Sawan: শ্রাবণে শিবের মাথায় জল ঢালতে যাবেন? জানুন জেলার জাগ্রত শিবমন্দিরের নাম, ঘুরেও নিতে পারেন সপ্তাহান্তে
- Published by:Shubhagata Dey
- hyperlocal
- Reported by:Souvik Roy
Last Updated:
Sawan: বীরভূমের মধ্যে অবস্থিত সেরা পাঁচটি শিব মন্দিরের ঠিকানা এইগুলি, শ্রাবণ মাসে গেলে অবশ্যই দর্শন করে আসুন। আপনাদের জন্য রইল ঠিকানা...
*শ্রাবণ মাসে শিবভক্তরা ছুটে যান বিভিন্ন শিব মন্দিরে। অনেকেই যান বীরভূমের বিভিন্ন শিব মন্দিরে জল অর্পণের জন্য। তবে অনেকেই জানেন না বীরভূমে কোথায় বড় শিব মন্দির রয়েছে। আজকে আপনাদের ঠিকানা জানাব সেই সমস্ত বড় শিব মন্দিরের। প্রায় ২০০ বছরের পুরনো শিব মন্দির, যেখানে শিবের উন্মত্তেশ্বর অবতারের আবাসস্থল। ডাবুকের 'ডাবুকেশ্বর মন্দির' বীরভূমের ময়ূরেশ্বর-১ ব্লকের অন্তর্গত একটি পবিত্র গ্রাম। বীরভূমের তারাপীঠ থেকে খুব কাছে অবস্থিত এই মন্দির।
advertisement
*কলকাতার ইট-কাঠ পাথরের জঙ্গলে থাকতে থাকতে মন হাঁপিয়ে উঠেছে। তাহলে বেড়িয়ে পড়ুন বাড়ি থেকে। ঘরের কাছেই রয়েছে জঙ্গল। জঙ্গলের পাশাপাশি এখানকার শিব মন্দিরে গিয়ে আপনি জল ঢেলে আসতে পারবেন। রামপুরহাট থেকে সিউড়ি যাওয়ার পথে পড়ে এই জঙ্গল ও শিব মন্দির। সেটি নাকি ৫ হাজার বছরের পুরনো। চারিদিকে শাল গাছের জঙ্গল। তার মাঝখানে এই পোড়া মাটির তৈরি শিবমন্দির।
advertisement
*আপনি তারাপীঠ থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে ঘুরে আসতে পারেন মল্লারপুরের সুপ্রাচীন শিবতীর্থ মল্লেশ্বর মন্দির থেকে। পান্ডব জননী কুন্তি এই শিবের পুজো করেছিলেন বলে জনশ্রুতি। মনে করা হয়, ১১২৪ শকাব্দে রাজা মল্লনাথ এই মন্দিরটি নির্মাণ করেন। পরবর্তীকালে এই মন্দির চত্বরে আরও ২৩টি মন্দির গড়ে উঠেছে। সুবিখ্যাত তন্ত্রসাধক কৃষ্ণনন্দ আগম বাগীশ এখানে দেহ রেখেছিলেন এবং এই মন্দির প্রাঙ্গনের সুশীতল ছায়ায় তাঁর সমাধিক্ষেত্র অন্যতম দ্রষ্টব্য।
advertisement
*বক্রেশ্বরে শিব মন্দির, বাবা বক্রনাথের। এছাড়াও এখানে আরও পাঁচটি শিবলিঙ্গ রয়েছে যথা- কুবেরেশ্বর, সিদ্ধেশ্বর, জ্যোতির্লিঙ্গেশ্বর, কালারুদ্রেশ্বর এবং জম্ভেশ্বর। এছাড়া আছে আটটি স্রোতধারার উষ্ণপ্রস্রবণ এবং অতি অবশ্যই সতীপীঠ রূপে বিরাজ করে আছেন দশভূজা মহিষমর্দিনী। এখানে দেবীর ভ্রু-মধ্য বা মন পড়ে ছিল বলে মনে করা হয়।
advertisement
*দূর দূরান্ত থেকে বহু পর্যটক এই শিব মন্দির দর্শনের জন্য ছুটে আসেন। বীরভূমের সাঁইথিয়া থেকে খুব অনায়াসে পৌঁছে যেতে পারবেন এই শিব মন্দির। আর এই মদনেশ্বর শিব ও কোটাসুরকে রক্ষা করার জন্য গ্রামের চারপাশে এক সময় ছিল বিশাল আকারের এক প্রাচীর। সেই প্রাচিরের ছিল দু'টি দ্বার। দক্ষিণ দিকে বাবা সন্ন্যাসী ও উত্তর দিকে অর্থাৎ কোটাসুর বাজার লাগোয়া এলাকায় দ্বারবাসিনী কালী।