যার আওতাতেই পড়ে। এবার যদি সংখ্যাতত্ত্বের কথাই ওঠে, দেখা যাবে যে, সেখানেও ব্যক্তির নিজস্ব সংখ্যা রীতিমতো গুরুত্বপূর্ণ এক বিষয়।

ভারতীয় মতে সংখ্যাতত্ত্বের উপর ভিত্তি করেও ভাগ্যফল নির্ধারণ করা হয়। সাধারণত জন্মতারিখ অনুযায়ী হিসেব-নিকেশ করে সংখ্যাতত্ত্বের ক্ষেত্রে ভাগ্যগণনা করা হয়ে থাকে। যেমন ধরে নেওয়া যাক, কারও জন্মতারিখ ১১। এক্ষেত্রে তাঁর জন্মগত সংখ্যা হবে ১+১= ২। ফলে তাঁকে সংখ্যাতত্ত্বের #২-এর গণনা দেখতে হবে। অর্থাৎ নিজের জন্মতারিখের যোগফল হিসেব করে সংখ্যাতত্ত্বের গণনা করা হয়।

সংস্থা কিংবা ব্যবসা সম্প্রসারণ করার ক্ষেত্রে সংখ্যাতত্ত্বের জ্ঞান উপযোগী হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এটা কেরিয়ারের লক্ষ্য নির্ধারণ করতেও সাহায্য করবে। এতে কেরিয়ার তো বটেই, সঙ্গে ব্যবসা থাকলে তারও উন্নতি হয়!

আসলে ব্যবসায়িক কাজ এবং বিনিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়ে ওঠে সংখ্যাতত্ত্ব। সেই কারণে ব্যবসার নাম, কাজের জায়গা, নিজেদের তৈরি করা পণ্য এবং সেই সংক্রান্ত জিনিসপত্র - সমস্ত কিছুই সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ী নির্ধারণ করা জরুরি।

নিজের জন্মতারিখের সাহায্যে জীবনের যে কোনও লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব। সেই সঙ্গে নিজের বাছাই করা কেরিয়ারের ক্ষেত্রেও সাফল্য লাভ করা সম্ভব হয়। আবার সংখ্যা ১ থেকে সংখ্যা ৩১ পর্যন্ত যে কোনও সংখ্যা জাতক-জাতিকাদের নিজেদের পেশাগত লক্ষ্য পূরণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতেও সাহায্য করে। শুধু তা-ই নয়, দূরবর্তী স্থানে ভ্রমণ ছাড়াই নিজের বেছে নেওয়া কেরিয়ার-কাজকর্মের ক্ষেত্রেও সাফল্য অর্জন করা যাবে।

নিজের সংস্থার নাম বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে কেউ যদি বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হয়ে থাকেন, তাহলে তা কাটানোর একটা উপায় রয়েছে। সংস্থার নামের যোগফল পুনঃসংশোধন করা উচিত। আর তার পর থেকেই জীবনে সমস্ত ভাল কিছু উপভোগ করা সম্ভব হবে।